জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও জামালগঞ্জের একাংশে আবার নৌজট সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে বৌলাই ও রক্তি নদীতে পলি জমে নৌজট সৃষ্টি হয়। ১৫ দিনের ব্যবধানে আবারও নৌজটের কারণে বিপাকে পড়েছেন নৌশ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নাব্যতা-সংকটের কারণে তাহিরপুরের পাটলাই নদীর সুলেমানপুর এলাকা ও জামালগঞ্জের বেহেলী ইউনিয়নের বৌলাই ও আবুয়া নদীর, হিজলা, হাওরিয়া আলীপুর, বদরপুর, বেহেলীসহ প্রায় কয়েক কিলোমিটারজুড়ে নৌযান আটকা পড়ে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুতে জামালগঞ্জের উল্লিখিত অঞ্চলগুলোতে চরম নৌজট সৃষ্টি হয়।
প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় নৌজট স্বাভাবিক হলেও, ১৫ দিনের ব্যবধানে আবার তাহিরপুরের সুলেমানপুর এলাকার পাটলাই নদীতে নৌজট বাধে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রায় ৭০০ নৌযানে থাকা প্রায় তিন হাজার শ্রমিককে।
গতকাল রোববার সকালে সুলেমানপুর পাটলাই নদীর সরেজমিন এ চিত্র দেখা গেছে। এ সময় স্থানীয়রা জানান, নদীর তলদেশ ভরাট ও নৌযান শ্রমিকদের প্রতিযোগিতায় প্রতিবছরই একাধিকবার এই নৌজটের সৃষ্টি হয়। জামালগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুরের বৌলাই এবং রক্তি নদীতে আটকা পড়া নৌযানগুলো বালু ও পাথর নিয়ে তাহিরপুর উপজেলার ফাজিলপুর ও বড়ছড়া থেকে ছেড়ে আসে। গত বছর বিশ্বম্ভরপুরের রক্তি নদী খনন করা হলেও নাব্যতা সংকট না কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নৌযান শ্রমিক ও স্থানীয়রা।
পাটলাই নদীতে আটকে থাকা নৌশ্রমিক মো. আবুল কালাম বলেন, ‘এ পথে প্রায় ১২ বছর যাবৎ যাতায়াত করছি। প্রতিবছরই শীতের এ মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকায় নৌজটে আটকে থাকতে হয়। বর্তমানে আমরা প্রায় ১০ দিন যাবৎ এখানে আটকা আছি।’
আরেক নৌশ্রমিক শাহজাহান বলেন, ‘আমরা যেখানে বর্তমানে আটকা আছি, এখান থেকে মাত্র আধা ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ১০ থেকে ১৫ দিন। এ সংকট যেন দেখার কেউ নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌকার সুকানি বলেন, ‘নৌজটের এ সময়ে রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা নৌকায় উঠে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধরসহ মোবাইল ফোন ও নৌকার ব্যবহৃত অন্যান্য মালামাল তারা নিয়ে যায়।’
নৌজট নিরসনে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সচিব রাজেশ তালুকদার বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় নদীতে পানি কম থাকে। বর্তমানে প্রায় ৭০০ নৌযান আটকা রয়েছে। তবে এ জট নিরসনে আমাদের সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে কিছু অস্থায়ী লোক নিয়োগ দিয়েছি। তাঁরা পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ করছেন।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ‘আশা করছি, দ্রুত নৌজট স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
নৌকায় চাঁদাবাজির বিষয়টি জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘নৌজট নিয়ে যাতে কোনো পক্ষ চাঁদাবাজি করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা ১৪টি নদী খননের জন্য একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটি অনুমোদন পেলেই নদী খননের কাজ শুরু হবে। তখন আর নাব্যতা সংকট থাকবে না।’
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও জামালগঞ্জের একাংশে আবার নৌজট সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে বৌলাই ও রক্তি নদীতে পলি জমে নৌজট সৃষ্টি হয়। ১৫ দিনের ব্যবধানে আবারও নৌজটের কারণে বিপাকে পড়েছেন নৌশ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নাব্যতা-সংকটের কারণে তাহিরপুরের পাটলাই নদীর সুলেমানপুর এলাকা ও জামালগঞ্জের বেহেলী ইউনিয়নের বৌলাই ও আবুয়া নদীর, হিজলা, হাওরিয়া আলীপুর, বদরপুর, বেহেলীসহ প্রায় কয়েক কিলোমিটারজুড়ে নৌযান আটকা পড়ে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুতে জামালগঞ্জের উল্লিখিত অঞ্চলগুলোতে চরম নৌজট সৃষ্টি হয়।
প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় নৌজট স্বাভাবিক হলেও, ১৫ দিনের ব্যবধানে আবার তাহিরপুরের সুলেমানপুর এলাকার পাটলাই নদীতে নৌজট বাধে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রায় ৭০০ নৌযানে থাকা প্রায় তিন হাজার শ্রমিককে।
গতকাল রোববার সকালে সুলেমানপুর পাটলাই নদীর সরেজমিন এ চিত্র দেখা গেছে। এ সময় স্থানীয়রা জানান, নদীর তলদেশ ভরাট ও নৌযান শ্রমিকদের প্রতিযোগিতায় প্রতিবছরই একাধিকবার এই নৌজটের সৃষ্টি হয়। জামালগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুরের বৌলাই এবং রক্তি নদীতে আটকা পড়া নৌযানগুলো বালু ও পাথর নিয়ে তাহিরপুর উপজেলার ফাজিলপুর ও বড়ছড়া থেকে ছেড়ে আসে। গত বছর বিশ্বম্ভরপুরের রক্তি নদী খনন করা হলেও নাব্যতা সংকট না কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নৌযান শ্রমিক ও স্থানীয়রা।
পাটলাই নদীতে আটকে থাকা নৌশ্রমিক মো. আবুল কালাম বলেন, ‘এ পথে প্রায় ১২ বছর যাবৎ যাতায়াত করছি। প্রতিবছরই শীতের এ মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকায় নৌজটে আটকে থাকতে হয়। বর্তমানে আমরা প্রায় ১০ দিন যাবৎ এখানে আটকা আছি।’
আরেক নৌশ্রমিক শাহজাহান বলেন, ‘আমরা যেখানে বর্তমানে আটকা আছি, এখান থেকে মাত্র আধা ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ১০ থেকে ১৫ দিন। এ সংকট যেন দেখার কেউ নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌকার সুকানি বলেন, ‘নৌজটের এ সময়ে রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা নৌকায় উঠে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধরসহ মোবাইল ফোন ও নৌকার ব্যবহৃত অন্যান্য মালামাল তারা নিয়ে যায়।’
নৌজট নিরসনে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সচিব রাজেশ তালুকদার বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় নদীতে পানি কম থাকে। বর্তমানে প্রায় ৭০০ নৌযান আটকা রয়েছে। তবে এ জট নিরসনে আমাদের সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে কিছু অস্থায়ী লোক নিয়োগ দিয়েছি। তাঁরা পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ করছেন।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ‘আশা করছি, দ্রুত নৌজট স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
নৌকায় চাঁদাবাজির বিষয়টি জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘নৌজট নিয়ে যাতে কোনো পক্ষ চাঁদাবাজি করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা ১৪টি নদী খননের জন্য একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটি অনুমোদন পেলেই নদী খননের কাজ শুরু হবে। তখন আর নাব্যতা সংকট থাকবে না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪