Ajker Patrika

নির্বাচনী সহিংসতায় নভেম্বরে নিহত ৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৪৬
নির্বাচনী সহিংসতায় নভেম্বরে নিহত ৪৭

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌরসভা নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় গত নভেম্বর মাসে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এ দাবি করেছে। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ১১টি জাতীয় গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যানুসন্ধান করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় এমএসএফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৯৮টি। ৪৭ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭৮ জন। নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের এবং চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি খেয়েছেন। এঁদের প্রায় সবাই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্বাচনী সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন নরসিংদী জেলায়। এ জেলায় নিহতের সংখ্যা ১১ জন। নীলফামারীতে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ৬টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এ সময় ১৩৯ জন নারী ও ১৩৮ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এমএসএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনসহ দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে উৎকণ্ঠা, সহিংসতা, হানাহানি ও হতাহতের মাত্রা নতুনভাবে যোগ হয়েছে। ভোটে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগই। স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষই শক্তিশালী হওয়ায় পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে গেছে অথবা উভয় পক্ষের সঙ্গে সখ্য থাকার কারণে নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধের ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপই নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচনী সংঘাত, সহিংসতা ও নানাবিধ অনিয়মের কারণে স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনগুলো প্রহসনে পরিণত হয়েছে, পাশাপাশি প্রশ্নবিদ্ধ এসব নির্বাচন ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে।

নভেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করে এমএসএফ বলছে, ধর্ষণসহ নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা কিছুটা কমলেও উদ্বেগজনক ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন চিন্তা, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মতামত প্রকাশের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। দেশে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন ও সীমান্তে হতাহতের মতো ঘটনাও বন্ধ হয়নি।

এমএসএফ বলছে, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নভেম্বরের চিত্র ছিল উদ্বেগজনক। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অন্তত ১৬ জন সাংবাদিক নানাভাবে অপমান, নিপীড়ন, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের যেভাবে হয়রানি ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তা শুধুমাত্র অনাকাঙ্ক্ষিত নয় বরং বস্তুনিষ্ঠ ও সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করার শামিল এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছে এমএসএফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

চোখের সামনে খামেনির অন্তরঙ্গ মহল ফাঁকা করে দিচ্ছে ইসরায়েল

সকালে পরীক্ষা, রাতেই ফল: সেই নিয়োগের তদন্তে কমিটি

পাকিস্তানিওঁ কি কাতিল—যুক্তরাষ্ট্রে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের উদ্দেশে স্লোগান

আমাদের হয়ে ‘নোংরা কাজটা’ করে দিচ্ছে ইসরায়েল: জার্মান চ্যান্সেলর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত