তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর মাদারবাড়ির মোগলটুলী খালের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠেছে একের পর এক ভবন। এগুলোর কোনোটা আবাসিক, কোনোটায় আবার নানা পণ্য তৈরির কারখানা। গত সোমবার সেই খালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের খনন কাজ চলার সময় হেলে পড়ে দুটি ভবন। এতে আতঙ্কগ্রস্ত বাসিন্দারা সরে পড়েন। এত দিন ভবন দুটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় ছিল না।
গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ৫ দশমিক ৮ রিখটার স্কেলের ভূকম্পনেও নগরীতে হেলে পড়ে দুটি ভবন। সেই ভবনগুলোও ছিল না তালিকায়। অভিযোগ রয়েছে, সারা বছর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত কিংবা অপসারণে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও সিডিএর। ভবন হেলে পড়া বা ধসে পড়ার ঘটনা ঘটলেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। তখন যত তোড়জোড় শুরু করে দুই সংস্থা। গতকালও সেভাবে সক্রিয় দেখা যায় সিডিএ কর্মকর্তাদের। হেলে পড়া ভবন দুটির দেয়াল ভেঙে সিলগালা করে দেন তাঁরা।
অথচ ১৯৯৭ সালে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম নগরের হামজারবাগে পাঁচতলা ভবন ধসে ২৩ জনের প্রাণহানির পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এরপর কোনো ভবন হেলে পড়লে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সিডিএ। পরে ভবনগুলো অপসারণের জন্য সেই তালিকা দেওয়া হয় চসিককে। কিছুদিন এ নিয়ে দুই সেবা সংস্থার মধ্যে চিঠি চালাচালি চলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায় তাদের কার্যক্রমও। এটির প্রমাণ মিলবে ছোট্ট একটি পরিসংখ্যানে। ২০১০ সালে নগরের ৫৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের একটি তালিকা করে সিডিএ। কয়েক বছরের মধ্যে আরও ৩০টি ভবন সেই তালিকায় যুক্ত করা হয়। এরপর আর হালনাগাদ করা হয়নি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা। দুই যুগে উচ্ছেদ হয়েছে মাত্র দুটি ভবন।
সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খানের বক্তব্যে ওঠে এসেছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত ও অপসারণের বিষয়ে তাঁদের অসহায়ত্ব। গতকাল হেলে পড়া ভবন এলাকায় পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভবনই অবৈধ। নকশা না মেনেই এসব ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এখন এগুলো চিহ্নিত করে অপসারণ করতে করতে দেখা যাবে ১০০ বছর লেগে যাবে।’
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো উচ্ছেদ না হওয়ায় সেগুলোতে এখন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বাস করছে হাজারো পরিবার। এই ভবনগুলোতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ ভবনে বসবাস করা নিরাপদ নয়’—শীর্ষক লাল রঙের সাইনবোর্ড টানানোর কথা ছিল। কিন্তু চসিক সেই নির্দেশনা মেনে সাইনবোর্ড টানিয়েছে এমন দৃশ্য নগরের কোথাও চোখে পড়েনি। সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায়ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে সেগুলো দ্রুত অপসারণের জন্য সিডিএকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামও বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের হালনাগাদ তালিকা না পাওয়ায় অপসারণ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে আমাদের কাছে সিডিএর তালিকা দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা আমাদের কাছে যে তালিকাটা দিয়েছিল সেটি ১১ বছর আগের। আমরা কিছুদিন আগে তাদের কাছে হালনাগাদ তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। এখনো আমরা সেই চিঠির উত্তর পাইনি। হালনাগাদ তালিকা পেলে অপসারণের বিষয়ে উদ্যোগ নেব।’
চট্টগ্রাম নগরীর মাদারবাড়ির মোগলটুলী খালের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠেছে একের পর এক ভবন। এগুলোর কোনোটা আবাসিক, কোনোটায় আবার নানা পণ্য তৈরির কারখানা। গত সোমবার সেই খালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের খনন কাজ চলার সময় হেলে পড়ে দুটি ভবন। এতে আতঙ্কগ্রস্ত বাসিন্দারা সরে পড়েন। এত দিন ভবন দুটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় ছিল না।
গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ৫ দশমিক ৮ রিখটার স্কেলের ভূকম্পনেও নগরীতে হেলে পড়ে দুটি ভবন। সেই ভবনগুলোও ছিল না তালিকায়। অভিযোগ রয়েছে, সারা বছর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত কিংবা অপসারণে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও সিডিএর। ভবন হেলে পড়া বা ধসে পড়ার ঘটনা ঘটলেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। তখন যত তোড়জোড় শুরু করে দুই সংস্থা। গতকালও সেভাবে সক্রিয় দেখা যায় সিডিএ কর্মকর্তাদের। হেলে পড়া ভবন দুটির দেয়াল ভেঙে সিলগালা করে দেন তাঁরা।
অথচ ১৯৯৭ সালে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম নগরের হামজারবাগে পাঁচতলা ভবন ধসে ২৩ জনের প্রাণহানির পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এরপর কোনো ভবন হেলে পড়লে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সিডিএ। পরে ভবনগুলো অপসারণের জন্য সেই তালিকা দেওয়া হয় চসিককে। কিছুদিন এ নিয়ে দুই সেবা সংস্থার মধ্যে চিঠি চালাচালি চলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায় তাদের কার্যক্রমও। এটির প্রমাণ মিলবে ছোট্ট একটি পরিসংখ্যানে। ২০১০ সালে নগরের ৫৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের একটি তালিকা করে সিডিএ। কয়েক বছরের মধ্যে আরও ৩০টি ভবন সেই তালিকায় যুক্ত করা হয়। এরপর আর হালনাগাদ করা হয়নি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা। দুই যুগে উচ্ছেদ হয়েছে মাত্র দুটি ভবন।
সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খানের বক্তব্যে ওঠে এসেছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত ও অপসারণের বিষয়ে তাঁদের অসহায়ত্ব। গতকাল হেলে পড়া ভবন এলাকায় পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভবনই অবৈধ। নকশা না মেনেই এসব ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এখন এগুলো চিহ্নিত করে অপসারণ করতে করতে দেখা যাবে ১০০ বছর লেগে যাবে।’
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো উচ্ছেদ না হওয়ায় সেগুলোতে এখন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বাস করছে হাজারো পরিবার। এই ভবনগুলোতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ ভবনে বসবাস করা নিরাপদ নয়’—শীর্ষক লাল রঙের সাইনবোর্ড টানানোর কথা ছিল। কিন্তু চসিক সেই নির্দেশনা মেনে সাইনবোর্ড টানিয়েছে এমন দৃশ্য নগরের কোথাও চোখে পড়েনি। সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায়ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে সেগুলো দ্রুত অপসারণের জন্য সিডিএকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামও বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের হালনাগাদ তালিকা না পাওয়ায় অপসারণ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে আমাদের কাছে সিডিএর তালিকা দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা আমাদের কাছে যে তালিকাটা দিয়েছিল সেটি ১১ বছর আগের। আমরা কিছুদিন আগে তাদের কাছে হালনাগাদ তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। এখনো আমরা সেই চিঠির উত্তর পাইনি। হালনাগাদ তালিকা পেলে অপসারণের বিষয়ে উদ্যোগ নেব।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১৪ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪