Ajker Patrika

রহনপুরে বেড়েছে আমের সরবরাহ, জমেছে হাট

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জুন ২০২২, ১৪: ০৩
রহনপুরে বেড়েছে আমের সরবরাহ, জমেছে হাট

চাঁপাইনবাবগঞ্জের দ্বিতীয় আমের হাট গোমস্তাপুরের রহনপুর আমবাজার। চলতি বছর এ উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম বেচাকেনার উদ্বোধন করা হয়নি। তবে গত মাসের শেষের দিক থেকে বাজারে আম বেচাকেনা শুরু হয়। প্রথমদিকে বাজারে আম তেমন না এলেও গত কয়েক দিন থেকে পুরোদমে আসতে শুরু করেছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে জমে উঠেছে বাজার।

জানা গেছে, উপজেলার এই বড় আমবাজারটি রহনপুর রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকায়। রেল, বাস, ট্রাক নৌকাসহ সব ধরনের যোগাযোগ রয়েছে বাজারটিতে। তাই বাগান থেকে আম এনে বিক্রি করতে কষ্ট হচ্ছে না কৃষকদের।

বাজারটি ঘুরে দেখা গেছে, ডালিতে করে বিভিন্ন জাতের আম নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। আড়তদার, স্থানীয় ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মৌসুমি ব্যবসায়ী, অনলাইন ব্যবসায়ীরা আকারভেদে আম কিনছেন তাঁদের থেকে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত আম বেচাকেনা করেন ব্যবসায়ীরা। তবে সকালের দিকে কিছুটা আমের আমদানি বাজারে কম থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমদানি বাড়তে থাকে বাজারটিতে।

জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন আমবাগান থেকে সারা দেশে সরাসরি আম সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে গোপালভোগ আমের সরবরাহ কমে গেছে। তবে এখন ক্ষীরসাপাতি (হিমসাগর), ল্যাংড়া, কালীভোগ, লক্ষণাসহ বিভিন্ন গুটিজাতের আমের সরবরাহ রয়েছে।

অন্যদিকে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকেরা আমের ব্যবসা করেছেন। তাঁরা অনলাইনে অর্ডার নিয়ে ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে আম সরবরাহ করছেন।

আম ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় মুকুল আসার সময় বৃষ্টি ও পরে অতিরিক্ত খরার কারণে আমের ফলন কম হয়েছে। বাজারে আমের সরবরাহ কম থাকায় দামও বেড়েছে। বাজারে ক্ষীরসাপাতি আম মণপ্রতি বেচাকেনা হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে। আর গুটিজাতের আম বেচাকেনা হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। এ ছাড়া ল্যাংড়া ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ফজলি ও আম্রপালি জাতীয় আম বাজারে আসতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।

আম আড়তদার সমবায় সমিতি লিমিটেডের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম বলেন এ বছর আমের উৎপাদন অনেক কম। বাজারে আম আসছে সীমিত আকারে। তবে কয়েক দিন থেকে আম বেশি আসছে। তিনি আরও বলেন, এখানে শতাধিক আড়ত রয়েছে। এই এলাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, শতকরা ৯৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছিল। আবহাওয়াজনিত কারণসহ অনেক কৃষক ঠিকভাবে পরিচর্চা না করায় এবার আমের ফলন কম হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত