Ajker Patrika

বেপরোয়া গতির কারণে চাপা পড়েন দুর্জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ২৮
বেপরোয়া গতির কারণে  চাপা পড়েন দুর্জয়

রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় নিহত একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়কে চাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অনাবিল পরিবহনের সুপারভাইজার গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়া। গতকাল শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের কাছ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দুই আসামি জবানবন্দি দেন।

এর আগে গত বুধবার এই দুই আসামিকে এক দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ড শেষে গতকাল তাঁদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই মোহাম্মদ আল আমিন মীর। এ সময় সড়ক পরিবহন আইনের মামলায় দুই আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দি শেষে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে দুই আসামি বলেছেন, তাঁদের অসাবধানতায় এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই দুর্জয় বাসচাপা পড়েন। এ ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাব্বী ও চাঁন মিয়া পালিয়ে যান। উপস্থিত জনতা গাড়িচালক সোহেলকে ধরে ফেলেন।

সোহেল এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার সময় পূর্ব রামপুরার ডিআইটি রোডে বাড্ডার দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির অনাবিল বাসের নিচে চাপা পড়ে দুর্জয়। বাসটি তার ওপর দিয়ে চলে গেলে ঘটনাস্থলেই দুর্জয়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ওই রুটে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে অন্তত ১৩টি বাসে আগুন দেয়। বেশ কয়েকটি বাসে ভাংচুরও করা হয়। এরপর এ ঘটনার বিচার দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। গতকাল পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান ছিল।

এদিকে দুর্জয় নিহতের ঘটনায় তার মা রাশিদা বেগম সড়ক দুর্ঘটনা আইনে রামপুরা থানায় মামলা করেছেন। আর ওই দুর্ঘটনার পর বাসে আগুন ও ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেছে। মামলায় গতকাল একজনকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত