জামালপুর প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। ১৬ বছর ধরে তাঁদের দখলে থাকা অধিকাংশেরই নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপির নেতারা। অন্য অনেক এলাকার মতো জামালপুরেও ঘটেছে এ ঘটনা।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে জড়িয়ে পড়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলটির জেলা শীর্ষ নেতারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর ধরে শহরের বাইপাস মোড় এলাকার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটির নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে। তাঁদের চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলের বাসমালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি কাজ করে বাসমালিক ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। ওই দিনই বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তরা বাসস্ট্যান্ড এলাকার চারটি কাউন্টারে ভাঙচুর চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসমালিক জানান, সরকার পতন শেষে আবার বাস চলাচল শুরুর পর থেকেই আওয়ামী লীগের মতো চাঁদাবাজি শুরু করেন বিএনপির নেতারা। ১২ আগস্ট থেকে সব মিলিয়ে দৈনিক ১৫ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয় জিপির নামে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাসমালিক বলেন, ‘যে সরকারই আসুক বাসস্ট্যান্ডে সব সময় জিপির নামে চাঁদাবাজি করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা ভেবেছিলাম, এই জিপির হাত থেকে রক্ষা পাব। কিন্তু পরে দেখি যে, আওয়ামী লীগ যা করেছে, এখন বিএনপি তা-ই করছে। তাহলে পার্থক্য কী হলো? বিএনপিও চাঁদাবাজ—আওয়ামী লীগও চাঁদাবাজ।’
শুধু কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালই নয়, জামালপুর পৌর বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সাদেকুর রহমান হীরার নেতৃত্বে একটি দল। তবে সেখানে কোনো চাঁদাবাজির খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া জামালপুর শহরসহ পুরো জেলায় সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সদরের শরিফপুর ইউনিয়নে বালুর ঘাট রয়েছে ৪টি। এখন প্রতিটি ঘাট থেকে দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা টোল উত্তোলন করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, এর অর্ধেক নিচ্ছেন দুই বিএনপির নেতা, বাকিটা ঘাটের ইজারাদার।
হাসিনার পদত্যাগের খবর শুনেই জামালপুরে মির্জা আজমসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া শহরের দেউড়পাড় এলাকায় মির্জা আজমের স্ত্রী আলেয়া আজমের নামে করা আলেয়া গার্ডেন লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এর নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির নেতারা। এ ছাড়া গরু, পুকুরের মাছ, অফিসের মালপত্র লুট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনো ধরনের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ না করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ যাঁরা অমান্য করে এসব ঘটনায় জড়িত হয়েছেন, তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সার্বিক বিষয়ে জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, দখলের অভিযোগটি সঠিক নয়। যাঁরা টোল আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় করেই টোল আদায় করা হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে থাকায় টার্মিনাল পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। তাই বিএনপির নেতারা টার্মিনালটি পরিচালনা করছেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। ১৬ বছর ধরে তাঁদের দখলে থাকা অধিকাংশেরই নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপির নেতারা। অন্য অনেক এলাকার মতো জামালপুরেও ঘটেছে এ ঘটনা।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে জড়িয়ে পড়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলটির জেলা শীর্ষ নেতারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর ধরে শহরের বাইপাস মোড় এলাকার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটির নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে। তাঁদের চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলের বাসমালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি কাজ করে বাসমালিক ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। ওই দিনই বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তরা বাসস্ট্যান্ড এলাকার চারটি কাউন্টারে ভাঙচুর চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসমালিক জানান, সরকার পতন শেষে আবার বাস চলাচল শুরুর পর থেকেই আওয়ামী লীগের মতো চাঁদাবাজি শুরু করেন বিএনপির নেতারা। ১২ আগস্ট থেকে সব মিলিয়ে দৈনিক ১৫ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয় জিপির নামে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাসমালিক বলেন, ‘যে সরকারই আসুক বাসস্ট্যান্ডে সব সময় জিপির নামে চাঁদাবাজি করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা ভেবেছিলাম, এই জিপির হাত থেকে রক্ষা পাব। কিন্তু পরে দেখি যে, আওয়ামী লীগ যা করেছে, এখন বিএনপি তা-ই করছে। তাহলে পার্থক্য কী হলো? বিএনপিও চাঁদাবাজ—আওয়ামী লীগও চাঁদাবাজ।’
শুধু কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালই নয়, জামালপুর পৌর বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সাদেকুর রহমান হীরার নেতৃত্বে একটি দল। তবে সেখানে কোনো চাঁদাবাজির খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া জামালপুর শহরসহ পুরো জেলায় সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সদরের শরিফপুর ইউনিয়নে বালুর ঘাট রয়েছে ৪টি। এখন প্রতিটি ঘাট থেকে দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা টোল উত্তোলন করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, এর অর্ধেক নিচ্ছেন দুই বিএনপির নেতা, বাকিটা ঘাটের ইজারাদার।
হাসিনার পদত্যাগের খবর শুনেই জামালপুরে মির্জা আজমসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া শহরের দেউড়পাড় এলাকায় মির্জা আজমের স্ত্রী আলেয়া আজমের নামে করা আলেয়া গার্ডেন লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এর নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির নেতারা। এ ছাড়া গরু, পুকুরের মাছ, অফিসের মালপত্র লুট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনো ধরনের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ না করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ যাঁরা অমান্য করে এসব ঘটনায় জড়িত হয়েছেন, তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সার্বিক বিষয়ে জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, দখলের অভিযোগটি সঠিক নয়। যাঁরা টোল আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় করেই টোল আদায় করা হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে থাকায় টার্মিনাল পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। তাই বিএনপির নেতারা টার্মিনালটি পরিচালনা করছেন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪