Ajker Patrika

আবার সচল পুলিশ সদস্য মফিজুল হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ১৯
Thumbnail image

কয়রা উপজেলার গোলখালী গ্রামে নাশকতা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে ২০১৩ সালের ১০ মার্চ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন পুলিশ সদস্য মফিজুল ইসলাম। ওই ঘটনায় স্থানীয় আংটিহারা পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ মোমিনুর রহমান বাদী হয়ে কয়রা থানায় হত্যা মামলা করেন। এর মধ্যে চারবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন শেষে ২০১৫ সালের ২১ মে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক সরদার হায়াত আলী ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামিপক্ষ থেকে এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁরা উচ্চ আদালতে এ মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের তদবিরে দীর্ঘদিন এ মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আব্দুল লতিফ। তিনি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি তাইজুল গাজীকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে ফের সচল হয়েছে চাঞ্চল্যকর এ মামলার নথি।

বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, আগের তদন্ত কর্মকর্তার অভিযোগপত্রকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ওই অভিযোগপত্রে ৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। বাকি আসামিদের পলাতক দেখানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী এসআই মোমিনুর রহমান ২০১৩ সালের ৯ মার্চ রাতে কয়রা থানার ৭ (৩) ১৩ নম্বর মামলার এজাহার নামীয় আসামি গনি সরদারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল স্থানীয় নাছের আলী ও আছের আলীর। এর জের ধরে নাছের বাহিনী গনি সরদারের বাড়িতে যায়। গনিকে না পেয়ে তার স্কুলপড়ুয়া ছেলে সিরাজুলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বাড়ির নারী ও শিশুরা চিৎকার শুরু করেন।

পরে স্থানীয় মসজিদে প্রচার করা হয় নাছের বাহিনীর লোকজন গ্রামে হামলা করেছে। তখন গ্রামবাসী সমবেত হয়ে নাছের বাহিনীর কাছ থেকে সিরাজুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় নাশকতার মামলা হয়। এ মামলার আসামি ধরতে গেলে আছের আলীর সহায়তায় আসামি রউফ শেখ গুলি করলে কনস্টেবল মফিজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। এ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

সিআইডি কর্মকর্তার দেওয়া অভিযোগপত্র অনুযায়ী মামলার পলাতক আসামিরা হলেন—গোলখালীর মৃত আমির চাঁদ সরদারের ছেলে গনি সরদার, তার স্ত্রী আয়শা বেগম, ছেলে আনারুল ও সিরাজুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত মোছের আলী গাজীর ছেলে মফিজুল ইসলাম নান্নু ও রেজাউল ইসলাম (ইউপি মেম্বর), ছোট আংটিহারার মৃত মান্দার মোড়লের ছেলে নাছের আলী মোড়ল ও আছের আলী মোড়ল, নেছার মোড়লের ছেলে গোলাম মোস্তফা রিপন, গোলখালীর মৃত নওশের শেখের ছেলে রউফ শেখ, আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে তাইজুল গাজী, ছোট আংটিহারার দাউদ শেখের ছেলে দাদরিজ শেখ। এর মধ্যে আছের আলী মোড়ল সম্প্রতি দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণ-অভ্যুত্থান ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম

ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন সিরামিক শিল্পের মালিকেরা

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

নির্বাচিত সরকারের আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি থেকে পিছু হটলেন তিতুমীর শিক্ষার্থীরা

ফরিদপুরে মাছ ধরা নিয়ে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত