Ajker Patrika

এক দিনের শহীদ মিনার

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৩২
এক দিনের শহীদ মিনার

বেতাগী উপজেলায় ১৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোর মধ্যে ১১২টিতে নেই স্থায়ী কোনো শহীদ মিনার। অথচ সরকারি আদেশ অনুযায়ী, প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক। বছর ঘুরে আসে একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে এসব প্রতিষ্ঠানে এক দিনের জন্য শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। বেদিতে দেওয়া হয় ফুল।

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১টি মাধ্যমিক, ৮টি নিম্ন মাধ্যমিক, ২২টি মাদ্রাসা ও ৯টি কলেজ রয়েছে। ৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২২টি মাদ্রাসা মিলিয়ে মোট ১১২টি প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় শহীদ মিনার নেই।

একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নিম্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। তাই প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে একদিনের জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ, ককশিট কিংবা কলাগাছসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে। বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। তবে করোনার প্রভাবে বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। তা ছাড়া অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না বানিয়ে শুধু আলোচনা সভা বা মিলাদ অনুষ্ঠান করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে তাও করা হয় না। শিগগির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা দরকার।

অভিভাবকেরা বলেন, বেশির ভাগ বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার নেই। ওই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানে না শহীদ মিনারের তাৎপর্য। আবার যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে, সেগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ধুলা পড়ে। একুশে ফেব্রুয়ারির কয়েক দিন আগে শহীদ মিনার ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়। সারা বছর আবার অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে। শহীদ মিনারের প্রতি সবার দৃষ্টি দেওয়া দরকার। এগুলো পরিচ্ছন্ন রাখা সবার দায়িত্ব।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমানর বলেন, যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ডেকে শিগগিরই শহীদ মিনার তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার নির্মাণ করা প্রয়োজন। তবে বরাদ্দ না থাকায় শতভাগ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, তার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ধাপে ধাপে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত