Ajker Patrika

সাতছড়িতে দুর্লভ পাখি ‘কালো দামা’

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ১১: ৫৭
সাতছড়িতে দুর্লভ পাখি ‘কালো দামা’

দেশের পাখির সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য বলা হয় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানকে। অন্তত দুই শতাধিক প্রজাতির পাখির এই আশ্রয়কেন্দ্রে তাই সব সময়ই দেখা যায় আলোকচিত্রীদের ভিড়, বিশেষ করে পাখিপ্রেমী যাঁরা। এমনই এক পাখিপ্রেমী আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় এবার ধরা পড়েছে নামের মতোই সুন্দর, দুর্লভ এক পাখি।

বসন্তের সুন্দর কিছু মুহূর্ত ধারণ আর নতুন কোনো পাখির সন্ধানের প্রত্যাশায় কয়েক দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন পেশাদার আলোকচিত্রীরা। তবে এবার অন্য সবাইকে তাক লাগিয়েছেন মো. তামজিদ আলম নামে এক আলোকচিত্রী। তিনি এমন এক পাখির অনিন্দ্যসুন্দর দৃশ্য ধারণ করেছেন, যা আর কেউ পারেননি। পাখিটির নাম ‘ধূসর ডানা কালো দামা’।

জানতে চাইলে তামজিদ আলম বলেন, ‘সাতছড়ি টাওয়ার থেকে আমরা অনেকেই পাখির ছবি তুলতে যাই। সৌভাগ্যবশত আমার ক্যামেরায় ধূসর ডানা কালো দামা পাখিটি ধরা পড়ে। এটি সারা দেশেই দুর্লভ। আমার আগে কেউ এ ধরনের পরিষ্কার শট নিতে পারেননি।’

পাখিটির বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান সুভাস দেব জানান, ধূসর ডানা কালো দামা পাখিটির ইংরেজি নাম ‘গ্রে-উইংড ব্ল্যাকবার্ড’। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই এই পাখি দুর্লভ।

সুভাস দেব আরও জানান, পাখিটির দৈর্ঘ্য ২৯ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৮৫ থেকে ১০৫ গ্রাম হয়। সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় এই পাখি পাওয়া যায়। এর মাথায়, ঘাড়ে, পিঠে এবং নিচের অংশে কালো দাগ থাকে। নিচের অংশগুলো ধূসর কালো। ডানায় সাদা টিপস আছে। লেজ কালো। হিমালয়ের ১৮০০ থেকে ২৭০০ মিটারের মধ্যে এই পাখি বংশবৃদ্ধি করে।

শীতকালে শুকনো ঝোপঝাড়, জঙ্গল এবং গ্রামের আশপাশে থাকে। কালো দামার প্রধান খাবার পোকামাকড় ও লার্ভা।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রতি বছরই দুর্লভ পাখির দেখা মিলছে। তবে পাখির আবাস নিরাপদ করতে পারলে এখানে আরও বেশি পাখি পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত