Ajker Patrika

‘কেউ ভালো করলে যেন সুযোগ পায়’

বোরহান জাবেদ, ঢাকা
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮: ৫০
Thumbnail image

৩২ বয়সী পেস বোলার হলেও একটা সংস্করণ ছেড়ে দেওয়ার মতো এমন কোনো বয়স নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের কঠিন বাস্তবতা আর ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় দৈর্ঘ্যের সংস্করণে তরুণদের সুযোগ করে দিতে লাল বলের ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন রুবেল হোসেন।

রুবেলের লাল বলের ক্যারিয়ার এমনি মনে রাখার মতো নয়। ১২ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে কখনোই টেস্টে থিতু হতে পারেননি। ২৭ টেস্ট খেলে উইকেট ৩৬টি, বোলিং গড় ৭৬.৭৭। ১০টির বেশি টেস্ট খেলা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে বোলিং গড় তাঁর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০ ম্যাচ খেলে ৯৭ উইকেট। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও এই ছিলেন এই নেই। গত বছর ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেননি।

ক্যারিয়ারজুড়ে লাল বলের ক্রিকেটের সঙ্গে রুবেলের ঠিক সখ্য গড়ে ওঠেনি। এই বৈরিতা মানছেন রুবেলও। সাদা বলের ক্রিকেট উপভোগ করেন। মনোযোগ পুরোপুরি সেখানেই দিতে চান। গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলছিলেন, ‘(লাল বল নিয়ে) আক্ষেপ নেই। আমি কোনো সংস্করণেই নিয়মিত ছিলাম না। দলের সঙ্গে থেকেছি, ম্যাচ খেলেছি, ওঠা-নামার ক্যারিয়ার। টেস্টে ম্যাচ খেলেছি খুবই কম, উইকেটও কম। সাদা বলের ক্রিকেট উপভোগ করি, আমার যত ভালো রেকর্ড ওয়ানডেতেই। সাদা বলে আরও অনেক বছর জাতীয় দলে খেলতে চাই।’

সাদা বলের ক্রিকেটে রুবেল নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নিজের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ছিলেন ‘দর্শকে’র ভূমিকায়। এই মুহূর্তে একেবারেই দলের বাইরে। বাদ পড়ার যে কারণটা তাঁকে বলা হয়েছে, সেটা ঠিক বোধগম্য নয় রুবেলের, ‘আমাদের তো একটাই কথা, টিম কম্বিনেশন। টি-টোয়েন্টিতে আমি শেষ কয়েকটা সিরিজে দলের সঙ্গে ছিলাম। শেষ যে ম্যাচটা খেললাম, সেটাতে পেস বোলারদের মধ্যে আমিই ভালো করেছিলাম। ওয়ানডেতেও একই। ওই ম্যাচে আমি ৩ উইকেট নিয়েছিলাম (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে)। এরপর আর খেলার সুযোগ পাইনি। বাদ পড়লাম টিম কম্বিনেশনের কারণে। বাদ পড়তেই পারি, আমাদের এখন অনেক ভালো ভালো পেস বোলার আছে। চাই আরও ভালো ভালো বোলার আসুক। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, যে ছেলেটা পারফর্ম করবে বা করে, তারা যেন ম্যাচ খেলতে পারে।’

ঘরোয়া ক্রিকেট চাইলেই চালিয়ে যেতে পারতেন রুবেল। কিন্তু ফিটনেস আর বাস্তবতার সঙ্গে লুকোচুরি করতে চাননি। নিজের জায়গাটা তিনি ছেড়ে দিতে চেয়েছেন নতুনদের সামনে, ‘লংগার ভার্সন একজন ক্রিকেটারের উন্নতির বড় জায়গা। একটা নতুন ছেলে যদি আমার জায়গায় খেলতে পারে, তার জন্য ভালো হবে। একটা তরুণ ছেলের জন্য নিজেকে প্রমাণের সবচেয়ে ভালো জায়গা হচ্ছে জাতীয় লিগ। এখানে পারফর্ম করলেই কিন্তু তাকে চেনে, নির্বাচকেরা দেখেন। উঠে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দেখছি জাতীয় দলে আমার আর সুযোগ নেই (টেস্টে)। আমার শরীর, ফিটনেস ও সাদা বলে ক্যারিয়ার লম্বা করার ভাবনা মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত