ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পণ্য না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এমন ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ নগরীর সভাপতি শিব্বির আহম্মেদ লিটন বলেন, নজরদারি না বাড়ালে নিম্ন আয়ের মানুষ তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাও বঞ্চিত হয়ে পেট মোটা হবে ডিলারদের। তাই যারা অনিয়ম করছে, তাদের লাগাম টানা এখনই দরকার।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, সিটি করপোরেশনের মধ্যে ১৭ জন ডিলার থেকে ক্রেতারা চাল ও আটা পাঁচ কেজি করে একসঙ্গে কিনতে পারবেন। আলাদাভাবে একটা পণ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পণ্য বিতরণ করতে হবে। কালোবাজারে পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। এসব বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, সরকার জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গত ১ অক্টোবর থেকে স্বল্পমূল্যে আটা ও চাল বিক্রি শুরু করে। সিটিকরপোরেশন এলাকায় ১৭ জন ডিলার ও ৭ জন ট্রাক ডিলারের মাধ্যমে সপ্তাহে পাঁচ দিন জনপ্রতি ৩০ টাকা ধরে পাঁচ কেজি চাল এবং ১৮ টাকা ধরে আটা বিক্রি করে। এ ছাড়া প্রতিটি পৌরসভা ও উপজেলায় একজন করে মোট ৪১ জন ডিলার রয়েছেন। তাঁরা দৈনিক এক টন করে চাল বিক্রি করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বাতিরকল এলাকায় ফায়ার সার্ভিস অফিসের বিপরীত দিকে পণ্য নিতে নারী ও পুরুষের দীর্ঘ লাইন। কেউ ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল ১০টা বাজলেও কাঙ্ক্ষিত পণ্য ক্রয় করতে পারেনি। ষাটোর্ধ্ব নারী ফাতেমা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, ‘গরিবের মাল লুটেপুটে খাচ্ছে কারা। তিন দিন চাল-আটা কিনতে এসে ঘুরে গেছি কিন্তু পাইনি। আজকেও ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, কপালে থাকলে পাব। তবে খুব কম মানুষেই পাচ্ছে।’
জয়নাল আবেদীন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘একজন ক্রেতা পাঁচ কেজি করে চাল ও আটা পাওয়ার কথা। কিন্তু আমরা সপ্তাহে এক দিন আটা এবং বাকি পাঁচ দিন চাল পেয়ে থাকি। তাহলে আটাগুলো কোথায় যাচ্ছে। প্রশাসন তদারক করলেই বেরিয়ে আসবে।’
হাজেরা বেগম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এক মাস ধরে এখানে আসছি আটা নিতে। কিন্তু আটা তাদের কাছে কিনতে চাইলে বলে, শেষ হয়ে গেছে। খুব বেশি মানুষ আটা পায় বলে মনে হয় না। বাজারে একটু আটার দাম বাড়ায় তা কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে।’
কোহিনূর বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘অভাব না থাকলেও কি ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বল্পমূল্যে চাল-আটা কিনতাম।ডিলাররা বলে, আটা-চাল একসঙ্গে দিলে তাদের সমস্যা হয়। তাই একবার চাল দিয়ে আর আটা দেয় না। আমরা আটা-চাল একসঙ্গে পেলে বেশ কয়েক দিন চলে যেত।’
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি সরকারের একটি বিশেষ উদ্যোগ। এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি কী করা যায়।
ময়মনসিংহে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পণ্য না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এমন ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ নগরীর সভাপতি শিব্বির আহম্মেদ লিটন বলেন, নজরদারি না বাড়ালে নিম্ন আয়ের মানুষ তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাও বঞ্চিত হয়ে পেট মোটা হবে ডিলারদের। তাই যারা অনিয়ম করছে, তাদের লাগাম টানা এখনই দরকার।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, সিটি করপোরেশনের মধ্যে ১৭ জন ডিলার থেকে ক্রেতারা চাল ও আটা পাঁচ কেজি করে একসঙ্গে কিনতে পারবেন। আলাদাভাবে একটা পণ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পণ্য বিতরণ করতে হবে। কালোবাজারে পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। এসব বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, সরকার জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গত ১ অক্টোবর থেকে স্বল্পমূল্যে আটা ও চাল বিক্রি শুরু করে। সিটিকরপোরেশন এলাকায় ১৭ জন ডিলার ও ৭ জন ট্রাক ডিলারের মাধ্যমে সপ্তাহে পাঁচ দিন জনপ্রতি ৩০ টাকা ধরে পাঁচ কেজি চাল এবং ১৮ টাকা ধরে আটা বিক্রি করে। এ ছাড়া প্রতিটি পৌরসভা ও উপজেলায় একজন করে মোট ৪১ জন ডিলার রয়েছেন। তাঁরা দৈনিক এক টন করে চাল বিক্রি করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বাতিরকল এলাকায় ফায়ার সার্ভিস অফিসের বিপরীত দিকে পণ্য নিতে নারী ও পুরুষের দীর্ঘ লাইন। কেউ ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল ১০টা বাজলেও কাঙ্ক্ষিত পণ্য ক্রয় করতে পারেনি। ষাটোর্ধ্ব নারী ফাতেমা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, ‘গরিবের মাল লুটেপুটে খাচ্ছে কারা। তিন দিন চাল-আটা কিনতে এসে ঘুরে গেছি কিন্তু পাইনি। আজকেও ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, কপালে থাকলে পাব। তবে খুব কম মানুষেই পাচ্ছে।’
জয়নাল আবেদীন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘একজন ক্রেতা পাঁচ কেজি করে চাল ও আটা পাওয়ার কথা। কিন্তু আমরা সপ্তাহে এক দিন আটা এবং বাকি পাঁচ দিন চাল পেয়ে থাকি। তাহলে আটাগুলো কোথায় যাচ্ছে। প্রশাসন তদারক করলেই বেরিয়ে আসবে।’
হাজেরা বেগম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এক মাস ধরে এখানে আসছি আটা নিতে। কিন্তু আটা তাদের কাছে কিনতে চাইলে বলে, শেষ হয়ে গেছে। খুব বেশি মানুষ আটা পায় বলে মনে হয় না। বাজারে একটু আটার দাম বাড়ায় তা কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে।’
কোহিনূর বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘অভাব না থাকলেও কি ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বল্পমূল্যে চাল-আটা কিনতাম।ডিলাররা বলে, আটা-চাল একসঙ্গে দিলে তাদের সমস্যা হয়। তাই একবার চাল দিয়ে আর আটা দেয় না। আমরা আটা-চাল একসঙ্গে পেলে বেশ কয়েক দিন চলে যেত।’
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি সরকারের একটি বিশেষ উদ্যোগ। এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি কী করা যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪