Ajker Patrika

২৫ দিন পর চালু ফের বন্ধের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২২, ১২: ২০
২৫ দিন পর চালু ফের বন্ধের শঙ্কা

কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) ২৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও উৎপাদন শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার ভোরে কারখানায় উৎপাদন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (উৎপাদন) মোহাম্মদ মঈদুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, রাত ৩টার দিকে কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়। এরপর সকালে পাওয়ার হাউসে সমস্যার কারণে উৎপাদন বন্ধ ছিল। পরে বিকেলে আবার উৎপাদন শুরু হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ মঈদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল পর্যন্ত ৪ থেকে ৫ টন কাগজ উৎপাদন করা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে যে পরিমাণ কাঁচামাল আছে, তাতে কারখানা এক সপ্তাহ চালু রাখা যাবে। এর মধ্যে কাঁচামাল সংগ্রহ করা না গেলে আবারও কারখানা বন্ধ রাখতে হবে।’ এখন কারখানায় যে পরিমাণ কাঁচামাল আছে, তাতে ১০০ টনের মতো কাগজ উৎপাদন করা যাবে বলে তিনি জানান।

এর আগে কাঁচামাল-সংকটে ঈদুল আজহার আগে গত ৬ জুলাই থেকে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে কয়েক মাস ধরে বিদেশ থেকে মণ্ড সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। গত ছয় মাসে তিন দফায় টেন্ডার আহ্বান করেও কোনো দরদাতা পাওয়া যায়নি।

বেসরকারি সাইড কাটিং কাগজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আগে যেখানে এক টন সাইড কাটিং কাগজের পেছনে ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকা খরচ হতো, সেখানে এখন প্রতি টন সাইড কাটিং কাগজের দর দেওয়া হচ্ছে ৭১ থেকে ৭২ হাজার টাকা। যে কারণে ৬ মাস ধরে বিদেশি পাল্প এবং দেশের বেসরকারি সাইড কাটিং কাগজ সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গত ৬ জুলাই থেকে পেপার উৎপাদন বন্ধ রাখে কর্ণফুলী পেপার মিল কর্তৃপক্ষ। সরকারি প্রেস থেকে সাইড কাটিং কাগজ সংগ্রহ করার পর এখন সেগুলো দিয়েই কারখানা চালু করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্ণফুলী পেপার মিলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে কিনে আনা পুরোনো কিছু পাল্প ছিল, পুরোনো গার্ভেজ থেকে বাছাই করা কাগজ এবং সরকারি প্রেস থেকে সংগ্রহ করা সাইড কাটিং কাগজ দিয়ে এখন উৎপাদন চালু করা হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা বোর্ড থেকে আমরা কাগজ সরবরাহ করার অর্ডার পেয়েছি। এখন যেসব কাগজ উৎপাদন করা হবে, সেগুলো এসব প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং শাখা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কর্ণফুলী পেপার মিলে ৪০০ টনের মতো কাগজের অর্ডার আছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ৯০ মেট্রিক টন কাগজের অর্ডার আছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ৮০ মেট্রিক টন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৮০ মেট্রিক টন, পোস্টাল প্রিন্টিং বিভাগের ৬০ টন, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ৬০ টন এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডের ২০ টন কাগজের অর্ডার আছে। এই ৪০০ টন কাগজের অর্ডারের বিপরীতে এখন কারখানায় যে পরিমাণ কাঁচামাল আছে, তাতে ১০০ টন কাগজ উৎপাদন করা যাবে। বাকি ৩০০ টন কাগজ সরবরাহ করতে হলে প্রতিষ্ঠানটিকে আগে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত