Ajker Patrika

কাজ সামলাতে চুক্তি ভিত্তিতে ঘরোয়া দরজিরা দোকানে

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
Thumbnail image

করোনার প্রভাব কাটিয়ে দুই বছর পর খাগড়াছড়ির রামগড়ে ঈদকেন্দ্রিক ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠেছে। তৈরি পোশাক কেনার পাশাপাশি নিজের পছন্দের ষোলোআনা পাওয়ার জন্য দরজি দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

উপজেলায় ঈদ উপলক্ষে জামা-প্যান্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা, থ্রিপিস সেলাইয়ের জন্য দরজি দোকানে ভিড় দেখা গেছে। এ ছাড়া করোনার পর শিশুদের স্কুল পোশাকের চাহিদা থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন দরজিরা।

দরজি দোকানিরা বলছেন, একসঙ্গে এত জামা-কাপড় সেলাইয়ের কাজ তারা আগে পাননি। কাজ সামলাতে প্রত্যন্ত এলাকার ঘরোয়া দরজিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে দোকানে আনা হচ্ছে। তবুও সময় মতো নতুন জামা তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। কাজের চাপে নতুন ফরমায়েশ নিতে পারছেন না। 
ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার দরজি কারিগরদের কাজ কয়েক গুণ বেড়েছে। বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রিপিস তৈরিতে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হয়। ব্লাউজ-পেটিকোট সেলাইয়ে ২০০ টাকা, বোরকা ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছেলেদের শার্ট ২০০ থেকে ৩০০, প্যান্ট ৪০০ থেকে সাড় ৫০০ টাকা এবং পাঞ্জাবির জন্য ডিজাইন অনুযায়ী ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি নেওয়া হয়।

বিভিন্ন দোকানে পোশাক তৈরিতে দরজিদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। মাপ অনুযায়ী পোশাক কাটতে ব্যস্ত কারিগর। শেষ সময়ে ক্রেতাদের ফরমায়েশ বুঝিয়ে দেওয়া হলেও নতুন ফরমায়েশ আর নেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। রামগড়ের পুলিশ বক্সের গলির দরজিদের সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায়।

পুলিশ বক্সের গলিতে পাঞ্জাবি সেলাইয়ের জন্য আসা ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘রেডিমেড কিনলে পোশাকের ফিটিং ঠিকঠাক হয় না। ফিটিংয়ের জন্য অনেক সময় দরজির দোকানে আসতে হয়। ঝামেলা এড়াতে আমার পছন্দের ডিজাইন দিয়ে পাঞ্জাবি তৈরি করে নিচ্ছি।’

আল আমীন টেইলার্সে এক দরজি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ থাকায় গত দুই বছর তেমন ব্যবসা হয়নি। এ বছর রমজানের শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই পোশাক তৈরির অর্ডার পেয়েছি। ঠিক সময় কাজ শেষ করতে নতুন অর্ডার নেওয়া প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবু হিমশিম খাচ্ছি। আশা করি, গত দুই বছরের ঘাটতি এ বছর পুষিয়ে উঠতে পারব।’

হরেন্দ্র শীল জানান, রমজানের শুরুতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হতো, আর এখন সকাল থেকে গভীর রাত অবধি কাজ করতে হচ্ছে। কাজের প্রচণ্ড চাপ থাকায় প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঘরোয়া দরজিদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়ে এসেছেন। তবুও কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত