মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা, রাজিহার, বাকাল, বাগধা ও রত্নপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা মিলে অপরূপ এক দৃশ্যের। সবুজ প্রকৃতির মাঝে রোদ ঝলমলে জারুলগাছগুলোয় শোভা পাচ্ছে গাঢ় বেগুনি রঙের ফুল। চলার পথে পথিক থমকে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন জারুল ফুলের বেগুনি রঙের আভা।
নীলাভ ও গোলাপি দুই রঙের জারুল ফুল বাংলাদেশে থাকলেও বেশির ভাগ জায়গায় নীল রঙের ফুলের গাছটিই বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
গাছের পাতা সবুজ এবং পুরু ও বেশ প্রশস্ত ধরনের। গাছের শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড শাখা প্রশাখার অগ্রভাগে দণ্ড বোঁটায় অসংখ্য ফুল ফোটে। বোঁটার নিচ থেকে প্রথম ফুল ফোটা শুরু হয়ে বোঁটার সামনের দিকে ধীরে ধীরে ফুল ফোটে।
এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ফুল আসে। ফুল ঝরে পড়ার পর ফল পরিপক্ব হতে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগে। গাছ ফুলে ছেয়ে গেলেও চারপাশে তেমন সুগন্ধি ছড়ায় না। তবে এর দৃষ্টিনন্দন রং ও রূপের শোভায় সবারই চোখ আটকে যায়। জারুল ফুল ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার চওড়া হয়। ফল ডিম্বাকার, শক্ত ও বাদামি। বীজ ১ সেন্টিমিটার চওড়া, পাতলা বাদামি রঙের। বীজে থেকেই এর বংশবৃদ্ধি হয়।
জারুল গাছ থেকে কাঠ করতে চাইলে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ বছর সময় লাগে। এর কাঠের রং লালচে ধরনের। জমি চাষের লাঙল, ঘর নির্মাণ, নৌকা ও আসবাবপত্র তৈরিতে এই কাঠ ব্যবহার করা যায়।
জারুলকে অনেকে বলেন বাংলার চেরি। গ্রীষ্মে অপূর্ব হয়ে ফোটে এই ফুল।
জারুলের রঙে মুগ্ধ হয়ে কবি আহসান হাবীব তাঁর স্বদেশ কবিতায় লিখেছেন
মনের মধ্যে যখন খুশি
এই ছবিটি আঁকি
এক পাশে তার জারুল গাছে
দুটি হলুদ পাখি,
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানান, জারুলের আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায় হলেও এটি ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে জারুল গাছের দেখা মেলে। জারুল ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম লেজারস্ট্রমিয়া স্পেসিওসা। জারুল গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়ে থাকে। গ্রীষ্মের শুরুতেই এর ফুল ফোটে এবং শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। জারুল গাছের বীজ, ছাল ও পাতা ডায়াবেটিস রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাম হোসেন জানান, জারুল গাছের বিভিন্ন অংশের রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। এই গাছের শিকড় সিদ্ধ করে সেই পানি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে কয়েক দিন খেলে কাশি ভালো হয়ে যায়।
আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা, রাজিহার, বাকাল, বাগধা ও রত্নপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা মিলে অপরূপ এক দৃশ্যের। সবুজ প্রকৃতির মাঝে রোদ ঝলমলে জারুলগাছগুলোয় শোভা পাচ্ছে গাঢ় বেগুনি রঙের ফুল। চলার পথে পথিক থমকে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন জারুল ফুলের বেগুনি রঙের আভা।
নীলাভ ও গোলাপি দুই রঙের জারুল ফুল বাংলাদেশে থাকলেও বেশির ভাগ জায়গায় নীল রঙের ফুলের গাছটিই বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
গাছের পাতা সবুজ এবং পুরু ও বেশ প্রশস্ত ধরনের। গাছের শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড শাখা প্রশাখার অগ্রভাগে দণ্ড বোঁটায় অসংখ্য ফুল ফোটে। বোঁটার নিচ থেকে প্রথম ফুল ফোটা শুরু হয়ে বোঁটার সামনের দিকে ধীরে ধীরে ফুল ফোটে।
এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ফুল আসে। ফুল ঝরে পড়ার পর ফল পরিপক্ব হতে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগে। গাছ ফুলে ছেয়ে গেলেও চারপাশে তেমন সুগন্ধি ছড়ায় না। তবে এর দৃষ্টিনন্দন রং ও রূপের শোভায় সবারই চোখ আটকে যায়। জারুল ফুল ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার চওড়া হয়। ফল ডিম্বাকার, শক্ত ও বাদামি। বীজ ১ সেন্টিমিটার চওড়া, পাতলা বাদামি রঙের। বীজে থেকেই এর বংশবৃদ্ধি হয়।
জারুল গাছ থেকে কাঠ করতে চাইলে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ বছর সময় লাগে। এর কাঠের রং লালচে ধরনের। জমি চাষের লাঙল, ঘর নির্মাণ, নৌকা ও আসবাবপত্র তৈরিতে এই কাঠ ব্যবহার করা যায়।
জারুলকে অনেকে বলেন বাংলার চেরি। গ্রীষ্মে অপূর্ব হয়ে ফোটে এই ফুল।
জারুলের রঙে মুগ্ধ হয়ে কবি আহসান হাবীব তাঁর স্বদেশ কবিতায় লিখেছেন
মনের মধ্যে যখন খুশি
এই ছবিটি আঁকি
এক পাশে তার জারুল গাছে
দুটি হলুদ পাখি,
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানান, জারুলের আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায় হলেও এটি ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে জারুল গাছের দেখা মেলে। জারুল ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম লেজারস্ট্রমিয়া স্পেসিওসা। জারুল গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়ে থাকে। গ্রীষ্মের শুরুতেই এর ফুল ফোটে এবং শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। জারুল গাছের বীজ, ছাল ও পাতা ডায়াবেটিস রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাম হোসেন জানান, জারুল গাছের বিভিন্ন অংশের রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। এই গাছের শিকড় সিদ্ধ করে সেই পানি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে কয়েক দিন খেলে কাশি ভালো হয়ে যায়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪