Ajker Patrika

গাছ কাটায় উজাড় হচ্ছে নিয়ানপুর শালবাগান

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ মে ২০২২, ১৬: ৪৯
Thumbnail image

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের নিয়ানপুর শালবাগান। একসময় কানায় কানায় ভরে ছিল শালগাছে। এত বেশি গাছ ছিল যে, দিনের বেলায় সূর্যের আলো ঢুকত না বাগানে। গাছের কারণে পা ফেলাই দুষ্কর হয়ে পড়ত। কিন্তু এখন সে চিত্র আর নেই।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বাগানের মাঝে অনন্ত ২০০ গজে কোনো শালগাছ নেই। আশপাশে কিছু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কেটে নেওয়া অর্ধশতাধিক গাছের গোড়া (মুড়া) পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে, গাছগুলো কারা কেটেছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি। এ ছাড়া শালবাগানজুড়ে গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণের কারণে নতুনভাবে কোনো গাছ গজিয়ে উঠতে পারছে না বলে মনে করছে স্থানীয় সচেতন মহল।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় এ বাগান দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসত। বর্তমানে শালবাগান বেহাল ও বখাটেদের উৎপাতের কারণে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। শালবাগান নিয়ে উপজেলা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কারোরই তদারকি নেই। দিনের বেলায় বাগানে বসে জুয়ার আসর।

বাগানে কথা হয় রাণীশংকৈল পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর সরকারের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘এ বাগানে একসময় গাছের এত সমারোহ ছিল যা বলে বোঝানো যাবে না। শুধু প্রশাসনের সঠিক তদারকি ও শালগাছের পরিচর্যা ও সংরক্ষণের অভাবে আজ বিলীনের পথে শালবাগান।’

শালবন রক্ষা আন্দোলনের নেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘শালবাগান রক্ষায় ইতিমধ্যে পৌর শহরের বন্দর বাজারে সম্মিলিত সাধারণ জনতার ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে। তবে, বাগান রক্ষায় প্রশাসনের তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।’

উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জাহেরুল ইসলাম জানান, নিয়ানপুর মৌজার ১৮ একর ৩৫ শতক জমির ওপর রয়েছে শালবাগানটি। বাগানে বর্তমানে সব মিলে শাল গাছের সংখ্যা ৫০৪ টি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘শালবাগান রক্ষায় এবং সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪০০ মিটার এলাকায় প্রাচীরের পিলার স্থাপন করা হয়। পর্যায়ক্রমে পুরো শালবাগানটি ঘিরে ফেলা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত