মো. আব্দুল করিম
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মিডিয়ার মাধ্যমে সহজেই সমাজ-সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। তাই অনেক সময় বলা হয় মিডিয়া-সমাজ-সংস্কৃতি তিনটি আলাদা আলাদা ‘এনটিটি’ হলেও একটি অপরটির পরিপূরকও বটে। মিডিয়ার একধরনের শক্তি আছে। এই শক্তি সমাজে-রাষ্ট্রে দুই ধরনের প্রভাব ফেলে। এই যে মিডিয়াকে সূর্যের সঙ্গে তুলনা, রাষ্ট্রের ‘চতুর্থ স্তম্ভ’ বলা, কিংবা চলচ্চিত্র বা ফিল্মকে সমাজের প্রতিচ্ছবি বলা অথবা সমাজে মিডিয়ার প্রভাব কীভাবে কাজ করে; এসবের প্রশ্নসহ নানান প্রশ্নের উত্তর মিলবে মিডিয়া ও চলচ্চিত্রকে অধ্যয়নের মাধ্যমে। তা ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে যেখানে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’, সেখানে মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই বিপ্লবের অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে মিডিয়া। এই সময়ে নিজেকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আর নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা কিংবা নিজেকে নিজের মতো করে মেলে ধরার অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে এই (গণমাধ্যম) শিল্প খাত। আপনার নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর অপার সম্ভাবনা রয়েছে এ খাতে। বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীতেই মিডিয়ার যথেষ্ট প্রভাব বিদ্যমান। এসব প্রভাব যেন সমাজে ইতিবাচকভাবে প্রতিফলিত হয়, তার জন্য মিডিয়া-ফিল্মকে অধ্যয়ন জরুরি।
বৈচিত্র্যময় বিষয়
চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিষয়ে রয়েছে নানান বৈচিত্র্য। এটি কোনো গতানুগতিক ও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এটি কলা অনুষদ বা কোথাও কোথাও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যম ও ফিল্ম অধ্যয়নের শুরুর দিক থেকে বর্তমান মিডিয়া কিংবা ফিল্ম জগতে কী ঘটছে তার অনুসন্ধান করা হয়।
যোগাযোগের ধরন, মানবিক যোগাযোগ, সাংবাদিকতার ইতিহাস, ধরন, সংবাদ সংগ্রহ, লেখন, সম্পাদনা, পেজ-মেকআপ, সাংবাদিকতার নীতি ও শৈলী, টেলিভিশন, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ, ফটোগ্রাফি, নিউ মিডিয়া, জনসংযোগ, চলচ্চিত্রের ইতিহাস, চলচ্চিত্র তত্ত্ব, চলচ্চিত্র সমালোচনা, ডিজিটাল ফরম্যাটে চলচ্চিত্র নির্মাণ, চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা, অভিনয়, চিত্রনাট্য রচনা, শিল্প নির্দেশনা, পোশাক ও মেকআপ, চলচ্চিত্র প্রযোজনা, বাজারজাতকরণ, চলচ্চিত্রে শব্দ ও সংগীত, চলচ্চিত্রের নন্দনতত্ত্ব, চলচ্চিত্রব্যক্তিত্ব, গ্রাফিকস অ্যান্ড অ্যানিমেশন, পলিটিক্যাল ইকোনমি অব গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র সম্পর্কে গবেষণা প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে পাঠদান করা হয়।
ফটোগ্রাফি, বিজ্ঞাপন নির্মাণ, পেজ-মেকআপ, টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ, শিল্প নির্দেশনা, চলচ্চিত্র নির্মাণ, চিত্রগ্রহণ, অভিনয়, ডকুমেন্টারি নির্মাণ, পোশাক ও মেকআপ, সম্পাদনা প্রভৃতি বিষয়ে অত্যাধুনিক ল্যাবের মাধ্যমে হাতেকলমে শেখানো হয়।
কারা পড়বেন?
যাঁদের ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজ নিয়ে ভাবনা আছে, পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ কাজ করে, নিজেকে সেলিব্রেটি হিসেবে দেখতে চায়, মানুষের প্রতি মন কাঁদে, নিজেদের বুদ্ধিমত্তাকে দক্ষতার সঙ্গে মেলে ধরার স্পৃহা কাজ করে, তাঁদের এ বিষয়ে পড়তে আসা উচিত।
কোথায় পড়বেন?
বিশ্বে গণমাধ্যম নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন অনেক আগে শুরু হলেও বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে পরে শুরু হয়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশে চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শুরু হয় একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে। গণযোগাযোগ, গণমাধ্যম, সাংবাদিকতা, টেলিভিশন, ফটোগ্রাফি ও চলচ্চিত্র প্রভৃতি বিষয়ের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদানের অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসে। সেই ধারাবাহিকতায় গণযোগাযোগের পাশাপাশি ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নিয়ে প্রথম পাঠদান শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র বিষয়ে অধ্যয়ন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও শুরু হয়। বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে নির্মিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে নির্মিত ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালু আছে।
বিস্তারিত ajkerpatrika.com-এ।
লেখক: প্রভাষক, চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যায়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মিডিয়ার মাধ্যমে সহজেই সমাজ-সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। তাই অনেক সময় বলা হয় মিডিয়া-সমাজ-সংস্কৃতি তিনটি আলাদা আলাদা ‘এনটিটি’ হলেও একটি অপরটির পরিপূরকও বটে। মিডিয়ার একধরনের শক্তি আছে। এই শক্তি সমাজে-রাষ্ট্রে দুই ধরনের প্রভাব ফেলে। এই যে মিডিয়াকে সূর্যের সঙ্গে তুলনা, রাষ্ট্রের ‘চতুর্থ স্তম্ভ’ বলা, কিংবা চলচ্চিত্র বা ফিল্মকে সমাজের প্রতিচ্ছবি বলা অথবা সমাজে মিডিয়ার প্রভাব কীভাবে কাজ করে; এসবের প্রশ্নসহ নানান প্রশ্নের উত্তর মিলবে মিডিয়া ও চলচ্চিত্রকে অধ্যয়নের মাধ্যমে। তা ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে যেখানে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’, সেখানে মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই বিপ্লবের অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে মিডিয়া। এই সময়ে নিজেকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আর নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা কিংবা নিজেকে নিজের মতো করে মেলে ধরার অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে এই (গণমাধ্যম) শিল্প খাত। আপনার নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর অপার সম্ভাবনা রয়েছে এ খাতে। বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীতেই মিডিয়ার যথেষ্ট প্রভাব বিদ্যমান। এসব প্রভাব যেন সমাজে ইতিবাচকভাবে প্রতিফলিত হয়, তার জন্য মিডিয়া-ফিল্মকে অধ্যয়ন জরুরি।
বৈচিত্র্যময় বিষয়
চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিষয়ে রয়েছে নানান বৈচিত্র্য। এটি কোনো গতানুগতিক ও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এটি কলা অনুষদ বা কোথাও কোথাও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যম ও ফিল্ম অধ্যয়নের শুরুর দিক থেকে বর্তমান মিডিয়া কিংবা ফিল্ম জগতে কী ঘটছে তার অনুসন্ধান করা হয়।
যোগাযোগের ধরন, মানবিক যোগাযোগ, সাংবাদিকতার ইতিহাস, ধরন, সংবাদ সংগ্রহ, লেখন, সম্পাদনা, পেজ-মেকআপ, সাংবাদিকতার নীতি ও শৈলী, টেলিভিশন, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ, ফটোগ্রাফি, নিউ মিডিয়া, জনসংযোগ, চলচ্চিত্রের ইতিহাস, চলচ্চিত্র তত্ত্ব, চলচ্চিত্র সমালোচনা, ডিজিটাল ফরম্যাটে চলচ্চিত্র নির্মাণ, চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা, অভিনয়, চিত্রনাট্য রচনা, শিল্প নির্দেশনা, পোশাক ও মেকআপ, চলচ্চিত্র প্রযোজনা, বাজারজাতকরণ, চলচ্চিত্রে শব্দ ও সংগীত, চলচ্চিত্রের নন্দনতত্ত্ব, চলচ্চিত্রব্যক্তিত্ব, গ্রাফিকস অ্যান্ড অ্যানিমেশন, পলিটিক্যাল ইকোনমি অব গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র সম্পর্কে গবেষণা প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে পাঠদান করা হয়।
ফটোগ্রাফি, বিজ্ঞাপন নির্মাণ, পেজ-মেকআপ, টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ, শিল্প নির্দেশনা, চলচ্চিত্র নির্মাণ, চিত্রগ্রহণ, অভিনয়, ডকুমেন্টারি নির্মাণ, পোশাক ও মেকআপ, সম্পাদনা প্রভৃতি বিষয়ে অত্যাধুনিক ল্যাবের মাধ্যমে হাতেকলমে শেখানো হয়।
কারা পড়বেন?
যাঁদের ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজ নিয়ে ভাবনা আছে, পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ কাজ করে, নিজেকে সেলিব্রেটি হিসেবে দেখতে চায়, মানুষের প্রতি মন কাঁদে, নিজেদের বুদ্ধিমত্তাকে দক্ষতার সঙ্গে মেলে ধরার স্পৃহা কাজ করে, তাঁদের এ বিষয়ে পড়তে আসা উচিত।
কোথায় পড়বেন?
বিশ্বে গণমাধ্যম নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন অনেক আগে শুরু হলেও বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে পরে শুরু হয়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশে চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শুরু হয় একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে। গণযোগাযোগ, গণমাধ্যম, সাংবাদিকতা, টেলিভিশন, ফটোগ্রাফি ও চলচ্চিত্র প্রভৃতি বিষয়ের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদানের অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসে। সেই ধারাবাহিকতায় গণযোগাযোগের পাশাপাশি ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নিয়ে প্রথম পাঠদান শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র বিষয়ে অধ্যয়ন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও শুরু হয়। বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে নির্মিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে নির্মিত ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালু আছে।
বিস্তারিত ajkerpatrika.com-এ।
লেখক: প্রভাষক, চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যায়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫