Ajker Patrika

বিষমুক্ত সবজি চাষে পথপ্রদর্শক হামিমুল

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া
বিষমুক্ত সবজি চাষে পথপ্রদর্শক হামিমুল

নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদন, জৈব সার এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের সফলভাবে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে কৃষিতে বিশেষ অবদান রেখেছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ। এর স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি তিনি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার। ২০০৬ থেকে তিনি পাকুন্দিয়ায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর মাধ্যমে উপজেলার কৃষিতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এখানকার কৃষি ও কৃষকের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। মূলত একনাগাড়ে ১৬ বছর উপজেলার দায়িত্ব পালন করা এই কৃষি কর্মকর্তার ‘সোহাগেই’ গ্রামীণ কৃষির চিত্র বদলে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারের রৌপ্যপদক লাভ করেন। বদলে গেছে কৃষিচিত্র: এখানকার চাষিরা গতানুগতিক শুধু ধান-পাটের আবাদ করতেন। তবে সোহাগের পরামর্শে ধান ও পাটের পাশাপাশি লাভজনক ফসল আবাদে উৎসাহিত হন কৃষকেরা। এর ফলে বিদেশি ফল ড্রাগন, কাশ্মীরি কুল, বলসুন্দরী কুল, মিসরীয় পেয়ারা ও বারোমাসি তরমুজের আবাদ হয়। এতে পাল্টে গেছে এখানকার কৃষিচিত্র।

কীটনাশকের ব্যবহার কমেছে: পোকামাকড় দমনে অধিক পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করা হতো। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার যেমন ইয়েলো কালার ট্যাপ, ফেরোমেন ফাদ, মালচিং পেপার ব্যবহার, ট্রাইকো লিচেট ব্যবহার ও ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের অনুপ্রাণিত করায় কীটনাশকের ব্যবহার কমে গেছে। এতে ফসল হচ্ছে নিরাপদ ও বিষমুক্ত।

রাসাসনিক সারের ব্যবহার কমানো: মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহারের পরামর্শ দেন ওই কৃষি কর্মকর্তা। তাঁর অনুপ্রেরণায় কৃষকেরা ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার), স্তূপ কম্পোস্ট, টাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন, খামার জাত সার, সবুজ সার উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু করেন। এতে জমির গুণগত মান যেমন বজায় থাকছে, তেমনি ফসলের উৎপাদন বেড়েছে। তা ছাড়া রাসায়নিক সারে সরকারের ভর্তুকিও কমছে।

উদ্যোক্তা তৈরি: শিক্ষিত বেকার যুবকদের উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে বেকারত্ব ঘুচিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন হামিমুল হক সোহাগ। তাঁর পরামর্শে কম সময়ে ও খরচে উন্নত জাতের ফল উৎপাদনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বেকার যুবকেরা।

আদিত্যপাশা গ্রামের কৃষক রোকন উদ্দিনসহ উপজেলার অন্য কৃষকেরা কৃষি কর্মকর্তা সোহাগের সহযোগিতা করার ও উৎসাহ দেওয়ার কথা জানান। জানতে চাইলে পাকুন্দিয়ার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ বলেন, ‘একজন কৃষক যেন তাঁর জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে লাভবান হয়ে দেশের উন্নয়ন ঘটাতে পারেন, সে জন্য কাজ করছি।’ 
পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূর-ই আলম বলেন, সোহাগের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও নতুন ফসল উৎপাদন কৃষক পর্যায়ে সাড়া ফেলছে।

এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে মাঠপর্যায়ের কৃষকেরা বেশ উপকৃত হচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত