কামাল হোসেন, কয়রা (খুলনা)
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে কয়রার হরিণখোলা এলাকায় ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কপোতাক্ষ নদে ধসে যাওয়া এ বাঁধ এক বছর আগে জাইকার অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। বছর না যেতেই বাঁধের বালি ধসে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়োজিত শ্রমিকেরা বাঁধটি মেরামত শুরু করেন। পাশের বাঁধের জিও ব্যাগ তুলে ও মাটি কেটে ধসে যাওয়া স্থান মেরামত করায় ঝুঁকি বাড়ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই পাশে মাটির দেয়াল ও মাঝখানে বালু ভরাট করে বাঁধটির নির্মাণকাজ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সে সময় মূল বাঁধের পাশের নদী থেকে বালু তোলা হয় ড্রেজার মেশিন দিয়ে। পরে বাঁধের দুই পাশের ঢাল চরের মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। প্রতিনিয়ত ঢেউয়ের ধাক্কায় ধীরে ধীরে ঢালের মাটি সরে গিয়ে এখন মূল বাঁধে টান পড়েছে।
আরও জানা যায়, সেখানে কিছু শ্রমিক কোদাল দিয়ে মূল বাঁধের দুই পাশ থেকে মাটি কেটে বালু ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় বাঁধের ঢাল থেকে জিও ব্যাগ তুলে নিতেও দেখা যায় শ্রমিকদের। হরিণখোলা গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, বাঁধের পাশের নদী থেকে বালু তুলে বাঁধ নির্মাণ করায় পানির চাপে সহজে ভেঙে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম শেখ বলেন, গত বছর নির্মাণকালে সেনাবাহিনী কাজ করেছিল। তখন কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল।
নদীর ঢেউ লেগে বাঁধের তলার মাটি সরে যাওয়ায় বালির রাস্তা ধসে গেছে। তিনি আরও বলেন, বাঁধটি পরিকল্পিতভাবে না করায় টেকসই হয়নি। নদীতে ড্যাম্পিং ও ব্লক ব্যবহার করলে রাস্তা নষ্ট হতো না।
কয়রা সদর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, হরিণখোলায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
দুই পাশে মাটি আর ভেতরে বালু দিয়ে ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
পাউবো সূত্র জানায়, জাইকার অর্থায়নে তারা ঠিকাদারের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর ২ নম্বর কয়রা গ্রামের খালের গোড়া নামক স্থান থেকে গোবরা গ্রাম পর্যন্ত ৬০ মিটার ক্লোজার ও ১ হাজার ৬৪০ মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে। পাউবোর তত্ত্বাবধানে ওমর্স ট্রেডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই বাঁধ নির্মাণের দায়িত্বে ছিল। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নির্মাণকাজ সম্পন্নের পর আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা তারা। নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি বিদেশ রঞ্জন মৃধা বলেন, নদীশাসন ছাড়া শুধু বাঁধ নির্মাণ হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেটি আবারও নদীতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধের পেছনে কোটি টাকা খরচের আগে নদীশাসন জরুরি। কিন্তু ওই অঞ্চলের মানুষের কথাকে কখনো গুরুত্ব দেন না পাউবো কর্মকর্তারা।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে কয়রার হরিণখোলা এলাকায় ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কপোতাক্ষ নদে ধসে যাওয়া এ বাঁধ এক বছর আগে জাইকার অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। বছর না যেতেই বাঁধের বালি ধসে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়োজিত শ্রমিকেরা বাঁধটি মেরামত শুরু করেন। পাশের বাঁধের জিও ব্যাগ তুলে ও মাটি কেটে ধসে যাওয়া স্থান মেরামত করায় ঝুঁকি বাড়ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই পাশে মাটির দেয়াল ও মাঝখানে বালু ভরাট করে বাঁধটির নির্মাণকাজ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সে সময় মূল বাঁধের পাশের নদী থেকে বালু তোলা হয় ড্রেজার মেশিন দিয়ে। পরে বাঁধের দুই পাশের ঢাল চরের মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। প্রতিনিয়ত ঢেউয়ের ধাক্কায় ধীরে ধীরে ঢালের মাটি সরে গিয়ে এখন মূল বাঁধে টান পড়েছে।
আরও জানা যায়, সেখানে কিছু শ্রমিক কোদাল দিয়ে মূল বাঁধের দুই পাশ থেকে মাটি কেটে বালু ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় বাঁধের ঢাল থেকে জিও ব্যাগ তুলে নিতেও দেখা যায় শ্রমিকদের। হরিণখোলা গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, বাঁধের পাশের নদী থেকে বালু তুলে বাঁধ নির্মাণ করায় পানির চাপে সহজে ভেঙে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম শেখ বলেন, গত বছর নির্মাণকালে সেনাবাহিনী কাজ করেছিল। তখন কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল।
নদীর ঢেউ লেগে বাঁধের তলার মাটি সরে যাওয়ায় বালির রাস্তা ধসে গেছে। তিনি আরও বলেন, বাঁধটি পরিকল্পিতভাবে না করায় টেকসই হয়নি। নদীতে ড্যাম্পিং ও ব্লক ব্যবহার করলে রাস্তা নষ্ট হতো না।
কয়রা সদর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, হরিণখোলায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
দুই পাশে মাটি আর ভেতরে বালু দিয়ে ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
পাউবো সূত্র জানায়, জাইকার অর্থায়নে তারা ঠিকাদারের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর ২ নম্বর কয়রা গ্রামের খালের গোড়া নামক স্থান থেকে গোবরা গ্রাম পর্যন্ত ৬০ মিটার ক্লোজার ও ১ হাজার ৬৪০ মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে। পাউবোর তত্ত্বাবধানে ওমর্স ট্রেডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই বাঁধ নির্মাণের দায়িত্বে ছিল। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নির্মাণকাজ সম্পন্নের পর আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা তারা। নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি বিদেশ রঞ্জন মৃধা বলেন, নদীশাসন ছাড়া শুধু বাঁধ নির্মাণ হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেটি আবারও নদীতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধের পেছনে কোটি টাকা খরচের আগে নদীশাসন জরুরি। কিন্তু ওই অঞ্চলের মানুষের কথাকে কখনো গুরুত্ব দেন না পাউবো কর্মকর্তারা।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫