জেমি ডে সাবেক কোচ, বাংলাদেশ
বাছাইপর্বের সেরা হয়েই বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষরা তুলনামূলক সহজ হওয়ায় সেখানে তারা ১০ ম্যাচের ৮টিতেই জিতেছে। আসল প্রশ্ন হচ্ছে, কাতারে এই দলটা কি সত্যি মূল মঞ্চে দাপট দেখাতে পারবে?
নেশনস কাপে যাচ্ছেতাই একটা অবস্থা হয়েছিল ইংল্যান্ডের। গ্রুপের তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয়েছে, পুল ‘বি’তে অবনমিত হতে হয়েছে। দলকে দেখে মনে হয়েছে খাপছাড়া, উদ্দেশ্যহীন। খেলোয়াড়দের মধ্যে সৃজনশীলতার অভাবটাও বড্ড প্রকট ঠেকেছে।
সমর্থকদের জন্য আসল সমস্যা হলো, কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের খেলার দর্শন। অনেক ইংলিশ সমর্থক তাঁর কৌশলকে পছন্দ করছেন না। সাউথগেটে বেশ নেতিবাচকভাবে দলটাকে খেলাচ্ছেন। আক্রমণের চেয়ে খেলায় না হারার দিকেই তাঁর বেশি মনোযোগ। যেসব খেলোয়াড় তাঁর এই কৌশলে খাপ খাওয়াতে পারছে না, তাদের সাউথগেট বাদও দিয়ে দিয়েছেন।
১৯৬৬ সালের পর থেকে ইংল্যান্ড বড় কোনো শিরোপা জেতেনি। এবারের বিশ্বকাপে ফাইনালে যাওয়ার একটাই সম্ভাবনা আছে যদি খেলোয়াড়দের তাদের মতো করে খেলতে দেওয়া হয় এবং চাপ নামের শিকল ছিঁড়ে ফেলা সম্ভব হয়।
এই দলটা তারুণ্য আর অভিজ্ঞতায় মেশানো দারুণ একটা দল। প্রচুর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে সবার। তিন গোলরক্ষকও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত খেলছে আর পরীক্ষিত। রক্ষণের খেলোয়াড়েরা আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের আক্রমণে সঙ্গ দিতে পারে আবার নিজেদের রক্ষণটাও ভালো করে সামলাতে পারে। নিজেদের কাজে তারা বেশ ‘সলিড’। রাইস, হেন্ডারসন, বেলিংহামরা মাঝমাঠ থেকে আক্রমণে বলের জোগানটা হ্যারি কেন, ফিল ফোডেন, বুকায়ো সাকা আর রহিম স্টার্লিংদের বেশ সুন্দর করে দিতে পারে। ফর্মে থাকলে হ্যারি কেনই হবে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের চাবিকাঠি। সুযোগ পেলে সে যেমন গোল করতে পারবে, তেমনি নেতৃত্বও ইংল্যান্ডকে দিতে পারে শিরোপার সুবাস।
সবশেষ টুর্নামেন্টগুলোয় ইংল্যান্ড ৩-৪-৩ ফরমেশনে খেলেছে। বিষয়টা আমার কাছে বেশ নেতিবাচক মনে হয়েছে। বিশেষ করে সমকক্ষ ও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৫ খেলোয়াড়কে রক্ষণে রেখে বলের জন্য হাঁসফাঁস করা আর সুযোগ পেলে প্রতি আক্রমণের অপেক্ষায় থাকাটা আমার ঠিক পছন্দ হচ্ছে না। আমার ব্যক্তিগত মত, ইংল্যান্ড ৪-২-৩-১ ছকে খেলতে পারে এবং যতটা সম্ভব কৌশলগত প্রতিভাধর ফুটবলারকে বিশ্বকাপে খেলানো উচিত। আমার মতে, ইংল্যান্ডের আসল শক্তি তাদের আক্রমণ। এই বিভাগে যতটা সম্ভব কার্যকর ফুটবলার খেলানো উচিত এবং আক্রমণে তাদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।
শেষ পর্যন্ত যদি একটা দল হয়ে খেলা যায়, ভয়কে দূরে ছুড়ে ফেলা যায় আর দলের মূল তারকারা যদি জ্বলে উঠতে পারে, তাহলে বলব এবারের বিশ্বকাপটা আমাদেরই হবে।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব আমরা সহজেই পার হয়ে যেতে পারব বলে মনে হয়। প্রতিপক্ষ যারা আছে, তাদের তুলনায় আমাদের দলটাই বেশি প্রতিভাধর। ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার সম্ভাবনা আছে। কারণ, তাঁরা অনেকটা ইংল্যান্ডের মতোই। অতীতেও তাঁরা ইংল্যান্ডের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে। দেখা গেল গ্যারেথ বেল কোনো জাদুকরি খেলায় ম্যাচের ফল পাল্টে দিল। বড় টুর্নামেন্টে তাঁর ভালো খেলার সুনাম আছে। অসাধারণ অবকাঠামো আর সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও ফুটবলে যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই মাঝারি মানের দল।
আমার মতে, ইরান এই গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল যদিও বিশ্বকাপের মতো আসরে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে কাউকে ভাবার সুযোগ নেই।আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানির মতো দলগুলো সবসময়ই ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। ফুটবলাররা যদি ভয়ডরহীনভাবে খেলতে পারে, এদের হারানো কঠিন কিছু হবে না। অতীতেও আমরা দেখিয়েছি, এদের হারানো কঠিন কিছু না।
গত বিশ্বকাপের মতো এবারও ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল খেলার ভালো সম্ভাবনা আছে। সে পর্যন্ত খেলতে পারলে আমাদের জন্য বড় অর্জনই হবে। তবে শেষ পর্যন্ত যদি একটা দল হয়ে খেলা যায়, ভয়কে দূরে ছুড়ে ফেলা যায় আর দলের মূল তারকারা যদি জ্বলে উঠতে পারে, তাহলে বলব এবারের বিশ্বকাপটা আমাদেরই হবে। আর সেমিফাইনালের আগেই যদি ইংল্যান্ড বাদ পড়ে যায়, তাহলে সেটা হবে একটা বড় বিপর্যয় আর তখন সাউথগেটের উচিত হবে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া।
বাছাইপর্বের সেরা হয়েই বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষরা তুলনামূলক সহজ হওয়ায় সেখানে তারা ১০ ম্যাচের ৮টিতেই জিতেছে। আসল প্রশ্ন হচ্ছে, কাতারে এই দলটা কি সত্যি মূল মঞ্চে দাপট দেখাতে পারবে?
নেশনস কাপে যাচ্ছেতাই একটা অবস্থা হয়েছিল ইংল্যান্ডের। গ্রুপের তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয়েছে, পুল ‘বি’তে অবনমিত হতে হয়েছে। দলকে দেখে মনে হয়েছে খাপছাড়া, উদ্দেশ্যহীন। খেলোয়াড়দের মধ্যে সৃজনশীলতার অভাবটাও বড্ড প্রকট ঠেকেছে।
সমর্থকদের জন্য আসল সমস্যা হলো, কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের খেলার দর্শন। অনেক ইংলিশ সমর্থক তাঁর কৌশলকে পছন্দ করছেন না। সাউথগেটে বেশ নেতিবাচকভাবে দলটাকে খেলাচ্ছেন। আক্রমণের চেয়ে খেলায় না হারার দিকেই তাঁর বেশি মনোযোগ। যেসব খেলোয়াড় তাঁর এই কৌশলে খাপ খাওয়াতে পারছে না, তাদের সাউথগেট বাদও দিয়ে দিয়েছেন।
১৯৬৬ সালের পর থেকে ইংল্যান্ড বড় কোনো শিরোপা জেতেনি। এবারের বিশ্বকাপে ফাইনালে যাওয়ার একটাই সম্ভাবনা আছে যদি খেলোয়াড়দের তাদের মতো করে খেলতে দেওয়া হয় এবং চাপ নামের শিকল ছিঁড়ে ফেলা সম্ভব হয়।
এই দলটা তারুণ্য আর অভিজ্ঞতায় মেশানো দারুণ একটা দল। প্রচুর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে সবার। তিন গোলরক্ষকও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত খেলছে আর পরীক্ষিত। রক্ষণের খেলোয়াড়েরা আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের আক্রমণে সঙ্গ দিতে পারে আবার নিজেদের রক্ষণটাও ভালো করে সামলাতে পারে। নিজেদের কাজে তারা বেশ ‘সলিড’। রাইস, হেন্ডারসন, বেলিংহামরা মাঝমাঠ থেকে আক্রমণে বলের জোগানটা হ্যারি কেন, ফিল ফোডেন, বুকায়ো সাকা আর রহিম স্টার্লিংদের বেশ সুন্দর করে দিতে পারে। ফর্মে থাকলে হ্যারি কেনই হবে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের চাবিকাঠি। সুযোগ পেলে সে যেমন গোল করতে পারবে, তেমনি নেতৃত্বও ইংল্যান্ডকে দিতে পারে শিরোপার সুবাস।
সবশেষ টুর্নামেন্টগুলোয় ইংল্যান্ড ৩-৪-৩ ফরমেশনে খেলেছে। বিষয়টা আমার কাছে বেশ নেতিবাচক মনে হয়েছে। বিশেষ করে সমকক্ষ ও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৫ খেলোয়াড়কে রক্ষণে রেখে বলের জন্য হাঁসফাঁস করা আর সুযোগ পেলে প্রতি আক্রমণের অপেক্ষায় থাকাটা আমার ঠিক পছন্দ হচ্ছে না। আমার ব্যক্তিগত মত, ইংল্যান্ড ৪-২-৩-১ ছকে খেলতে পারে এবং যতটা সম্ভব কৌশলগত প্রতিভাধর ফুটবলারকে বিশ্বকাপে খেলানো উচিত। আমার মতে, ইংল্যান্ডের আসল শক্তি তাদের আক্রমণ। এই বিভাগে যতটা সম্ভব কার্যকর ফুটবলার খেলানো উচিত এবং আক্রমণে তাদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।
শেষ পর্যন্ত যদি একটা দল হয়ে খেলা যায়, ভয়কে দূরে ছুড়ে ফেলা যায় আর দলের মূল তারকারা যদি জ্বলে উঠতে পারে, তাহলে বলব এবারের বিশ্বকাপটা আমাদেরই হবে।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব আমরা সহজেই পার হয়ে যেতে পারব বলে মনে হয়। প্রতিপক্ষ যারা আছে, তাদের তুলনায় আমাদের দলটাই বেশি প্রতিভাধর। ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার সম্ভাবনা আছে। কারণ, তাঁরা অনেকটা ইংল্যান্ডের মতোই। অতীতেও তাঁরা ইংল্যান্ডের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে। দেখা গেল গ্যারেথ বেল কোনো জাদুকরি খেলায় ম্যাচের ফল পাল্টে দিল। বড় টুর্নামেন্টে তাঁর ভালো খেলার সুনাম আছে। অসাধারণ অবকাঠামো আর সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও ফুটবলে যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই মাঝারি মানের দল।
আমার মতে, ইরান এই গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল যদিও বিশ্বকাপের মতো আসরে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে কাউকে ভাবার সুযোগ নেই।আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানির মতো দলগুলো সবসময়ই ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। ফুটবলাররা যদি ভয়ডরহীনভাবে খেলতে পারে, এদের হারানো কঠিন কিছু হবে না। অতীতেও আমরা দেখিয়েছি, এদের হারানো কঠিন কিছু না।
গত বিশ্বকাপের মতো এবারও ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল খেলার ভালো সম্ভাবনা আছে। সে পর্যন্ত খেলতে পারলে আমাদের জন্য বড় অর্জনই হবে। তবে শেষ পর্যন্ত যদি একটা দল হয়ে খেলা যায়, ভয়কে দূরে ছুড়ে ফেলা যায় আর দলের মূল তারকারা যদি জ্বলে উঠতে পারে, তাহলে বলব এবারের বিশ্বকাপটা আমাদেরই হবে। আর সেমিফাইনালের আগেই যদি ইংল্যান্ড বাদ পড়ে যায়, তাহলে সেটা হবে একটা বড় বিপর্যয় আর তখন সাউথগেটের উচিত হবে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫