Ajker Patrika

১৭ বছরেই ভবন বেহাল

মো. মিরাজ হোসাইন, দৌলতখান (ভোলা)
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩৮
১৭ বছরেই ভবন বেহাল

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পশ্চিম রামরতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল। ভেঙে পড়ছে পিলার। খসে পড়েছে পলেস্তারা। নির্মাণের মাত্র ১৭ বছরে ভবন বেহাল। শিক্ষা অফিস থেকে একাধিকবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে এসেছেন কর্মকর্তারা। কিন্তু কাজ হয়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, দ্রুত সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

উপজেলার প্রবেশমুখে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৯২০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাক্-প্রাথমিক হিসেবে সুনাম রয়েছে বিদ্যালয়টির। বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৮০ জন। বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিজ্ঞান মেলা, শিক্ষামেলা আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, আধা-পাকা ভবনের কোনো দরজা-জানালা নেই। বারান্দার পিলারগুলো ভেঙে গেছে। বিদ্যালয়ের ছাদের ঢালাই ভেঙে বিভিন্ন স্থানে রড বের হয়ে গেছে। ছাউনির টিন ফুটো হয়ে গেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হামিদুর রহমান টিপু বলেন, ‘২০০৪-০৫ অর্থবছরে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চলছে পাঠদান। নতুন ভবন জরুরি হয়ে পড়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে নতুন ভবন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদা ইয়াছমিন বলেন, ‘নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার লিখিত আবেদন করা হয়েছে। মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভবন নির্মাণের কোনো বরাদ্দ পাইনি। প্রায় ৩৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে দুই কক্ষের আরেকটি ভবনে চলছে পাঠদান। এক তলাবিশিষ্ট ভবনটি বেশ পুরোনো। ছাদের ঢালাই, পিলার ও দেয়ালের পলেস্তারা ভেঙে পড়ছে। যে কোনো সময় পুরোনো ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে।’

অভিভাবকরা জানান, ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘ক্লাসে পড়ানোর সময় প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ে। নেই পর্যাপ্ত বেঞ্চ ও আসবাব। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।’ তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তিন বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন; কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাইদুল ইসলাম খান বলেন, ‘শিক্ষা অফিস থেকে আমরা তালিকা পেয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে শিগগিরই পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘ভবন বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়ে অনেক চেষ্টা করা হলেও কোনো সুফল পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাবর নতুন ভবন চেয়ে লিখিত দেওয়া হয়েছে। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

মানবিক করিডর না ভূ-রাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত