Ajker Patrika

বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

চৌগাছা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ১৩: ১৮
Thumbnail image

চৌগাছার নারায়ণপুর বাহারাম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির ৫ লাখেরও বেশি টাকা নয়ছয় করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে তদন্তের জন্য যশোর শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি এ এফ এম কাশেম।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা ফি দিয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।

বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত কার্যক্রমে এরই মধ্যে এ এফ এম কাশেম নিজের লিখিত জবানবন্দি দিয়েছেন।

লিখিত আবেদনে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি এ এফ এম কাশেম বলেন, বিদ্যালয়ের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক মিঠু কোটচাঁদপুর পৌরসভার সচিব পদে চাকরিরত থাকাকালীন বিষয়টি গোপন করে বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন, যা তিনি করতে পারেন না।

লিখিত জবানবন্দিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন অভিভাবক সদস্য মো. তুহিনসহ অন্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদ্যালয় চত্বর থেকে বিতাড়িত করে প্রধান শিক্ষক এবং বর্তমান সভাপতি নিজেদের মতো করে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন।

অভিযোগে তিনি বলেছেন, আমি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি থাকাকালে ২০২০ সালে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন গাছগাছালি বিক্রির ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার হিসাব চাইলে প্রধান শিক্ষক হিসাব না দিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করেন। ওই বছর বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে চারটি সিলিং ফ্যান চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি প্রশাসনকে জানাননি। একই বছর বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ড থেকে উত্তোলন করা টাকার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা টাইলস না কিনে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়েও আমি হিসাব চাইলে তিনি টালবাহানা করে হিসাব দেননি।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ এফ এম কাশেমকে সভাপতি করা হয়নি বলে তিনি এসব অভিযোগ করছেন।’

মোবাইল ফোনে এ এফ এম কাশেম বলেন, ‘আমি দুবার অ্যাডহক কমিটির সভাপতি থাকায় নিয়মানুযায়ী তৃতীয়বার সভাপতি হতে পারব না, এটাতো পরিষ্কার। তাহলে কেন সভাপতি হতে না পেরে এসব অভিযোগ করব?’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মো. রফিকুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত