Ajker Patrika

প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ১২
প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসে মিলছে না এ জাতীয় ওষুধ। অথচ জেলাজুড়ে বাড়ছে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জ্বর-সর্দি-কাশির সাধারণ এ ওষুধ না থাকার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ নেই।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার কয়েক দিন ধরে বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল মঙ্গলবার সদর হাসপাতালের শুধুমাত্র বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৩০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ফুরিয়ে গেছে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ। এ জাতীয় ওষুধের জন্য হাসপাতালে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে অনেককে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, গত নভেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছি। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত। সঙ্গে কাশি থাকায় গলার স্বরও অনেকটা ভেঙে গেছে। শুধু আমিই নই, পরিবারের আরও দুই সদস্যও পর্যায়ক্রমে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

শুধুমাত্র আলমগীর হোসেন নয়, চুয়াডাঙ্গা শহরসহ এমন আরও অনেক পরিবার আছে, যাদের একাধিক সদস্য জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিলেও কেউই ভর্তি হতে চাচ্ছেন না। তাদের ঘর এখন যেন এক রকম হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে পরিণত হয়েছে। শুধু শহরাঞ্চলই নয় জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম এলাকায় জ্বর-সর্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে গিয়ে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়াকে ঝুঁকি বলেও মনে করছেন তাঁরা। আবার অনেকে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব আছে সেটাই মানতে নারাজ।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত শনিবার বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৯৫ জন। এক দিনের ব্যবধানে রোববার চিকিৎসা নেন ৭৯০ জন। গতকাল ৬৩০ জন চিকিৎসা নেন। শুধু বহির্বিভাগেই নয়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এদের মধ্যে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বেশি। এঁদের মধ্যে যাঁরা নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে অনেকেরই করোনা শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু জটিলতা কম থাকায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯ জন চিকিৎসাধীন।’

হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ঠান্ডা-জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আরএমও বলেন, ‘চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ঠান্ডা-জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল সাপ্লাই থাকলেও তা শেষ হয়ে গেছে। তবে হাসপাতালের অন্তবিভাগে এখনো সরবরাহ রয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার আওলিয়ার রহমান বলেন, বর্তমানে ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অনেকটাই কম। বেশির ভাগ রোগীই ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েও ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘরে বসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আলাদা গাইডলাইন তৈরি করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত