চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসে মিলছে না এ জাতীয় ওষুধ। অথচ জেলাজুড়ে বাড়ছে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জ্বর-সর্দি-কাশির সাধারণ এ ওষুধ না থাকার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ নেই।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার কয়েক দিন ধরে বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল মঙ্গলবার সদর হাসপাতালের শুধুমাত্র বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৩০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ফুরিয়ে গেছে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ। এ জাতীয় ওষুধের জন্য হাসপাতালে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে অনেককে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, গত নভেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছি। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত। সঙ্গে কাশি থাকায় গলার স্বরও অনেকটা ভেঙে গেছে। শুধু আমিই নই, পরিবারের আরও দুই সদস্যও পর্যায়ক্রমে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
শুধুমাত্র আলমগীর হোসেন নয়, চুয়াডাঙ্গা শহরসহ এমন আরও অনেক পরিবার আছে, যাদের একাধিক সদস্য জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিলেও কেউই ভর্তি হতে চাচ্ছেন না। তাদের ঘর এখন যেন এক রকম হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে পরিণত হয়েছে। শুধু শহরাঞ্চলই নয় জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম এলাকায় জ্বর-সর্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে গিয়ে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়াকে ঝুঁকি বলেও মনে করছেন তাঁরা। আবার অনেকে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব আছে সেটাই মানতে নারাজ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত শনিবার বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৯৫ জন। এক দিনের ব্যবধানে রোববার চিকিৎসা নেন ৭৯০ জন। গতকাল ৬৩০ জন চিকিৎসা নেন। শুধু বহির্বিভাগেই নয়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এদের মধ্যে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বেশি। এঁদের মধ্যে যাঁরা নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে অনেকেরই করোনা শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু জটিলতা কম থাকায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯ জন চিকিৎসাধীন।’
হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ঠান্ডা-জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আরএমও বলেন, ‘চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ঠান্ডা-জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল সাপ্লাই থাকলেও তা শেষ হয়ে গেছে। তবে হাসপাতালের অন্তবিভাগে এখনো সরবরাহ রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার আওলিয়ার রহমান বলেন, বর্তমানে ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অনেকটাই কম। বেশির ভাগ রোগীই ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েও ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘরে বসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আলাদা গাইডলাইন তৈরি করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসে মিলছে না এ জাতীয় ওষুধ। অথচ জেলাজুড়ে বাড়ছে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জ্বর-সর্দি-কাশির সাধারণ এ ওষুধ না থাকার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ নেই।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার কয়েক দিন ধরে বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল মঙ্গলবার সদর হাসপাতালের শুধুমাত্র বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৩০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ফুরিয়ে গেছে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ। এ জাতীয় ওষুধের জন্য হাসপাতালে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে অনেককে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, গত নভেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছি। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত। সঙ্গে কাশি থাকায় গলার স্বরও অনেকটা ভেঙে গেছে। শুধু আমিই নই, পরিবারের আরও দুই সদস্যও পর্যায়ক্রমে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
শুধুমাত্র আলমগীর হোসেন নয়, চুয়াডাঙ্গা শহরসহ এমন আরও অনেক পরিবার আছে, যাদের একাধিক সদস্য জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিলেও কেউই ভর্তি হতে চাচ্ছেন না। তাদের ঘর এখন যেন এক রকম হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে পরিণত হয়েছে। শুধু শহরাঞ্চলই নয় জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম এলাকায় জ্বর-সর্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে গিয়ে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়াকে ঝুঁকি বলেও মনে করছেন তাঁরা। আবার অনেকে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব আছে সেটাই মানতে নারাজ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত শনিবার বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৯৫ জন। এক দিনের ব্যবধানে রোববার চিকিৎসা নেন ৭৯০ জন। গতকাল ৬৩০ জন চিকিৎসা নেন। শুধু বহির্বিভাগেই নয়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এদের মধ্যে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বেশি। এঁদের মধ্যে যাঁরা নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে অনেকেরই করোনা শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু জটিলতা কম থাকায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯ জন চিকিৎসাধীন।’
হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ঠান্ডা-জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আরএমও বলেন, ‘চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ঠান্ডা-জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল সাপ্লাই থাকলেও তা শেষ হয়ে গেছে। তবে হাসপাতালের অন্তবিভাগে এখনো সরবরাহ রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার আওলিয়ার রহমান বলেন, বর্তমানে ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অনেকটাই কম। বেশির ভাগ রোগীই ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েও ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘরে বসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আলাদা গাইডলাইন তৈরি করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫