Ajker Patrika

গ্রেপ্তার ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২২, ১৫: ১১
গ্রেপ্তার ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিকাশে জলদস্যুদের পক্ষে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক ব্যবসায়ীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের জোড়খালী বাজারে ব্যবসায়ীরা এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে তমরদ্দি ইউনিয়নের সহস্রাধিক ব্যবসায়ী অংশ নেন।

গত ২ মার্চ ভোলার মনপুরা থানা-পুলিশ মো. নাহিদ হোসেন হৃদয় নামের এক ব্যবসায়ীসহ দুজনকে আটক করে। পরে জলদস্যুদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হৃদয়কে মনপুরা থানায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশের অভিযোগ, মনপুরা থেকে অপহৃত জেলেদের মুক্তিপণের টাকা হৃদয়ের বিকাশ নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।

নাহিদ হোসেন হৃদয় হাতিয়ার তমরদ্দি ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় জোড়খালী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বিকাশের ব্যবসা করে আসছেন।

সম্প্রতি একটি মোবাইল নম্বর থেকে জোড়খালী বাজারে ব্যবসায়ী মো. নাহিদ হোসেন হৃদয়ের এজেন্ট নম্বরে ৩০ হাজার টাকা আসে। এরপর নম্বরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

হৃদয়ের বাবা মোয়াজ্জম হোসেন জানান, কোরালিয়া গ্রামের একজন মুদি দোকানি হৃদয়ের কাছ থেকে নম্বর নিয়ে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা পাঠান। এর পরপরই সিমকার্ডটি ব্লক করে দেওয়া হয়। পরে হাতিয়া থানায় যোগাযোগ করা হলে বিকাশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। এদিকে ২ মার্চ মনপুরা থানা-পুলিশ এসে হৃদয়কে দোকান থেকে আটক করে। কিন্তু নম্বরে কে টাকা পাঠিয়েছে, তার নাম-ঠিকানা বলা হলেও পুলিশ হৃদয়কে নিয়ে যায়।

এরই প্রতিবাদে হৃদয়ের মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জোড়খালী বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেন। প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জোড়খালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. হানিফ, সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য রাশেদ উদ্দিন, মসজিদের ইমাম মোজাম্মেল হোসেন ও সমাজ সেবক মেজবাহ উদ্দিন বাহার।

বক্তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও হৃদয়কে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোলার মনপুরা উপজেলার তেইল্লার চরের কাছে মেঘনা নদী থেকে পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যুরা। পরে জেলেদের স্বজনদের কাছে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য কয়েকটি বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়। তাতে টাকা পাঠানোর পর জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জেলেদের স্বজনেরা বিকাশের নম্বরগুলো উল্লেখ করে মনপুরা থানায় অভিযোগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত