Ajker Patrika

সংস্কার হচ্ছে ২১ খাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সংস্কার হচ্ছে ২১ খাল

জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১ খাল উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারে প্রকল্প নিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।ইতিমধ্যে খালগুলো সংস্কারে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুত করতে পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। শিগগির এই পরামর্শক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

আজকের পত্রিকাকে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১টি খাল দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে। খালগুলো সংস্কারে সিটি করপোরেশন থেকে আমরা প্রকল্প নিতে যাচ্ছি। ওই প্রকল্পের অধীনে খালগুলো সংস্কার ও পুনরুদ্ধার করা হবে। ডিপিপি প্রস্তুত করার জন্য আমরা এখন পরামর্শক নিয়োগের পর্যায়ে আছি। খুব শিগগির এই নিয়োগ দেওয়া হবে।’

২১ খালের মধ্যে রয়েছে কালুরঘাটের বাইজ্জা খাল ও বালুখালী খাল, অক্সিজেন-কুয়াইশ লিংক রোডের কৃষ্ণাখালী খাল, কাপ্তাই সড়কের শেখ মার্কেটসংলগ্ন কুয়াইশ খাল, কালুরঘাট রেল সেতু এলাকার ফরেস্ট খাল, উত্তর সলিমপুরের বৈরাগ্য ছড়া খাল, ভাটিয়ারির ধামাইর খাল, নেভাল একাডেমি এলাকার ১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, চরপাড়ার দুই নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সিইপিজেড এলাকার ৯ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, হোসাইন আহমেদ পাড়ার ৮ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, আনন্দ বাজার এলাকার ১০ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, কাট্টলীর উত্তর হালিশহরের ১১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, উত্তর কাট্টলীর ১২ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, লতিফপুর এলাকার ১৩ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সলিমপুরের ১৪ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল ও ১৫ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল এবং বাংলা বাজারের ১৬ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল।

খালগুলো সংস্কারে গত ২৩ আগস্ট পরামর্শক নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করে সিটি করপোরেশন। চসিক সূত্রে জানা যায়, দরপত্রে ১০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের কাউকে কাজ দেওয়া হয়নি।

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবু ছালেহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২১ খাল সংস্কারে সিটি করপোরেশন এখনো পরামর্শক নিয়োগের পর্যায়ে আছে। পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ার পর তাঁরা প্রতিবেদন দিলে সেটির ওপর নির্ভর করে আমরা ডিপিপি প্রস্তুত করব।

সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর একনেক সভায় পাশ হলে, তারপর দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর কাজ শুরু করতে পারব। আবু ছালেহ বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আরএস-বিএস তালিকার আলোকে খালগুলো শনাক্ত করে সীমানা নির্ধারণ করবে। পরে খালের ওপর থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত