নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা
এই অতিমারির কাল পেরনো সময়ে বছরের হিসেবটা হয়ে গেছে সংক্ষিপ্ত। যেটুকু সময় মারির প্রকোপ নিম্নমুখী থাকছে আমাদের থিয়েটারের কর্মচাঞ্চল্য নির্ভর করছে সেটুকুর উপরেই। এ বছরের গোড়ার দিকে মাস দুয়েক করোনার আক্রমণ কিছুটা কোমল ছিলো বলে আমরা বেশ কিছু নাটক মঞ্চে আনতে পেরেছিলাম। তার ভেতরে বেশিরভাগই পুরনো নাটকের প্রদর্শনী।
ঢাকা থিয়েটার মঞ্চে এনেছিলো আনন জামান রচিত নাটক ‘একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার’। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। কয়েকটা প্রদর্শনী হয়েছিলো সে সময়। সৈয়দ জামিল আহমেদের নির্দেশনায় বেইলিরোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছিলো ‘৪.৪৮ মন্ত্রাস’। স্পর্ধা কালেকটিভস এর ব্যানারে নাটকটার টানা বেশ ক’টা প্রদর্শনী হয়েছিলো। বিষন্নতার কারণে আত্মহননে প্রবৃত্ত এক নারীর গল্প উঠে এসেছিলো নাটকটাতে।
মার্চের মাঝামাঝি থেকে করোনা তার ছোবল বিস্তৃত করলো, বন্ধ হয়ে গেলো থিয়েটারের মঞ্চকর্ম। কিন্তু থিয়েটার থামেনি। চলেছে জুমঘরে বা অনলাইনের কোনো একটা সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে। আমার লেখা ‘পেন্ডুলাম’ ও ‘পারো’ নাটকের মহড়া নিয়মিতভাবে চলেছে জুম অনলাইনে। সেলিনা শেলীর রচনায় ও মামুন চৌধুরী রিপন-এর নির্দেশনায় ‘শক্তিরূপ’ নাটকের কাজও অনেকটা এগিয়ে নেওয়া হয়েছে অনলাইনে। অনেক নাটকের দল যেমন প্রঙ্গনে মোর, অনুস্বর, পালাকার, দেশ নাটক, ঢাকা থিয়েটার তাদের থিয়েটার কর্ম চালিয়ে গেছে অনলাইন বা খুব স্বল্প পরিসরে অফলাইনেও। মোটকথা থিয়েটার থেমে থাকেনি। এবছর শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের সবগুলি জেলায় মঞ্চস্থ হয়েছে নাটক। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এই নাটকগুলি শেখ মুজিরে জীবন ও কর্ম নির্ভর গল্প রচিত ও নির্দেশিত হয়েছে। এই নাট্যযজ্ঞের সাথে শিল্পকলার একাডেমির আরো একটি প্রয়াস ছিলো ‘পরিবেশ থিয়েটার’ নির্মাণ। চৌষট্টি জেলায় একটি করে বধ্যভূমির হত্যাযজ্ঞকে উপজীব্য করে নির্মিত ও প্রদর্শিত হয়েছে এই পরিবেশ থিয়েটারগুলি। ‘স্বল্পব্যয়ে নতুন স্থানে নতুন নাটক’ এই শিরোনামে নতুন নাটক নির্মাণে সহায়তা দিয়েছে শিল্পকলা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। প্রায় সাড়ে তিনশ’ নাটক নির্মাণ হচ্ছে এই সহায়তায়। বেশ কিছু নতুন নাটকের প্রদর্শনীও হয়ে গেছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিধিনিষেধও কিছুটা শিথিল হয় আর মঞ্চে ফিরে আসে থিয়েটার। এ সময় প্রায় সবগুলো থিয়েটার দল তাদের নাটক মঞ্চে আনতে শুরু করেন। নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রায় প্রতিদিনই শিল্পকলার বিভিন্ন হলে প্রদর্শনী শুরু হলো। মহড়াও শুরু হলো আগের মতোই যখন করোনার প্রকোপ ছিলো না পৃথিবীতে। মঞ্চে আসলো স্বপ্নভুক (গল্প সৈয়ত শামসুল হক, নির্দেশনা সাইফ সুমন), জুলিয়াস সিজার (উইলিয়াম সেক্সপিয়ারের নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন তপন হাফিজ), জনকের অনন্তযাত্রা (একটি নাট্যকার নির্দেশিত নাটক, রচনা মাসুম রেজা), মার্কস ইন সোহো (নায়লা আজাদ নুপুরের নির্দেশনায় নাটকটি বটতলার প্রযোজনা), সে এক স্বপ্নের রাত (রচনা ও নির্দেশনা ড. খন্দকার তাজমি নূর)।
নাটকের উৎসবও হয়েছে বেশ ক’টা। পদাতিক নাট্য সংসদ (টিএসসি) গত তেইশ থেকে পঁচিশ ডিসেম্বর শিল্পকলা একাডেমির তিনহল মিলিয়ে উৎসব শেষ করলো। প্রায় নয়টা নাটকের প্রদর্শনী হয়েছে সেই উৎসবে। নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি দলটি সৈয়দ বদরুদ্দীন হোসাইন স্মারক সম্মাননা প্রদান করেছে। স্বাস্থ্যবিধি শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই দুই বাংলার থিয়েটার উৎসবের আয়োজন করেছিলো সাস্কৃতিক জোট। দশদিনের এই উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক তিরিশটির মতো নাটক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় ও প্রাঞ্জল করতে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় আয়োজন করেছিলো এগারো দিনব্যাপি নাট্যোৎসব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন ও পরিক্ষণ থিয়েটার হলে এ উৎসবের নাটকগুলো মঞ্চায়ন হয়েছে।
সব মিলিয়ে এই সংক্ষিপ্ত সময়ে থিয়েটারে একটা প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে। এই প্রাণচাঞ্চল্য আরো গতি পাবে আগামী বছরে এটা আমার বিশ্বাস। তবে তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপরে। কারণ করোনার আরো এক ঢেউ আমাদের দুয়ারে কড়া নাড়ছে।
এই অতিমারির কাল পেরনো সময়ে বছরের হিসেবটা হয়ে গেছে সংক্ষিপ্ত। যেটুকু সময় মারির প্রকোপ নিম্নমুখী থাকছে আমাদের থিয়েটারের কর্মচাঞ্চল্য নির্ভর করছে সেটুকুর উপরেই। এ বছরের গোড়ার দিকে মাস দুয়েক করোনার আক্রমণ কিছুটা কোমল ছিলো বলে আমরা বেশ কিছু নাটক মঞ্চে আনতে পেরেছিলাম। তার ভেতরে বেশিরভাগই পুরনো নাটকের প্রদর্শনী।
ঢাকা থিয়েটার মঞ্চে এনেছিলো আনন জামান রচিত নাটক ‘একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার’। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। কয়েকটা প্রদর্শনী হয়েছিলো সে সময়। সৈয়দ জামিল আহমেদের নির্দেশনায় বেইলিরোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছিলো ‘৪.৪৮ মন্ত্রাস’। স্পর্ধা কালেকটিভস এর ব্যানারে নাটকটার টানা বেশ ক’টা প্রদর্শনী হয়েছিলো। বিষন্নতার কারণে আত্মহননে প্রবৃত্ত এক নারীর গল্প উঠে এসেছিলো নাটকটাতে।
মার্চের মাঝামাঝি থেকে করোনা তার ছোবল বিস্তৃত করলো, বন্ধ হয়ে গেলো থিয়েটারের মঞ্চকর্ম। কিন্তু থিয়েটার থামেনি। চলেছে জুমঘরে বা অনলাইনের কোনো একটা সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে। আমার লেখা ‘পেন্ডুলাম’ ও ‘পারো’ নাটকের মহড়া নিয়মিতভাবে চলেছে জুম অনলাইনে। সেলিনা শেলীর রচনায় ও মামুন চৌধুরী রিপন-এর নির্দেশনায় ‘শক্তিরূপ’ নাটকের কাজও অনেকটা এগিয়ে নেওয়া হয়েছে অনলাইনে। অনেক নাটকের দল যেমন প্রঙ্গনে মোর, অনুস্বর, পালাকার, দেশ নাটক, ঢাকা থিয়েটার তাদের থিয়েটার কর্ম চালিয়ে গেছে অনলাইন বা খুব স্বল্প পরিসরে অফলাইনেও। মোটকথা থিয়েটার থেমে থাকেনি। এবছর শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের সবগুলি জেলায় মঞ্চস্থ হয়েছে নাটক। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এই নাটকগুলি শেখ মুজিরে জীবন ও কর্ম নির্ভর গল্প রচিত ও নির্দেশিত হয়েছে। এই নাট্যযজ্ঞের সাথে শিল্পকলার একাডেমির আরো একটি প্রয়াস ছিলো ‘পরিবেশ থিয়েটার’ নির্মাণ। চৌষট্টি জেলায় একটি করে বধ্যভূমির হত্যাযজ্ঞকে উপজীব্য করে নির্মিত ও প্রদর্শিত হয়েছে এই পরিবেশ থিয়েটারগুলি। ‘স্বল্পব্যয়ে নতুন স্থানে নতুন নাটক’ এই শিরোনামে নতুন নাটক নির্মাণে সহায়তা দিয়েছে শিল্পকলা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। প্রায় সাড়ে তিনশ’ নাটক নির্মাণ হচ্ছে এই সহায়তায়। বেশ কিছু নতুন নাটকের প্রদর্শনীও হয়ে গেছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিধিনিষেধও কিছুটা শিথিল হয় আর মঞ্চে ফিরে আসে থিয়েটার। এ সময় প্রায় সবগুলো থিয়েটার দল তাদের নাটক মঞ্চে আনতে শুরু করেন। নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রায় প্রতিদিনই শিল্পকলার বিভিন্ন হলে প্রদর্শনী শুরু হলো। মহড়াও শুরু হলো আগের মতোই যখন করোনার প্রকোপ ছিলো না পৃথিবীতে। মঞ্চে আসলো স্বপ্নভুক (গল্প সৈয়ত শামসুল হক, নির্দেশনা সাইফ সুমন), জুলিয়াস সিজার (উইলিয়াম সেক্সপিয়ারের নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন তপন হাফিজ), জনকের অনন্তযাত্রা (একটি নাট্যকার নির্দেশিত নাটক, রচনা মাসুম রেজা), মার্কস ইন সোহো (নায়লা আজাদ নুপুরের নির্দেশনায় নাটকটি বটতলার প্রযোজনা), সে এক স্বপ্নের রাত (রচনা ও নির্দেশনা ড. খন্দকার তাজমি নূর)।
নাটকের উৎসবও হয়েছে বেশ ক’টা। পদাতিক নাট্য সংসদ (টিএসসি) গত তেইশ থেকে পঁচিশ ডিসেম্বর শিল্পকলা একাডেমির তিনহল মিলিয়ে উৎসব শেষ করলো। প্রায় নয়টা নাটকের প্রদর্শনী হয়েছে সেই উৎসবে। নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি দলটি সৈয়দ বদরুদ্দীন হোসাইন স্মারক সম্মাননা প্রদান করেছে। স্বাস্থ্যবিধি শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই দুই বাংলার থিয়েটার উৎসবের আয়োজন করেছিলো সাস্কৃতিক জোট। দশদিনের এই উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক তিরিশটির মতো নাটক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় ও প্রাঞ্জল করতে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় আয়োজন করেছিলো এগারো দিনব্যাপি নাট্যোৎসব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন ও পরিক্ষণ থিয়েটার হলে এ উৎসবের নাটকগুলো মঞ্চায়ন হয়েছে।
সব মিলিয়ে এই সংক্ষিপ্ত সময়ে থিয়েটারে একটা প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে। এই প্রাণচাঞ্চল্য আরো গতি পাবে আগামী বছরে এটা আমার বিশ্বাস। তবে তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপরে। কারণ করোনার আরো এক ঢেউ আমাদের দুয়ারে কড়া নাড়ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪