নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কাবাব, কোফতা, রোস্ট, পরোটা। রয়েছে তন্দুরি, ফুলুরি, পেঁয়াজু, বেগুনি ও হালুয়ার রকমারি আইটেম। কী নেই চকবাজারের বাহারি ইফতার বাজারে! গতকাল শুক্রবার রমজানের প্রথম দিনে পুরান ঢাকার চকবাজার মসজিদের সামনের সড়ক ভরে উঠেছে শত শত সুস্বাদু ইফতারির আইটেমে। বিক্রির আশায় খাবারের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় ক্রেতাদের। সেখানকার ইফতারির স্বাদ নিতে ভিড় করেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভোজনবিলাসীরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জটলা আরও বড় হয়।
ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার জমে উঠলেও দাম শুনে নাখোশ ক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে উপচে পড়া ভিড় আছে, কিন্তু ক্রেতা অনেক কম। এবার ইফতারির আইটেমের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
মিরপুর থেকে আসা ক্রেতা রিয়াজ হোসেন জানান, তিনি কোয়েল পাখির রোস্ট, ছোলা, পেঁয়াজু ও জিলাপি কিনেছেন। সবকিছুর দামই বাড়তি।
বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, জালি কাবাব গতবার বিক্রি হয়েছিল ২০ টাকায়, এবার ৩০ টাকা। রোল গতবার ২০ টাকায়, এবার ২৫ টাকা। দই বড়া গতবার ১০০ টাকায়, এবার ১২০ টাকা। ফালুদা গতবার ছিল ৮০ টাকা, এবার ১২০ টাকা।
পুরান ঢাকার ইফতারের ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘বড় বাপের পোলায় খায়’। এবারও চকবাজারের ইফতারির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বিশেষ এই পণ্য। বড় বাপের পোলায় খায় কিনতে ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এই ইফতার আইটেম তৈরিতে ব্যবহার করা হয় মাংসের কিমা, সুতি কাবাব, ডাবলি, বুটের ডাল, ডিম, মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা-শুকনো মরিচসহ নানা পদের মসলা। এই খাবার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। গত রমজানে বড় বাপের পোলায় খায় বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে।
বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, বড় বাপের পোলায় খায় বিক্রিতে ভালোই সাড়া পাচ্ছি।
লালবাগের বাসিন্দা ফারুক হোসেন চকবাজারে এসেছেন বড় বাপের পোলায় খায় কিনতে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে চকবাজারের ইফতারের আকর্ষণই বড় বাপের পোলায় খায়।’
এদিকে অভিজাত ক্রেতাদের ইফতার বাজার হিসেবে পরিচিত বেইলি রোডে দাম বেশ চড়া বলে জানা গেছে। বেইলি রোডের ফখরুদ্দীন বিরিয়ানি থেকে ইফতারি ও রাতের খাবার কিনেছেন রাসেল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ইফতারির জন্য হালিম আর রাতে খাওয়ার জন্য গরুর কাচ্চি কিনেছি। তবে দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি।’ নবাব ভোজের বিক্রয়কর্মী আব্দুল হালিম বলেন, ইফতারির মূল্যতালিকা তৈরি করে তাঁরা বিভিন্ন খাবার বিক্রি করেন।
এ ছাড়া চকবাজার, কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে খোলা জায়গায় ইফতারসামগ্রী রাখায় পড়ছে ধুলাবালি। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, খোলা জায়গায় ইফতারি রাখলে স্বাভাবিকভাবেই ধুলাময়লা মেশে। এসব খেলে পেটের অসুখ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তিনি বলেন, রোজা রাখার পর এই খাবার খেলে স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি তৈরি হবে। ইফতারি হতে হবে স্বাস্থ্যকর—এ বিষয়ে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
কাবাব, কোফতা, রোস্ট, পরোটা। রয়েছে তন্দুরি, ফুলুরি, পেঁয়াজু, বেগুনি ও হালুয়ার রকমারি আইটেম। কী নেই চকবাজারের বাহারি ইফতার বাজারে! গতকাল শুক্রবার রমজানের প্রথম দিনে পুরান ঢাকার চকবাজার মসজিদের সামনের সড়ক ভরে উঠেছে শত শত সুস্বাদু ইফতারির আইটেমে। বিক্রির আশায় খাবারের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় ক্রেতাদের। সেখানকার ইফতারির স্বাদ নিতে ভিড় করেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভোজনবিলাসীরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জটলা আরও বড় হয়।
ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার জমে উঠলেও দাম শুনে নাখোশ ক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে উপচে পড়া ভিড় আছে, কিন্তু ক্রেতা অনেক কম। এবার ইফতারির আইটেমের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
মিরপুর থেকে আসা ক্রেতা রিয়াজ হোসেন জানান, তিনি কোয়েল পাখির রোস্ট, ছোলা, পেঁয়াজু ও জিলাপি কিনেছেন। সবকিছুর দামই বাড়তি।
বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, জালি কাবাব গতবার বিক্রি হয়েছিল ২০ টাকায়, এবার ৩০ টাকা। রোল গতবার ২০ টাকায়, এবার ২৫ টাকা। দই বড়া গতবার ১০০ টাকায়, এবার ১২০ টাকা। ফালুদা গতবার ছিল ৮০ টাকা, এবার ১২০ টাকা।
পুরান ঢাকার ইফতারের ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘বড় বাপের পোলায় খায়’। এবারও চকবাজারের ইফতারির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বিশেষ এই পণ্য। বড় বাপের পোলায় খায় কিনতে ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এই ইফতার আইটেম তৈরিতে ব্যবহার করা হয় মাংসের কিমা, সুতি কাবাব, ডাবলি, বুটের ডাল, ডিম, মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা-শুকনো মরিচসহ নানা পদের মসলা। এই খাবার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। গত রমজানে বড় বাপের পোলায় খায় বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে।
বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, বড় বাপের পোলায় খায় বিক্রিতে ভালোই সাড়া পাচ্ছি।
লালবাগের বাসিন্দা ফারুক হোসেন চকবাজারে এসেছেন বড় বাপের পোলায় খায় কিনতে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে চকবাজারের ইফতারের আকর্ষণই বড় বাপের পোলায় খায়।’
এদিকে অভিজাত ক্রেতাদের ইফতার বাজার হিসেবে পরিচিত বেইলি রোডে দাম বেশ চড়া বলে জানা গেছে। বেইলি রোডের ফখরুদ্দীন বিরিয়ানি থেকে ইফতারি ও রাতের খাবার কিনেছেন রাসেল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ইফতারির জন্য হালিম আর রাতে খাওয়ার জন্য গরুর কাচ্চি কিনেছি। তবে দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি।’ নবাব ভোজের বিক্রয়কর্মী আব্দুল হালিম বলেন, ইফতারির মূল্যতালিকা তৈরি করে তাঁরা বিভিন্ন খাবার বিক্রি করেন।
এ ছাড়া চকবাজার, কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে খোলা জায়গায় ইফতারসামগ্রী রাখায় পড়ছে ধুলাবালি। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, খোলা জায়গায় ইফতারি রাখলে স্বাভাবিকভাবেই ধুলাময়লা মেশে। এসব খেলে পেটের অসুখ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তিনি বলেন, রোজা রাখার পর এই খাবার খেলে স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি তৈরি হবে। ইফতারি হতে হবে স্বাস্থ্যকর—এ বিষয়ে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪