Ajker Patrika

সয়েফের শখের চিড়িয়াখানা

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯: ১৭
Thumbnail image

গোলাপগঞ্জে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মিনি চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে আটটি হরিণ, তিনটি উটপাখি, তিনটি ইমো, তিনটি ময়ূরসহ বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর। এই চিড়িয়াখানা পারিবারিকভাবে গড়ে তুলেছেন ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল গ্রামের ব্যবসায়ী সয়েফ উদ্দিন চৌধুরী। বিভিন্ন স্থান থেকে এই চিড়িয়াখানা দেখতে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।

সয়েফ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই তাঁর পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা ছিল। ছয়-সাত বছর আগে শ্রীমঙ্গলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে হরিণ দেখে পালনের আগ্রহ জন্মায়। কিন্তু তখন হরিণ পালনের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ ছিল। সম্প্রতি জানতে পারেন আবারও লাইসেন্স দেওয়া শুরু করেছে।

তাই দ্রুত বন বিভাগ থেকে লাইসেন্স করে ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে পাঁচটি হরিণ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর চিন্তা করলেন একটি মিনি চিড়িয়াখানা করার। যেই চিন্তা সেই কাজ। একে একে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেন ময়ূর, উটপাখি, ইমো, টার্কি ও নানা জাতের কবুতর।

মিনি চিড়িয়াখানার খবর পেয়ে দেখতে আসা লক্ষণাবন্দ ফুলসাইন্দ গ্রামের অলি খান বলেন, `গ্রাম্য এলাকায় চিড়িয়াখানা হয়েছে জানতে পেরেই বন্ধুদের নিয়ে ছুটে এসেছি। আমরা ঘুরে ঘুরে হরিণ, ময়ূরসহ সব পশুপাখি দেখেছি। আসলেই খুব ভালো লাগছে। গ্রামের পরিবেশেও শহরের মতো কিছু গড়ে তোলা যায় তা প্রমাণ করলেন সয়েফ।’

ধারাবহরের একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈমা জানায়, ‘হরিণ আর ময়ূর নিয়ে আমি বইয়ে পড়েছি। ছবিও দেখেছি। আজ বাস্তবে দেখলাম। খুব খুশি আমি, আরেক দিন স্কুলের সবাইকে নিয়ে আসব।’

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল মিয়া বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা খুবই কষ্টদায়ক। এর পরও সয়েফ মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তুলে আমাদের গ্রামের নাম চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ সয়েফের চিড়িয়াখানা দেখতে আসছে।’

মিনি চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠাতা সয়েফ চৌধুরীর বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকেই আমার শখ ছিল পশুপাখি সংগ্রহ করে একটি মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলার। অবশেষে অল্প অল্প করে হলেও স্বপ্নের কিছুটা পূরণ হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন জাতের পশু-পাখি সংগ্রহ করব বলে আশা আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত