Ajker Patrika

এক ডালে মুকুল, অপর ডালে ঝুলছে আম

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১১: ১৯
এক ডালে মুকুল, অপর ডালে ঝুলছে আম

ড্রাগন চাষে সাফল্যের পর এবার আমবাগানেও চমক দেখিয়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওরের তরুণ পলাশ সরকার। বসন্তের এ সময় গাছে মুকুল ধরার কথা থাকলেও তাঁর বাগানে মুকুলের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে আম। গাছের এক ডালে মুকুল তো অন্য ডালে আম ঝুলছে। আমের আকার এবং রংও হয়েছে বেশ আকর্ষণীয়।

উপজেলার বানিয়াজুরী সরকারি কলেজের অদূরে দুর্গাবাড়িতে পলাশের বাগানে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। অর্ধশত গাছের আম তিনি লাখ তিনেক টাকায় বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন।

জানা যায়, পলাশ সরকার ২০১৮ সালে যশোর থেকে আমের চারা এনে রোপণ করেন। রোপণের দুই বছরেই ফলন পাওয়া যায়। তাঁর রোপণ করা আমগাছগুলোর মধ্যে কয়েকটি গাছে সারা বছর আম ধরে। গাছে কখনো মুকুল, কখনো আমের গুটি আর কখনো বড় আম দেখা যায়। বাগানে আমের জাতের মধ্যে রয়েছে থাই কাটিমন, বারি-৪, কিউজাই ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো।

পলাশের আমবাগান পরিচর্যাকারী মনির হোসেন বলেন, নিয়মিত পরিচর্যা, পানি, সার, বালাইনাশকসহ সার্বক্ষণিক যত্ন নিতে হয় প্রতিটি গাছে। প্রতিটি থোকায় ১৫-২০টি আম হয়েছে এবং ইতিমধ্যে আমগুলো পাকতে শুরু করেছে। প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম হয়েছে। প্রতি কেজি আম ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান মোল্লা বলেন, ‘পলাশের বাগান থেকে এর আগে আমি কিনেছি। এ আমে আঁশের পরিমাণ খুব কম। খেতেও সুস্বাদু। তাই আরও পাঁচ কেজি আম কিনতে এসেছি।’

বাগানি পলাশ সরকার বলেন, বারোমাসি কয়েকটি গাছ থাকায় তিনি পুরো বছরই আম বিক্রি করেন। এবার মুকুলও এসেছে অনেক, আবার সঙ্গে অনেক আমও আছে। অসময়ে আম বাজারজাত করায় দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর আগাম ও নাবি জাত মিলে ৩ লাখ টাকার ওপরে আম বিক্রি হবে বলে আশাবাদী তিনি।

ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন হোসেন বলেন, পলাশ সরকার একজন তরুণ উদ্যোক্তা। ইতিপূর্বে তিনি ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তাঁকে প্রশিক্ষণ ও সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর মাধ্যমে বারোমাসি আমের চারা তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ আমের চারা সম্প্রসারণের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত