রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধীরগতিতে উদ্বেগ বাড়ছে উদ্যোক্তাদের। পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক না হলেও ইউরোপ-আমেরিকায় উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে বিক্রি কমে যাওয়ায় এ খাতের প্রবৃদ্ধি কমতির দিকে এবং এতে ক্রয়াদেশ কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের কারণেও বৈশ্বিক ক্রেতারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন, তাই ক্রয়াদেশ দেওয়ার ব্যাপারে কিছুটা রক্ষণশীল অবস্থা নিয়েছেন। এ কারণেও ক্রয়াদেশে ধীরগতি বলে জানান এ খাতের উদ্যোক্তারা। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতির খুব উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই অভিমত তাঁদের। সবশেষ রপ্তানি প্রবৃদ্ধির প্রকাশিত তথ্য নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় আজকের পত্রিকাকে তাঁরা এসব অভিমত দেন।
জানা যায়, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে পোশাক খাত থেকে। বিশ্ববাজারে চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে ইউরোপ-আমেরিকাতে বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। এর প্রভাবে ক্রেতারা পোশাকে তাঁদের খরচ কমিয়ে দিয়েছেন। খরচ বাঁচাতে তাঁরা অপেক্ষাকৃত কম দামি পোশাক কিনছেন। এ ছাড়া, চলতি গরমের মৌসুমে হালকা পোশাকের চাহিদা বেশি বলে দামি পোশাকের চাহিদা কম। সব মিলিয়ে পোশাক কেনার ওপর এর প্রভাব পড়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে সম্প্রতি ক্রয়াদেশ কমছে বলে জানান পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। ৪ সেপ্টেম্বর রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আগস্ট মাসের রপ্তানি আয়ের তথ্যেও দেখা যায়, রপ্তানি বাড়লেও প্রবৃদ্ধি কমছে।
তথ্য বলছে, আগস্টে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৪৭৮ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার বেশি। শতাংশের হিসাবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে আগস্টে রপ্তানি আয়ের সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা পূরণ হয়নি। যা ১ দশমিক ৮১ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। এ সময় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার।
দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। আগস্টে এ খাতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগস্টে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৮ কোটি ডলার, আয় হয়েছে ৭৯ কোটি ডলার, অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মাত্র ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
এ ব্যাপারে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানির প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে বাস্তব চিত্র আরও খারাপ। রপ্তানি এখনো নেতিবাচক হয়নি, তবে পরিস্থিতি খুব ভালো নয়। ক্রয়াদেশ কম। আগামী ডিসেম্বরের আগে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তা ছাড়া, নির্বাচনের কারণে ক্রেতারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। নতুন করে অর্ডার দেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা দামও কম দিতে চাইছেন। কম দামে লোকসানে পোশাক বিক্রি করা কঠিন। কারণ, খরচ বেড়ে গেছে।
নিট পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে যতটা কম দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত চিত্র আরও খারাপ। ইউরোপ-আমেরিকায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। সেখানের মানুষ বুঝেশুনে খরচ করছে। তাঁরা পোশাকে খরচ কমিয়েছেন। তাই ক্রয়াদেশও কমছে।
নিট পোশাক খাতের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান মাইক্রো ফাইবার গ্রুপের পরিচালক ড. কামরুজ্জামান কায়সার আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানি নেতিবাচক না হলেও প্রবৃদ্ধির ধারা শ্লথ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ইউরোপে পণ্যমূল্য অনেক বেড়ে গেছে। তাই স্থানীয় ক্রেতারা কৃচ্ছ্রসাধন করছেন। দুটি পোশাকের বদলে হয়তো একটি কিনছেন। পাশাপাশি ইউরোপে এখন সামার চলছে। সে কারণে তাঁরা সামারের উপযোগী অপেক্ষাকৃত কম দামি পোশাক কিনছেন। খরচ কমাচ্ছেন। তারই প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে। যারা ব্যাংকঋণ নিয়ে কারখানা করেছেন, তাঁদের জন্য সময়টা একটু বেশিই খারাপ যাচ্ছে।
উদ্যোক্তারা জানান, ক্রেতারা পণ্যের কম দাম দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। কাঁচামালসহ বিভিন্ন খরচ বাড়তির কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় কম দামে পোশাকের ক্রয়াদেশ নিতে পারছেন না তাঁরা।
তথ্য বলছে, গত আগস্টে হিমায়িত মাছ, পাটজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য ও হোম টেক্সটাইলে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় হোম টেক্সটাইলে রপ্তানি কমেছে ৫৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিরামিকে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধীরগতিতে উদ্বেগ বাড়ছে উদ্যোক্তাদের। পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক না হলেও ইউরোপ-আমেরিকায় উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে বিক্রি কমে যাওয়ায় এ খাতের প্রবৃদ্ধি কমতির দিকে এবং এতে ক্রয়াদেশ কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের কারণেও বৈশ্বিক ক্রেতারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন, তাই ক্রয়াদেশ দেওয়ার ব্যাপারে কিছুটা রক্ষণশীল অবস্থা নিয়েছেন। এ কারণেও ক্রয়াদেশে ধীরগতি বলে জানান এ খাতের উদ্যোক্তারা। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতির খুব উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই অভিমত তাঁদের। সবশেষ রপ্তানি প্রবৃদ্ধির প্রকাশিত তথ্য নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় আজকের পত্রিকাকে তাঁরা এসব অভিমত দেন।
জানা যায়, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে পোশাক খাত থেকে। বিশ্ববাজারে চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে ইউরোপ-আমেরিকাতে বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। এর প্রভাবে ক্রেতারা পোশাকে তাঁদের খরচ কমিয়ে দিয়েছেন। খরচ বাঁচাতে তাঁরা অপেক্ষাকৃত কম দামি পোশাক কিনছেন। এ ছাড়া, চলতি গরমের মৌসুমে হালকা পোশাকের চাহিদা বেশি বলে দামি পোশাকের চাহিদা কম। সব মিলিয়ে পোশাক কেনার ওপর এর প্রভাব পড়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে সম্প্রতি ক্রয়াদেশ কমছে বলে জানান পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। ৪ সেপ্টেম্বর রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আগস্ট মাসের রপ্তানি আয়ের তথ্যেও দেখা যায়, রপ্তানি বাড়লেও প্রবৃদ্ধি কমছে।
তথ্য বলছে, আগস্টে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৪৭৮ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার বেশি। শতাংশের হিসাবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে আগস্টে রপ্তানি আয়ের সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা পূরণ হয়নি। যা ১ দশমিক ৮১ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। এ সময় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার।
দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। আগস্টে এ খাতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগস্টে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৮ কোটি ডলার, আয় হয়েছে ৭৯ কোটি ডলার, অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মাত্র ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
এ ব্যাপারে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানির প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে বাস্তব চিত্র আরও খারাপ। রপ্তানি এখনো নেতিবাচক হয়নি, তবে পরিস্থিতি খুব ভালো নয়। ক্রয়াদেশ কম। আগামী ডিসেম্বরের আগে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তা ছাড়া, নির্বাচনের কারণে ক্রেতারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। নতুন করে অর্ডার দেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা দামও কম দিতে চাইছেন। কম দামে লোকসানে পোশাক বিক্রি করা কঠিন। কারণ, খরচ বেড়ে গেছে।
নিট পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে যতটা কম দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত চিত্র আরও খারাপ। ইউরোপ-আমেরিকায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। সেখানের মানুষ বুঝেশুনে খরচ করছে। তাঁরা পোশাকে খরচ কমিয়েছেন। তাই ক্রয়াদেশও কমছে।
নিট পোশাক খাতের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান মাইক্রো ফাইবার গ্রুপের পরিচালক ড. কামরুজ্জামান কায়সার আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানি নেতিবাচক না হলেও প্রবৃদ্ধির ধারা শ্লথ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ইউরোপে পণ্যমূল্য অনেক বেড়ে গেছে। তাই স্থানীয় ক্রেতারা কৃচ্ছ্রসাধন করছেন। দুটি পোশাকের বদলে হয়তো একটি কিনছেন। পাশাপাশি ইউরোপে এখন সামার চলছে। সে কারণে তাঁরা সামারের উপযোগী অপেক্ষাকৃত কম দামি পোশাক কিনছেন। খরচ কমাচ্ছেন। তারই প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে। যারা ব্যাংকঋণ নিয়ে কারখানা করেছেন, তাঁদের জন্য সময়টা একটু বেশিই খারাপ যাচ্ছে।
উদ্যোক্তারা জানান, ক্রেতারা পণ্যের কম দাম দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। কাঁচামালসহ বিভিন্ন খরচ বাড়তির কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় কম দামে পোশাকের ক্রয়াদেশ নিতে পারছেন না তাঁরা।
তথ্য বলছে, গত আগস্টে হিমায়িত মাছ, পাটজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য ও হোম টেক্সটাইলে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় হোম টেক্সটাইলে রপ্তানি কমেছে ৫৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিরামিকে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪