Ajker Patrika

রাস্তার কাজে ধীরগতি, ধুলায় অতিষ্ঠ মানুষ

শেখ কামাল, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
Thumbnail image

ইটের খোয়া দীর্ঘদিন ধরে বিছিয়ে রাখা হয়েছে সড়কে। যানবাহনের চাকার আঘাতে খোয়াগুলো গুঁড়া হয়ে গেছে। সামান্য বাতাসেই অথবা যান চলাচলের সময় সড়কে ধুলা ওড়ে। মানুষকে নাক চেপে বা মাস্ক ব্যবহার করে রাস্তায় চলতে হচ্ছে। ধুলার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা।

 সচেতন মানুষ বলছেন, রাস্তার ধুলাবালু মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। উপজেলা প্রকৌশল অফিস বলছে, ধুলার কারণে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি তারা অবগত। দ্রুত সড়কটির সংস্কারকাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, সান্দিকোনা-বসুরবাজার সড়কের পেড়িরমোড় থেকে জনতার বাজার পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় মো. ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি দ্রুত শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার ইটের খোয়া বিছানোর পর কয়েক মাস ধরে তা ফেলে রেখেছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পরে থাকায় রাস্তায় বিছানো খোয়া গুঁড়া হয়ে ধুলায় পরিণত হয়েছে। সামান্য বাতাসেই অথবা এবং যানবাহন চলাচলের সময় ধুলা ওড়ে সড়কটি ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। রাস্তার পাশের গাছপালা, বসতবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা এবং ঝোপঝাড়ের প্রভাব দেখা গেছে। ধুলায় আচ্ছন্ন সড়কে চরম ভোগান্তি নিয়ে চলছে যানবাহন ও মানুষ। সড়কের পাশের দোকানিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা পানি ছিটিয়ে আশপাশ ধুলামুক্ত রাখার চেষ্টা করছেন। এরপরও ধুলার যন্ত্রণা থেকে পুরোপুরি রেহাই মিলছে না। এ ছাড়া বিভিন্ন যানবাহনের চালক, যাত্রীসহ পথচারীদের কাপড়চোপড়ও ধুলায় নোংরা হয়ে পড়ছে।

কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী ও পথচারী বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে চলাচল করার সময় চোখ-মুখ ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং কাপড়চোপড় সব নষ্ট হয়ে যায়। এত ধুলায় চলা কী যে ভোগান্তির, তা বোঝানো যাবে না।’

সড়কের পাশের গ্রামের বাসিন্দা তারা মিয়া মোড়ল, এরশাদ মিয়া, আল-আমিনসহ অনেকে বলেন, ধুলার কারণে কী যে কষ্টের মধ্যে আছি, তা বলার মতো নয়। বাড়িঘরের মানুষও এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’

সড়ক-সংলগ্ন সান্দিকোনা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধুলার কারণে কেনাকাটা করতে আসা লোকজন দুর্ভোগে পড়ছেন। ধুলায় দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।

কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মাশরুফ ওয়াহিদ বলেন, ‘ধুলাবালু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগের আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ধুলা থেকে রক্ষায় ঠিকাদারের লোকজন নিয়মিত পানি দিলেও এতটা সমস্যা হতো না। কিন্তু তাঁরা তা দিচ্ছেন না। তিনি জনস্বার্থে দ্রুত সড়কটির সংস্কারকাজ শেষ করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার ইকবাল হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ধুলার কারণে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি তাঁরাও জানেন। এর জন্য দ্রুত সড়কটির সংস্কারকাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত