Ajker Patrika

বাঁচল ১০০ মিলিয়ন ডলার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২২, ১০: ৫৯
বাঁচল ১০০ মিলিয়ন ডলার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সোমবার দেশের সবচেয়ে বড় পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিত এ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয় কয়েক দফা বাড়লেও যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার কম খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট থেকে বর্তমানে মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের প্রথম অংশে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট (মোট ১ হাজার ৩২০) মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, যা সর্বাধুনিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অত্যাধুনিক ঢাকনাযুক্ত কোলডোম ব্যবহার করেছে, যার কারণে পরিবেশের ওপর এর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।

তবে নির্মাণকাজ করতে গিয়ে কয়েক দফা ব্যয় বাড়ে। সর্বশেষ ২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করলেও তা থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার কম খরচ হয়েছে; পাশাপাশি প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান; যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এতে করে জাতীয় গ্রিডে পায়রা থেকে মোট ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে দুটি ইউনিটে মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা লাভ করে। এটি নির্মাণে সর্বশেষ ২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করলেও আমাদের ১০০ মিলিয়ন ডলারের মতো সাশ্রয় হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় ফেজের নির্মাণকাজ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেটির নির্মাণকাজও শেষ হবে। ফলে এই প্ল্যান্ট থেকে তখন ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।’

এদিকে কাল সোমবার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে চলছে প্রস্তুতি। পাশাপাশি এই সফরে তিনি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরে একটি সুধী সমাবেশেও অংশ নেবেন। এ ছাড়া সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নেরও ঘোষণা দেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে মন্ত্রিপরিষদের অন্তত ২০ জন সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ৩০ জনের বেশি সচিব এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডররা উপস্থিত থাকবেন। এই সুধী সমাবেশ থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত