Ajker Patrika

এমন রাস্তাও তবে আছে!

আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, মধুপুর
আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১৩: ৩৮
এমন রাস্তাও তবে আছে!

গাড়ি তো দূরের কথা হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মধুপুর-দোখলা-শিরিস্টাল-গোলাকার ও দরিপাড়ার কাঁচা রাস্তাটি। বিশালাকারের খানাখন্দ আর পিচ্ছিল লাল মাটি রাস্তাটিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। ফলে আড়াই কিলোমিটারের দুর্ভোগ এড়াতে বাধ্য হয়ে ৯ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করছে মানুষ। রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, মধুপুরের অরণ্য বেষ্টিত ইউনিয়নগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গোলাকার ইউনিয়ন। বৃহদাকারের ইউনিয়নটি বিভাজন করে ছয় বছর আগে সরকার ফুলবাগচালা নামে আরেকটি ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করে। এই দুটি ইউনিয়নের সঙ্গে মধুপুর উপজেলা শহর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-জামালপুর মহাসড়কের সংযোগ সড়কটি হলো মধুপুর-দোখলা-হাগুড়াকুড়ি-শিরিস্টাল-গোলাকার ও দরিপাড়া রাস্তা। শুধু তাই নয়, এ রাস্তা ধরেই দরিপাড়া হয়ে জামালপুর জেলা শহরে সরাসরি প্রবেশের একমাত্র রাস্তা এটি। দুটি ইউনিয়ন ও তার আশপাশের অঞ্চলের মানুষের উৎপাদিত কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল আনা-নেওয়া করতে হয় এ রাস্তা ব্যবহার করেই।

জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পাকা করণ কার্যক্রম শুরু করেছে। এখনো আড়াই কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। সেই অংশটি বর্ষা মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম হাবিব বলেন, ‘আমাদের এ অঞ্চলটি পাহাড়ি হলেও ফল-ফসলে সমৃদ্ধ। কৃষকের উৎপাদিত ধান, কলা, আনারসসহ বিভিন্ন ফসল বাজারে নেওয়া এবং চলাচলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি পাকা করা অত্যন্ত জরুরি। মধুপুর-গোলাকার সড়কের মাঝির মোড়ের পাকা সড়কের শেষাংশ থেকে ইছামতি পর্যন্ত পাকা হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দূর হবে।’

শিরস্টাল গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ভোগান্তি বহুদিনের। এ ভোগান্তি দূর করার জন্য শোলাকুড়ি ও ফুলবাগচালা ইউপির চেয়ারম্যানেরা উদ্যোগ নিয়েছেন বলে চানা গেছে। তবে এখনো কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি।

কৃষক হায়দার আলী জানান, শুকনা মৌসুমে মাঝিরমোড় থেকে ইছামতি পর্যন্ত রাস্তায় কষ্ট নিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় আর সম্ভব হয় না। দুর্ভোগ এড়াতে ৯ কিলোমিটার ঘুরে পণ্য পরিবহন করতে হয়।

পথচারী ইসমাইল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার বিভাগ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সহ বিভিন্ন কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান থাকার পরও রাস্তার এমন অবস্থা সত্যিই দুঃখজনক। সড়কটির দ্রুত উন্নয়ন হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনাম বাড়বে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মধুপুরের প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ফুলবাগচালা ও গোলাকার ইউনিয়নের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে মধুপুর-গোলাকার সড়কের শেষাংশ পাকা করণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার আরবান করে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। শিগগিরই নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত