সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট নগরীর পাঠানটুলার স্কলার্স হোম স্কুলে গত বছরের ডিসেম্বরে প্লে শ্রেণিতে ভর্তি হয় মারিয়াম আহমেদ আয়াত। করোনার বিধিনিষেধের কারণে জানুয়ারি থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু করে সে। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাসে যেন মন ভরছিল না তার। কারণ, আয়াত স্কুলড্রেস পরে বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে যেতে চায়। তাই গতকাল প্রাক্-প্রাথমিকের সশরীর পাঠদান শুরু হওয়ায় আয়াতের খুশির যেন সীমা নেই! সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্কুলড্রেস পরে বাবার সঙ্গে নতুন উচ্ছ্বাসে স্কুলে যায় সে।
শুধু আয়াতই নয়, তার মতো প্রথমবার সশরীর ক্লাসে এসে উচ্ছ্বসিত সব প্রাক্-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী। পুরোদমে ক্লাস শুরুর ঘোষণায় শিশুদের চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক। শিশুদের খুশিতে উচ্ছ্বসিত ছিল তাদের অভিভাবকেরাও।
আয়াতের বাবা মারুফ আহমেদ বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের স্টাফ করেসপনডেন্ট হিসেবে কর্মরত। মারুফ আহমেদ বলেন, স্কুলে ভর্তি হলেও আমার মেয়ে ক্লাসের আনন্দ পাচ্ছিল না। সে সবসময় স্কুলে যেতে চাইত। তাই বিদ্যালয় খোলার খবর পেয়েই সে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছে। মেয়েকে প্রথম ক্লাসে নিয়ে আসতে পেরে আমিও অনেক আনন্দিত।’
এদিকে সারা দেশের মতো সিলেটে পুরোদমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের স্কুল-কলেজে পুরোদমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়। তাই সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু তা-ই নয়, টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর প্রাক-প্রাথমিকেও গতকাল থেকে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। এই কচিকাঁচাদের জন্য শিক্ষকেরা আয়োজন করেন শিশুবরণ উৎসব। তবে পাঠদান চালু হলেও এখনই প্রতিদিন ক্লাসে আসবে না প্রাক-প্রাথমিকের শিশুরা। সপ্তাহে দুই দিন (রোব ও মঙ্গলবার) ক্লাসে অংশ নেবে তারা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজে গিয়ে দেখা যায়, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। পুরোদমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। পাঠদান শুরুর আগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয় উৎসাহ ও আনন্দমূলক নানা অনুষ্ঠান। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুল-চকলেট দিয়েও বরণ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
সকালে নগরীর সরকারি কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শরীরের তাপমাত্রা মাপার পর শিশুশিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের মূল ফটকের ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। এরপর শিক্ষার্থীরা হাত ধুয়ে বা জীবাণুমুক্ত করে ক্লাসে প্রবেশ করছে। এর আগে বিদ্যালয় খোলার আনন্দ ও শ্রেণিকক্ষে ফেরার আগ্রহ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগে আগেই অনেকে স্কুলের ফটকের সামনে এসে জড়ো হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করিয়ে বাইরে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলেন অভিভাবকেরা।
এদিকে পুরোদমে স্কুল-কলেজে শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি খুশি তাদের শিক্ষকেরাও। নগরীর কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরা দে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হওয়ায়। শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। যথাযথ বিধি মেনেই আমরা পাঠদান শুরু করছি। তাই অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করছে সবার মাঝে।
আশা করি এখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলবে।
সিলেট নগরীর পাঠানটুলার স্কলার্স হোম স্কুলে গত বছরের ডিসেম্বরে প্লে শ্রেণিতে ভর্তি হয় মারিয়াম আহমেদ আয়াত। করোনার বিধিনিষেধের কারণে জানুয়ারি থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু করে সে। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাসে যেন মন ভরছিল না তার। কারণ, আয়াত স্কুলড্রেস পরে বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে যেতে চায়। তাই গতকাল প্রাক্-প্রাথমিকের সশরীর পাঠদান শুরু হওয়ায় আয়াতের খুশির যেন সীমা নেই! সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্কুলড্রেস পরে বাবার সঙ্গে নতুন উচ্ছ্বাসে স্কুলে যায় সে।
শুধু আয়াতই নয়, তার মতো প্রথমবার সশরীর ক্লাসে এসে উচ্ছ্বসিত সব প্রাক্-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী। পুরোদমে ক্লাস শুরুর ঘোষণায় শিশুদের চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক। শিশুদের খুশিতে উচ্ছ্বসিত ছিল তাদের অভিভাবকেরাও।
আয়াতের বাবা মারুফ আহমেদ বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের স্টাফ করেসপনডেন্ট হিসেবে কর্মরত। মারুফ আহমেদ বলেন, স্কুলে ভর্তি হলেও আমার মেয়ে ক্লাসের আনন্দ পাচ্ছিল না। সে সবসময় স্কুলে যেতে চাইত। তাই বিদ্যালয় খোলার খবর পেয়েই সে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছে। মেয়েকে প্রথম ক্লাসে নিয়ে আসতে পেরে আমিও অনেক আনন্দিত।’
এদিকে সারা দেশের মতো সিলেটে পুরোদমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের স্কুল-কলেজে পুরোদমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়। তাই সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু তা-ই নয়, টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর প্রাক-প্রাথমিকেও গতকাল থেকে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। এই কচিকাঁচাদের জন্য শিক্ষকেরা আয়োজন করেন শিশুবরণ উৎসব। তবে পাঠদান চালু হলেও এখনই প্রতিদিন ক্লাসে আসবে না প্রাক-প্রাথমিকের শিশুরা। সপ্তাহে দুই দিন (রোব ও মঙ্গলবার) ক্লাসে অংশ নেবে তারা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজে গিয়ে দেখা যায়, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। পুরোদমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। পাঠদান শুরুর আগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয় উৎসাহ ও আনন্দমূলক নানা অনুষ্ঠান। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুল-চকলেট দিয়েও বরণ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
সকালে নগরীর সরকারি কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শরীরের তাপমাত্রা মাপার পর শিশুশিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের মূল ফটকের ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। এরপর শিক্ষার্থীরা হাত ধুয়ে বা জীবাণুমুক্ত করে ক্লাসে প্রবেশ করছে। এর আগে বিদ্যালয় খোলার আনন্দ ও শ্রেণিকক্ষে ফেরার আগ্রহ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগে আগেই অনেকে স্কুলের ফটকের সামনে এসে জড়ো হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করিয়ে বাইরে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলেন অভিভাবকেরা।
এদিকে পুরোদমে স্কুল-কলেজে শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি খুশি তাদের শিক্ষকেরাও। নগরীর কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরা দে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হওয়ায়। শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। যথাযথ বিধি মেনেই আমরা পাঠদান শুরু করছি। তাই অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করছে সবার মাঝে।
আশা করি এখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪