আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
সারা দেশে ১৬৬টি চা-বাগানের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে ৯২টি। এ শিল্পের শ্রমিকের অর্ধেকেরও বেশি নারী। চা-পাতা তোলার প্রধান কাজটিই করেন নারী শ্রমিকেরা। অধিক শ্রম দিলেও সে অনুযায়ী মজুরি পান না এমন অভিযোগ নারী শ্রমিকদের।
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন তাঁরা। অতিরিক্ত শ্রম দিলেও সে তুলনায় মজুরি পান না বলে অভিযোগ তাঁদের। ফলে পর্যাপ্ত খাদ্য, চিকিৎসাসহ মৌলিক নানা অধিকার নিশ্চিত হয় না।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে চা-জনগোষ্ঠীর সদস্য সাড়ে সাত লাখ। কর্মরত মোট চা-শ্রমিক স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ নারী চা-শ্রমিক।
জেলার চা-বাগানের নারী শ্রমিকেরা সূত্রে জানা যায়, তাঁরা প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করেন। আর পুরুষ শ্রমিকেরা করেন তিন-চার ঘণ্টা। সে অনুযায়ী তাঁরা মজুরি পান না। শ্রম দিলেও মজুরির টাকা নিজেরা তুলতে পারেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নারী শ্রমিকদের পক্ষে তাঁদের স্বামী বা পরিবারের পুরুষ প্রতিনিধিই মজুরির টাকা তোলেন।
চা-বাগানের শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০ কেজির অধিক চা-পাতা তুললে প্রতি কেজির বিপরীতে একজন শ্রমিককে পাঁচ টাকা করে বাড়তি দেওয়ার কথা। তবে এ ক্ষেত্রে নারীদের কম দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
চা-শ্রমিক সন্তান ও পরিবেশকর্মী কাজল হাজরা বলেন, পুরুষ শ্রমিকেরা পদোন্নতি পেয়ে ‘সর্দার’ কিংবা ‘বাবু’ হলেও নারী শ্রমিকদের সাধারণত পদোন্নতি হয় না। এ ছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটির ক্ষেত্রেও বঞ্চনার শিকার হন নারী শ্রমিকেরা।
জেলা চা-কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খাইরুন আক্তার বলেন, বাগানে নারীরা বেশি পরিশ্রম দেন অথচ মজুরি পান পুরুষের সমান। আবার অতিরিক্ত পাতা তুলেও নির্ধারিত বোনাস পান না। পাশাপাশি রয়েছে অল্প বয়সে বিয়ে ও অসচেতনতায় জরায়ু মুখে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের রোগ।
চা-শ্রমিক অধিকারকর্মী মোহন রবিদাস বলেন, ‘অনেক প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে নারী শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে পয়োনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির অভাবে তাঁরা অনেক কঠিন রোগের শিকার হন। চা-বাগানগুলোতে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার মানের অবস্থা খুবই নাজুক।’
চা-জনগোষ্ঠীর সন্তান পরিবেশকর্মী মিন্টু দেশোয়ারা বলেন, অন্যান্য নারীর চেয়ে চা-গানের নারীরা পিছিয়ে। নারী দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে চা-শ্রমিক নিয়ে আলোচনা হলেও বছরের বাকি সময়ে মনে থাকে
না কেউ।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রামভজন কৈরি বলেন, বেশি ভাতা পাওয়ারা জন্য গর্ভাবস্থায় চা-বাগানের নারীরা বাড়তি পরিশ্রম করেন। এতে মা ও সন্তান দুজনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস হলেও চা-নারী শ্রমিকেরা পান তিন মাস। এদিকে দীর্ঘদিন কাজ করলেও নারীরা পদোন্নতি পান না।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি পঙ্কজ কন্দ বলেন, চা-জনগোষ্ঠীর সঠিক পরিসংখ্যান কোথাও নেই। এ ধারণা অনুযায়ী দেশে চা-জনগোষ্ঠীর সদস্য সাড়ে সাত লাখ। সারা দেশে কর্মরত চা-শ্রমিক স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ নারী শ্রমিক।
চা-সংসদের সদস্য তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে এ শিল্প অনেক এগিয়েছে। আমাদের অনেক ঘাটতি আছে। আগামীতে ঘাটতি অনেক কমে আসবে।’
সারা দেশে ১৬৬টি চা-বাগানের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে ৯২টি। এ শিল্পের শ্রমিকের অর্ধেকেরও বেশি নারী। চা-পাতা তোলার প্রধান কাজটিই করেন নারী শ্রমিকেরা। অধিক শ্রম দিলেও সে অনুযায়ী মজুরি পান না এমন অভিযোগ নারী শ্রমিকদের।
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন তাঁরা। অতিরিক্ত শ্রম দিলেও সে তুলনায় মজুরি পান না বলে অভিযোগ তাঁদের। ফলে পর্যাপ্ত খাদ্য, চিকিৎসাসহ মৌলিক নানা অধিকার নিশ্চিত হয় না।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে চা-জনগোষ্ঠীর সদস্য সাড়ে সাত লাখ। কর্মরত মোট চা-শ্রমিক স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ নারী চা-শ্রমিক।
জেলার চা-বাগানের নারী শ্রমিকেরা সূত্রে জানা যায়, তাঁরা প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করেন। আর পুরুষ শ্রমিকেরা করেন তিন-চার ঘণ্টা। সে অনুযায়ী তাঁরা মজুরি পান না। শ্রম দিলেও মজুরির টাকা নিজেরা তুলতে পারেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নারী শ্রমিকদের পক্ষে তাঁদের স্বামী বা পরিবারের পুরুষ প্রতিনিধিই মজুরির টাকা তোলেন।
চা-বাগানের শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০ কেজির অধিক চা-পাতা তুললে প্রতি কেজির বিপরীতে একজন শ্রমিককে পাঁচ টাকা করে বাড়তি দেওয়ার কথা। তবে এ ক্ষেত্রে নারীদের কম দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
চা-শ্রমিক সন্তান ও পরিবেশকর্মী কাজল হাজরা বলেন, পুরুষ শ্রমিকেরা পদোন্নতি পেয়ে ‘সর্দার’ কিংবা ‘বাবু’ হলেও নারী শ্রমিকদের সাধারণত পদোন্নতি হয় না। এ ছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটির ক্ষেত্রেও বঞ্চনার শিকার হন নারী শ্রমিকেরা।
জেলা চা-কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খাইরুন আক্তার বলেন, বাগানে নারীরা বেশি পরিশ্রম দেন অথচ মজুরি পান পুরুষের সমান। আবার অতিরিক্ত পাতা তুলেও নির্ধারিত বোনাস পান না। পাশাপাশি রয়েছে অল্প বয়সে বিয়ে ও অসচেতনতায় জরায়ু মুখে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের রোগ।
চা-শ্রমিক অধিকারকর্মী মোহন রবিদাস বলেন, ‘অনেক প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে নারী শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে পয়োনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির অভাবে তাঁরা অনেক কঠিন রোগের শিকার হন। চা-বাগানগুলোতে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার মানের অবস্থা খুবই নাজুক।’
চা-জনগোষ্ঠীর সন্তান পরিবেশকর্মী মিন্টু দেশোয়ারা বলেন, অন্যান্য নারীর চেয়ে চা-গানের নারীরা পিছিয়ে। নারী দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে চা-শ্রমিক নিয়ে আলোচনা হলেও বছরের বাকি সময়ে মনে থাকে
না কেউ।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রামভজন কৈরি বলেন, বেশি ভাতা পাওয়ারা জন্য গর্ভাবস্থায় চা-বাগানের নারীরা বাড়তি পরিশ্রম করেন। এতে মা ও সন্তান দুজনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস হলেও চা-নারী শ্রমিকেরা পান তিন মাস। এদিকে দীর্ঘদিন কাজ করলেও নারীরা পদোন্নতি পান না।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি পঙ্কজ কন্দ বলেন, চা-জনগোষ্ঠীর সঠিক পরিসংখ্যান কোথাও নেই। এ ধারণা অনুযায়ী দেশে চা-জনগোষ্ঠীর সদস্য সাড়ে সাত লাখ। সারা দেশে কর্মরত চা-শ্রমিক স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ নারী শ্রমিক।
চা-সংসদের সদস্য তাহসিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে এ শিল্প অনেক এগিয়েছে। আমাদের অনেক ঘাটতি আছে। আগামীতে ঘাটতি অনেক কমে আসবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪