Ajker Patrika

মেঘনায় ভাসছে বিদ্যুতের সাবমেরিন কেব্‌ল

ইসমাইল হোসেন কিরন হাতিয়া (নোয়াখালী)
মেঘনায় ভাসছে বিদ্যুতের সাবমেরিন কেব্‌ল

মাত্র বছরখানেক আগে নোয়াখালীর হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয় বিচ্ছিন্ন নিঝুম দ্বীপে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই মেঘনা নদীতে সাবমেরিন কেব্‌লগুলো ভেসে উঠেছে। এই কেব্‌ল দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে নদীর এপার থেকে ওপারে। ফলে ওই নৌপথে চলাচলকারী নৌযানগুলো রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে।

নিয়মানুযায়ী, সাবমেরিন কেব্‌ল থাকবে মাটির অনেক গভীরে। নদীর তলদেশ দিয়ে কেব্‌ল যাবে এপার থেকে ওপারে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে কাজটি করার কথা।

২০২১ সালের আগস্টে শুরু হয় নতুন এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পের নাম ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে হাতিয়া পৌরসভার হরেন্দ্র মার্কেট এলাকায় ১৬ একর জমিতে নির্মাণ করা হয় ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এ জন্য ১ হাজার ৫০০ মিটার দীর্ঘ লাইনে হাতিয়া থেকে নিঝুম দ্বীপে নেওয়া হয় বিদ্যুতের লাইন। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না হলেও গত বছরের নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে এখান থেকে।

সরেজমিন দেখা গেছে, নদীর দুই পাশে দুটি সাবস্টেশন তৈরি করা হয়েছে। উত্তরের জাহাজমারা ইউনিয়নের সাবস্টেশন থেকে মাটির নিচ দিয়ে নদী পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে কেব্‌ল। এরপর সেটি নদীর তলদেশ দিয়ে না নিয়ে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। একই অবস্থা নিঝুম দ্বীপে স্থাপন করা সাবস্টেশনে। এতে জোয়ার এলে কেব্‌লগুলো পানিতে তলিয়ে থাকলেও ভাটার সময় ভেসে ওঠে।

জাহাজমারা ইউনিয়নের মোক্তারিয়া ঘাট এলাকার বাসিন্দা আজগর আলি বলেন, শুধু নদীর তীরে নয়, এই কেব্‌ল বেড়িবাঁধের পাশে ছোট খালের মধ্যেও পড়ে থাকতে দেখা যায়। সাবমেরিন কেবলের অনেক অংশ জোড়া দেওয়া আছে বলে দেখেছেন দুবাইর খাল এলাকার বাসিন্দা রাশেদ।

নিঝুম দ্বীপের খেয়াঘাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন বলেন, নিঝুম দ্বীপ ও হাতিয়ার মাঝখানের ছোট এ নদীতে মাছ ধরার অনেক ট্রলার থাকে। সাগর থেকে এসব ট্রলার এখানে এসে নোঙর করে। এসব ট্রলারের মাঝিমাল্লারা এখানে সাবমেরিন কেব্‌ল আছে বা ভাসছে তা জানেন না। এতে রাতের আঁধারে নোঙরের সময় ফুটো হয়ে যেতে পারে কেব্‌ল।

এ বিষয়ে নিঝুম দ্বীপের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, এভাবে যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা কেব্‌লে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, এটি দ্রুত পুনঃস্থাপন করা দরকার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এক ফ্যাসিস্ট নেত্রীর পাল্লায় পড়ে পুলিশ খারাপ হয়েছিল: এসপি

বিএনপি নেতা নাছিরের দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ দুই সৎভাইয়ের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত