নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ২৫ বছরের জন্য কোনো কবর সংরক্ষণ করতে চাইলে গুনতে হবে দেড় কোটি টাকা। বনানীসহ ঢাকার ছয়টি কবরস্থান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন। এই ছয় কবরস্থানেই কবর সংরক্ষণের টাকা বাড়িয়ে কয়েক গুণ করা হয়েছে। আগ্রহীরা এর সমালোচনা করলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কবরস্থানের জায়গা বাড়ানোর সুযোগ না থাকায় কবর সংরক্ষণ নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়ানো হয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ডিএনসিসির ছয়টি কবরস্থানে কবর সংরক্ষণে নতুন ফি কার্যকর করা হয়েছে। এগুলো হলো বনানী কবরস্থান, উত্তরা ৪ ও ১২ সেক্টরের কবরস্থান, ১৪ নম্বর সেক্টর (এটি নতুন কবরস্থান), মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এবং রায়েরবাজার কবরস্থান।
ডিএনসিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বনানী কবরস্থানে ১৫ বছর কোনো কবর সংরক্ষণে ৮ লাখ টাকা লাগত, এখন তা করা হয়েছে ১ কোটি টাকা। ২৫ বছরের জন্য আগে ১৫ লাখ টাকা লাগত, এখন দিতে হবে দেড় কোটি টাকা। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে ১৫ বছরের জন্য ফি ৮ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা, ১২ নম্বর সেক্টরে ৬ লাখ থেকে ৫০ লাখ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ৬ লাখ থেকে বেড়ে ২০ লাখ, রায়েরবাজার কবরস্থানে ৬ লাখ থেকে বেড়ে ১০ লাখ টাকা হয়েছে। ২৫ বছরের জন্য কবর সংরক্ষণে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে ১৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে ১১ লাখ থেকে বেড়ে ৭৫ লাখ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ১১ লাখ থেকে বেড়ে ৩০ লাখ এবং রায়েরবাজার কবরস্থানে ১১ লাখ থেকে বেড়ে ১৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানটি নতুন। এটি আগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অধীনে ছিল। এখানে কবর সংরক্ষণে ১৫ বছরের জন্য ৩০ লাখ এবং ২৫ বছরের জন্য ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে।
এ ছাড়া ডিএনসিসির কবরস্থানে সংরক্ষিত কবরে পুনরায় কবর দেওয়ার ফিও বাড়ানো হয়েছে। বনানীতে ২০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য কবরস্থানে বেড়েছে ১০ হাজার টাকা। আগে বনানীতে লাগত ৩০ হাজার টাকা। বাকি কবরস্থানগুলোতে পুনরায় কবর দিতে লাগত ২০ হাজার টাকা।
ডিএনসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে কবর সংরক্ষণে আগ্রহী অনেক পরিবার। বর্তমানে কবরের জায়গা কেনার ব্যবস্থা না থাকায় সংরক্ষণে আগ্রহী তাঁরা।
রাজধানীর বারিধারার বাসিন্দা মো. খোকন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন বছর আগে তাঁর বাবা ইলিয়াস হোসেনকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। মায়ের ইচ্ছায় বাবার কবর সংরক্ষণের জন্য গত বছর আবেদন করেছেন। তবে এখনো অনুমোদন পাননি। তিনি বলেন, যাঁদের সক্ষমতা আছে, তাঁরাই কবর সংরক্ষণ করেন। তাঁদের সংখ্যা খুব কম। তাই ফি বাড়ানো উচিত হয়নি; বরং কবরস্থানের জায়গা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটি দেখা উচিত।
গত শুক্রবার বনানী কবরস্থানের মোহরার কবির আহমেদ বলেন, ‘শুনেছি, কবর সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে। তবে সেই আদেশ এখনো লিখিত আকারে পাইনি।’ তিনি বলেন, বনানীতে ১৮ থেকে ২০ হাজার কবর আছে। এগুলোর অধিকাংশই ব্যক্তির কেনা। বিভিন্ন মেয়াদে সংরক্ষণ করা কবর আছে ১২০ থেকে ১২৫টি। বর্তমানে খালি জায়গা নেই। কবর দিতে হলে পুনরায় কবর ছাড়া উপায় নেই।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রায়েরবাজার কবরস্থানে সরেজমিনে জানা যায়, বর্তমানে ১৫ হাজারের মতো কবর আছে। এগুলোর মধ্যে ২০টির মতো বিভিন্ন মেয়াদে সংরক্ষিত বলে জানান মোহরার মো. ফেরদৌস। তিনি জানান, এখনো ৭০ হাজারের বেশি লাশ কবর দেওয়ার জায়গা আছে এখানে। সর্বশেষ দেড় মাস আগে দাফন করা একজনের কবর ৬ লাখ টাকা ফিতে ১৫ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এরপর বেড়েছে কি না জানেন না। আদেশ এলে বলতে পারবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা এবং কবর মেয়াদি সংরক্ষণ ও পাকাকরণ-সংক্রান্ত কমিটির সদস্যসচিব মুজাহিদ আল সাফিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে কেউ যদি কবর সংরক্ষণ করে, তাহলে জায়গার সংকট আরও বাড়বে। তাই সংরক্ষণ ফি বাড়িয়েছি। দীর্ঘদিন সংরক্ষণের অনুমোদন আটকে রেখেছিলাম। এখন আবার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে দেড় শর মতো আবেদন জমা রয়েছে।
কবরস্থানের জায়গা না বাড়িয়ে সংরক্ষণ ফি বাড়ানো কতটা যৌক্তিক, জানতে চাইলে মুজাহিদ বলেন, ‘রায়েরবাজার কবরস্থান ছাড়া এ মুহূর্তে আমাদের কোনো কবরস্থানেই জায়গা নেই। বনানী, উত্তরার কোথাও জায়গা বাড়ানোর মতো অবস্থা নেই। রায়েরবাজারে এখনো অধিকাংশ জায়গা ফাঁকা। আমরা চাই, সেখানে দাফন হোক। তারপরও কেউ সংরক্ষণ করতে চাইলে নতুন ফি দিয়ে করতে হবে।’
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ২৫ বছরের জন্য কোনো কবর সংরক্ষণ করতে চাইলে গুনতে হবে দেড় কোটি টাকা। বনানীসহ ঢাকার ছয়টি কবরস্থান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন। এই ছয় কবরস্থানেই কবর সংরক্ষণের টাকা বাড়িয়ে কয়েক গুণ করা হয়েছে। আগ্রহীরা এর সমালোচনা করলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কবরস্থানের জায়গা বাড়ানোর সুযোগ না থাকায় কবর সংরক্ষণ নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়ানো হয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ডিএনসিসির ছয়টি কবরস্থানে কবর সংরক্ষণে নতুন ফি কার্যকর করা হয়েছে। এগুলো হলো বনানী কবরস্থান, উত্তরা ৪ ও ১২ সেক্টরের কবরস্থান, ১৪ নম্বর সেক্টর (এটি নতুন কবরস্থান), মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এবং রায়েরবাজার কবরস্থান।
ডিএনসিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বনানী কবরস্থানে ১৫ বছর কোনো কবর সংরক্ষণে ৮ লাখ টাকা লাগত, এখন তা করা হয়েছে ১ কোটি টাকা। ২৫ বছরের জন্য আগে ১৫ লাখ টাকা লাগত, এখন দিতে হবে দেড় কোটি টাকা। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে ১৫ বছরের জন্য ফি ৮ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা, ১২ নম্বর সেক্টরে ৬ লাখ থেকে ৫০ লাখ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ৬ লাখ থেকে বেড়ে ২০ লাখ, রায়েরবাজার কবরস্থানে ৬ লাখ থেকে বেড়ে ১০ লাখ টাকা হয়েছে। ২৫ বছরের জন্য কবর সংরক্ষণে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে ১৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে ১১ লাখ থেকে বেড়ে ৭৫ লাখ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ১১ লাখ থেকে বেড়ে ৩০ লাখ এবং রায়েরবাজার কবরস্থানে ১১ লাখ থেকে বেড়ে ১৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানটি নতুন। এটি আগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অধীনে ছিল। এখানে কবর সংরক্ষণে ১৫ বছরের জন্য ৩০ লাখ এবং ২৫ বছরের জন্য ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে।
এ ছাড়া ডিএনসিসির কবরস্থানে সংরক্ষিত কবরে পুনরায় কবর দেওয়ার ফিও বাড়ানো হয়েছে। বনানীতে ২০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য কবরস্থানে বেড়েছে ১০ হাজার টাকা। আগে বনানীতে লাগত ৩০ হাজার টাকা। বাকি কবরস্থানগুলোতে পুনরায় কবর দিতে লাগত ২০ হাজার টাকা।
ডিএনসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে কবর সংরক্ষণে আগ্রহী অনেক পরিবার। বর্তমানে কবরের জায়গা কেনার ব্যবস্থা না থাকায় সংরক্ষণে আগ্রহী তাঁরা।
রাজধানীর বারিধারার বাসিন্দা মো. খোকন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন বছর আগে তাঁর বাবা ইলিয়াস হোসেনকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। মায়ের ইচ্ছায় বাবার কবর সংরক্ষণের জন্য গত বছর আবেদন করেছেন। তবে এখনো অনুমোদন পাননি। তিনি বলেন, যাঁদের সক্ষমতা আছে, তাঁরাই কবর সংরক্ষণ করেন। তাঁদের সংখ্যা খুব কম। তাই ফি বাড়ানো উচিত হয়নি; বরং কবরস্থানের জায়গা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটি দেখা উচিত।
গত শুক্রবার বনানী কবরস্থানের মোহরার কবির আহমেদ বলেন, ‘শুনেছি, কবর সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে। তবে সেই আদেশ এখনো লিখিত আকারে পাইনি।’ তিনি বলেন, বনানীতে ১৮ থেকে ২০ হাজার কবর আছে। এগুলোর অধিকাংশই ব্যক্তির কেনা। বিভিন্ন মেয়াদে সংরক্ষণ করা কবর আছে ১২০ থেকে ১২৫টি। বর্তমানে খালি জায়গা নেই। কবর দিতে হলে পুনরায় কবর ছাড়া উপায় নেই।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রায়েরবাজার কবরস্থানে সরেজমিনে জানা যায়, বর্তমানে ১৫ হাজারের মতো কবর আছে। এগুলোর মধ্যে ২০টির মতো বিভিন্ন মেয়াদে সংরক্ষিত বলে জানান মোহরার মো. ফেরদৌস। তিনি জানান, এখনো ৭০ হাজারের বেশি লাশ কবর দেওয়ার জায়গা আছে এখানে। সর্বশেষ দেড় মাস আগে দাফন করা একজনের কবর ৬ লাখ টাকা ফিতে ১৫ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এরপর বেড়েছে কি না জানেন না। আদেশ এলে বলতে পারবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা এবং কবর মেয়াদি সংরক্ষণ ও পাকাকরণ-সংক্রান্ত কমিটির সদস্যসচিব মুজাহিদ আল সাফিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে কেউ যদি কবর সংরক্ষণ করে, তাহলে জায়গার সংকট আরও বাড়বে। তাই সংরক্ষণ ফি বাড়িয়েছি। দীর্ঘদিন সংরক্ষণের অনুমোদন আটকে রেখেছিলাম। এখন আবার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে দেড় শর মতো আবেদন জমা রয়েছে।
কবরস্থানের জায়গা না বাড়িয়ে সংরক্ষণ ফি বাড়ানো কতটা যৌক্তিক, জানতে চাইলে মুজাহিদ বলেন, ‘রায়েরবাজার কবরস্থান ছাড়া এ মুহূর্তে আমাদের কোনো কবরস্থানেই জায়গা নেই। বনানী, উত্তরার কোথাও জায়গা বাড়ানোর মতো অবস্থা নেই। রায়েরবাজারে এখনো অধিকাংশ জায়গা ফাঁকা। আমরা চাই, সেখানে দাফন হোক। তারপরও কেউ সংরক্ষণ করতে চাইলে নতুন ফি দিয়ে করতে হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪