Ajker Patrika

সতর্কতার অভাব, পাঁচ মাসে সর্বোচ্চ শনাক্ত

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ২০
সতর্কতার অভাব, পাঁচ মাসে সর্বোচ্চ শনাক্ত

বগুড়ায় করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় (গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২৩ জনের শরীরে। যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে বগুড়ায় করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ১ শতাংশে। একই সময়ের ব্যবধানে করোনা ও উপসর্গে কোনো মৃত্যু হয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাজ্জাদ উল হক।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় করোনায় নতুন কোনো মৃত্যু না হওয়ায় মোট মৃত্যুসংখ্যা ৭৯৬ জন অপরিবর্তিত আছে। এর মধ্যে শুধু বগুড়া জেলার বাসিন্দা আছেন ৬৮৮ জন। বাকিরা অন্য জেলার বাসিন্দা। তাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে বগুড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে মৃত্যুর এই তালিকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির হিসাব নেই।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা থেকে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ১৮, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ১২ ও টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের গত বুধবার দেওয়া তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় ৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ১৪ জন।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে সাজ্জাদ উল হক বলেন, মাস্ক ছাড়া বের হওয়া যাবে না। জনসমাগম থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। আর যারা করোনার টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকা গ্রহণ করতে হবে।

এদিকে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ। এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বাংলাদেশেও। এর মধ্যে দেশে করোনা শনাক্তের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়াতে থাকায় সরকার আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই বিধিনিষেধ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়। তবে গতকাল দুপুরে বগুড়া শহর ঘুরে দেখা গেছে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করছেন। অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। শহরের সাতমাথা মফিজ পাগলার মোড়, জলেশ্বরীতলা, খান্দার এলাকায় সড়কে দেখা গেছে তীব্র যানজট। যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোতে গাদাগাদি করে বসে নিজ গন্তব্যে যায় মানুষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত