মো. মফিজুর রহমান, ফরিদপুর
২৬ বছর আগে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হলেও ফরিদপুর পৌরসভার ২৮ সড়কের ১৬টিই বেহাল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ১৬টি সড়কের ১২৫ কিলোমিটার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে পৌরসভার বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তবে পৌরসভার মেয়র বলছেন, বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
জানা গেছে, ১৮৬৯ সালে ২২ দশমিক ৩৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ফরিদপুর শহরকে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভা করা হয়। ১৯৮৩ সালে এই পৌরসভাকে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে এবং ১৯৮৬ সালে ‘খ’ থেকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। বর্তমানে ৬৬ দশমিক ৩১ বর্গকিলোমিটার আয়তনে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভা। এই পৌরসভার মালিকানাধীন সড়ক রয়েছে ৪৪৫ কিলোমিটারের ২৮টি সড়ক। সেগুলোর মধ্যে ১৬টি সড়কের ১২৫ কিলোমিটার বেহাল।
পৌরসভার অন্যতম প্রধান সড়ক অম্বিকা চরণ মজুমদার সড়ক। এটি ঝিলটুলী মহল্লা এলাকার জেলা পরিষদের ডাকবাংলো থেকে শুরু হয়ে মহাকালী পাঠশালার মোড়ে গিয়ে মিশেছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি চরকলাপুর ও পূর্বখাবাসপুর লঞ্চঘাট জোড়া সেতু হয়ে শহরে প্রবেশের জন্য এটি সংযোগ সড়ক হিসেবেও কাজ করে। এ সড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, অনেক দিন হলো, সড়কটি মেরামত হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়।
পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার সুফি আব্দুল বারি সড়কেরও একই অবস্থা। এদিকে পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কানিজ সড়কের ৩০০ মিটার অংশে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি থেকে চুনাঘাট সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ওপর নির্মিত সড়কটিতে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। চুনাঘাট সেতু থেকে আদমপুরগামী সড়কটিও বেহাল। অম্বিকাপুর রেলক্রসিং থেকে শুরু করে ভাসানচরগামী সড়কে চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। মহিম স্কুলের সামনে দিয়ে শোভারামপুর স্লুইসগেট সড়কটিও বেহাল। এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার ও কোতোয়ালি থানার সামনের গুরুত্বপূর্ণ থানা রোড সড়কও বেহাল। দক্ষিণ গোয়ালচামট এলাকার মোল্লাবাড়ি সড়কটির মোতাহার ফকিরের চায়ের দোকানের মোড় থেকে ফরিদপুর বাইপাস পর্যন্ত প্রায় তিন বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে।
ভাটিলক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার মোতাহার হোসেন সড়কে বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে। ইয়াছিন সড়কের শহীদ মিনারের কাছে ও মোল্লাবাড়ির কাছেও জমে থাকে পানি। এ ছাড়া থানার মোড় থেকে ময়ড়া পট্টিগামী সড়ক, বাদামপট্টি এলাকার সড়ক, চকবাজার থেকে পূর্ব খাবাসপুরগামী মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্র নাথ সড়ক, টিটিসির মোড় থেকে ব্রাহ্মণকান্দা সড়ক, সিংপাড়া সড়ক, ফরিদপুর মেডিকেল থেকে চর কমলাপুরগামী সড়কগুলোও বেহাল।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন, মেডিকেল কলেজ থেকে অনাথের মোড় পর্যন্ত সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। মমিন ম্যানশন থেকে অম্বিকা সড়কসহ রাজেন্দ্র কলেজ পর্যন্ত সড়কের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বেহাল সড়কগুলো সংস্কার করা হবে।
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ‘ইতিমধ্যে বেশ কিছু সড়কের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে সংস্কারকাজ ধীরগতিতে এগোচ্ছে। আমার মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ চেয়েছি, সেটি হলে দ্রুতই কাজ করা হবে।’
২৬ বছর আগে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হলেও ফরিদপুর পৌরসভার ২৮ সড়কের ১৬টিই বেহাল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ১৬টি সড়কের ১২৫ কিলোমিটার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে পৌরসভার বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তবে পৌরসভার মেয়র বলছেন, বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
জানা গেছে, ১৮৬৯ সালে ২২ দশমিক ৩৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ফরিদপুর শহরকে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভা করা হয়। ১৯৮৩ সালে এই পৌরসভাকে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে এবং ১৯৮৬ সালে ‘খ’ থেকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। বর্তমানে ৬৬ দশমিক ৩১ বর্গকিলোমিটার আয়তনে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভা। এই পৌরসভার মালিকানাধীন সড়ক রয়েছে ৪৪৫ কিলোমিটারের ২৮টি সড়ক। সেগুলোর মধ্যে ১৬টি সড়কের ১২৫ কিলোমিটার বেহাল।
পৌরসভার অন্যতম প্রধান সড়ক অম্বিকা চরণ মজুমদার সড়ক। এটি ঝিলটুলী মহল্লা এলাকার জেলা পরিষদের ডাকবাংলো থেকে শুরু হয়ে মহাকালী পাঠশালার মোড়ে গিয়ে মিশেছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি চরকলাপুর ও পূর্বখাবাসপুর লঞ্চঘাট জোড়া সেতু হয়ে শহরে প্রবেশের জন্য এটি সংযোগ সড়ক হিসেবেও কাজ করে। এ সড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, অনেক দিন হলো, সড়কটি মেরামত হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়।
পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার সুফি আব্দুল বারি সড়কেরও একই অবস্থা। এদিকে পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কানিজ সড়কের ৩০০ মিটার অংশে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি থেকে চুনাঘাট সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ওপর নির্মিত সড়কটিতে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। চুনাঘাট সেতু থেকে আদমপুরগামী সড়কটিও বেহাল। অম্বিকাপুর রেলক্রসিং থেকে শুরু করে ভাসানচরগামী সড়কে চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। মহিম স্কুলের সামনে দিয়ে শোভারামপুর স্লুইসগেট সড়কটিও বেহাল। এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার ও কোতোয়ালি থানার সামনের গুরুত্বপূর্ণ থানা রোড সড়কও বেহাল। দক্ষিণ গোয়ালচামট এলাকার মোল্লাবাড়ি সড়কটির মোতাহার ফকিরের চায়ের দোকানের মোড় থেকে ফরিদপুর বাইপাস পর্যন্ত প্রায় তিন বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে।
ভাটিলক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার মোতাহার হোসেন সড়কে বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে। ইয়াছিন সড়কের শহীদ মিনারের কাছে ও মোল্লাবাড়ির কাছেও জমে থাকে পানি। এ ছাড়া থানার মোড় থেকে ময়ড়া পট্টিগামী সড়ক, বাদামপট্টি এলাকার সড়ক, চকবাজার থেকে পূর্ব খাবাসপুরগামী মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্র নাথ সড়ক, টিটিসির মোড় থেকে ব্রাহ্মণকান্দা সড়ক, সিংপাড়া সড়ক, ফরিদপুর মেডিকেল থেকে চর কমলাপুরগামী সড়কগুলোও বেহাল।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন, মেডিকেল কলেজ থেকে অনাথের মোড় পর্যন্ত সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। মমিন ম্যানশন থেকে অম্বিকা সড়কসহ রাজেন্দ্র কলেজ পর্যন্ত সড়কের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বেহাল সড়কগুলো সংস্কার করা হবে।
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ‘ইতিমধ্যে বেশ কিছু সড়কের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে সংস্কারকাজ ধীরগতিতে এগোচ্ছে। আমার মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ চেয়েছি, সেটি হলে দ্রুতই কাজ করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪