আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। হালদার উজানে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গলা গোরখানা ও হালদার উপশাখা ডলু খাল, তুলাবিল খালে বালুমহাল ইজারা দিয়েছে প্রশাসন। সরকারের এই উদ্যোগে উদ্বেগ জানিয়েছেন হালদা গবেষকেরা।
হালদার উজানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে একাধিক সিন্ডিকেট। এর মধ্যেই জেলা প্রশাসক বালুমহালের দরপত্র আহ্বান করায় হালদার উৎস থেকে ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বালুর পয়েন্টে বালু উত্তোলনের বৈধতা পেয়ে যাবে। এ বিষয় জানার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হালদা নদীর গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া। এ বিষয়ে আগামী রোববার অভিযোগ নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
জানা গেছে, ৭ মার্চ ৩৩৩ নম্বর স্মারকে বালুমহাল ইজারা দরপত্র আহ্বান করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়। দরপত্র সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর উপজেলাসহ ৬ উপজেলায় ১৩টি বালুমহাল ইজারার লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ১০ মার্চ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ৭ বার দরপত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বালুমহাল থেকে নিয়ম মেনে বালু তুলতে পারবেন ইজারাদারেরা।
মিঠাপানির নদী হালদার উৎপত্তি কর্ণফুলীর সংযোগ থেকে ৯৮ কিলোমিটার উত্তরে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়ার ঝরনায়। পরে এটি মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী-গোরখানা-যোগ্যাছোলা দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে গেছে। ইজারা বিজ্ঞপ্তির ১১ ও ১২ নম্বরে উল্লেখিত তুলাবিল ও গোরখানা বালু পয়েন্ট হালদার উজানে অবস্থিত।
গবেষক মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদা বাংলার প্রাণ। বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ’ উপাধি দেওয়া হয়েছে। নদীর পরিবেশ রক্ষা ও গবেষণায় এখনো কাজ চলছে। কোনোমতেই হালদা নদীর আকৃতি-প্রকৃতি নষ্ট করা যাবে না।
চবি শিক্ষক মঞ্জুরুল বলেন, ‘নদীর উজানে ও উপশাখা ডলুখালের নিচে সংযোগস্থল তুলাবিল এবং হালদার গোরখানায় বালু পয়েন্ট করা হালদার জন্য হুমকি তৈরি করবে। এর আরেকটুকু নিচে যোগ্যাছোলা এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ ইজারা প্রক্রিয়া বাতিল করতে হালদা গবেষক দলের পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করা হবে। সবার সহযোগিতা নিয়ে হালদা দূষণ ও এর পরিবেশ সুরক্ষা করে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন বাড়াতে এগিয়ে আসতে হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালদার উজানে যোগ্যাছোলা, গোরখানা, ছূদুরখীল ও তুলাবিল এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. তৈয়ুব আলী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বালু ব্যবসায়ী বলেন, তাঁরা বালু উত্তোলন করে প্রতি ট্রাকে (৩৫০ ঘনফুট) তৈয়ব আলীর কাছে ২ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেন।
অভিযোগ বিষয়ে তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমি স্থানীয়দের উত্তোলিত বালু ট্রাকপ্রতি ২ হাজার ৩০০ টাকা হারে কিনি। পরে ইউনিয়ন ও জেলা পরিষদ ট্যাক্স পরিশোধ করেই গড়ে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার দরে বিক্রি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার পর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে এসএমএস পাঠিয়েও সন্ধ্যা ৭টায় এই প্রতিবেদন লেখার পর্যন্ত উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মো. আলিম উল্লাহর সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কাজের অগ্রগতি বিষয়ে গতকাল হালদা গবেষক মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘হালদার উজানে বালুমহাল ইজারার বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরায় বিভাগীয় কমিশনার বিস্তারিত শুনেছেন ও আমাকে একটি লিখিত আবেদন করতে বলেছেন। আমি আগামী রোববার অভিযোগ নিয়ে কমিশনারের সঙ্গে দেখা করব।’
এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। হালদার উজানে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গলা গোরখানা ও হালদার উপশাখা ডলু খাল, তুলাবিল খালে বালুমহাল ইজারা দিয়েছে প্রশাসন। সরকারের এই উদ্যোগে উদ্বেগ জানিয়েছেন হালদা গবেষকেরা।
হালদার উজানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে একাধিক সিন্ডিকেট। এর মধ্যেই জেলা প্রশাসক বালুমহালের দরপত্র আহ্বান করায় হালদার উৎস থেকে ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বালুর পয়েন্টে বালু উত্তোলনের বৈধতা পেয়ে যাবে। এ বিষয় জানার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হালদা নদীর গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া। এ বিষয়ে আগামী রোববার অভিযোগ নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
জানা গেছে, ৭ মার্চ ৩৩৩ নম্বর স্মারকে বালুমহাল ইজারা দরপত্র আহ্বান করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়। দরপত্র সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর উপজেলাসহ ৬ উপজেলায় ১৩টি বালুমহাল ইজারার লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ১০ মার্চ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ৭ বার দরপত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বালুমহাল থেকে নিয়ম মেনে বালু তুলতে পারবেন ইজারাদারেরা।
মিঠাপানির নদী হালদার উৎপত্তি কর্ণফুলীর সংযোগ থেকে ৯৮ কিলোমিটার উত্তরে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়ার ঝরনায়। পরে এটি মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী-গোরখানা-যোগ্যাছোলা দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে গেছে। ইজারা বিজ্ঞপ্তির ১১ ও ১২ নম্বরে উল্লেখিত তুলাবিল ও গোরখানা বালু পয়েন্ট হালদার উজানে অবস্থিত।
গবেষক মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদা বাংলার প্রাণ। বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ’ উপাধি দেওয়া হয়েছে। নদীর পরিবেশ রক্ষা ও গবেষণায় এখনো কাজ চলছে। কোনোমতেই হালদা নদীর আকৃতি-প্রকৃতি নষ্ট করা যাবে না।
চবি শিক্ষক মঞ্জুরুল বলেন, ‘নদীর উজানে ও উপশাখা ডলুখালের নিচে সংযোগস্থল তুলাবিল এবং হালদার গোরখানায় বালু পয়েন্ট করা হালদার জন্য হুমকি তৈরি করবে। এর আরেকটুকু নিচে যোগ্যাছোলা এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ ইজারা প্রক্রিয়া বাতিল করতে হালদা গবেষক দলের পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করা হবে। সবার সহযোগিতা নিয়ে হালদা দূষণ ও এর পরিবেশ সুরক্ষা করে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন বাড়াতে এগিয়ে আসতে হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালদার উজানে যোগ্যাছোলা, গোরখানা, ছূদুরখীল ও তুলাবিল এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. তৈয়ুব আলী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বালু ব্যবসায়ী বলেন, তাঁরা বালু উত্তোলন করে প্রতি ট্রাকে (৩৫০ ঘনফুট) তৈয়ব আলীর কাছে ২ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেন।
অভিযোগ বিষয়ে তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমি স্থানীয়দের উত্তোলিত বালু ট্রাকপ্রতি ২ হাজার ৩০০ টাকা হারে কিনি। পরে ইউনিয়ন ও জেলা পরিষদ ট্যাক্স পরিশোধ করেই গড়ে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার দরে বিক্রি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার পর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে এসএমএস পাঠিয়েও সন্ধ্যা ৭টায় এই প্রতিবেদন লেখার পর্যন্ত উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মো. আলিম উল্লাহর সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কাজের অগ্রগতি বিষয়ে গতকাল হালদা গবেষক মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘হালদার উজানে বালুমহাল ইজারার বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরায় বিভাগীয় কমিশনার বিস্তারিত শুনেছেন ও আমাকে একটি লিখিত আবেদন করতে বলেছেন। আমি আগামী রোববার অভিযোগ নিয়ে কমিশনারের সঙ্গে দেখা করব।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১২ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪