রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৩৫টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জিনজিরাম, ধরনী ও কালজানি নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে কোনো অঞ্চল প্লাবিত হয়নি। এখনো পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
গতকাল সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রৌমারী ইউনিয়নের কড়াইকান্দি, মির্জাপাড়া, গোয়লগ্রাম, নতুন চুলিয়ারচর, বাওয়ার গ্রাম, ধুবলাবাড়ি যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা, বিক্রিবিল, আলগারচর ও কাশিয়াবাড়ি এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। স্থানীয়রা জানান এখনো কোনো জন প্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তা তাঁদের কাছে আসেননি।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের বাওয়ার গ্রামের ছপিয়াল হক (৫০) বলেন, ‘তাঁর সাত সদস্যের পরিবার। কয়েক দিন থেকে কোনো কাজকাম নেই তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন।’
যাদুরচর ইউনিয়নের পুরোনো যাদুরচর গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে আমার পরিবার নিয়ে কী যে কষ্টে আছি তা আপনাদের বোঝাতে পারব না। কেউ একবার খোঁজও নিল না।’
সদর ইউনিয়নের পাটাধোয়া পাড়া গ্রামের ছামচুল হক বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমির পাট তলিয়ে গেছে। ধারদেনা করে আবাদ করেছি। এখন আমার উপায় কী হবে তা আল্লাহই জানেন। সরকারের কাছে আমার দাবি আমাদের দিকে যেন একটু নজর দেন।’
যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবেশ আলী বলেন, ‘সরকারিভাবে এখনো কোনো বরাদ্দ পাইনি। আমার এলাকার বন্যা পরিস্থিতি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি। আমার ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘বন্যার্তদের জন্য তিন লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট করা হচ্ছে। দুর্গতদের মধ্যে দ্রুত বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি। বরাদ্দ পেলে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ ক্রয় করে বিতরণ করা হবে।’
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৩৫টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জিনজিরাম, ধরনী ও কালজানি নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে কোনো অঞ্চল প্লাবিত হয়নি। এখনো পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
গতকাল সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রৌমারী ইউনিয়নের কড়াইকান্দি, মির্জাপাড়া, গোয়লগ্রাম, নতুন চুলিয়ারচর, বাওয়ার গ্রাম, ধুবলাবাড়ি যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা, বিক্রিবিল, আলগারচর ও কাশিয়াবাড়ি এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। স্থানীয়রা জানান এখনো কোনো জন প্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তা তাঁদের কাছে আসেননি।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের বাওয়ার গ্রামের ছপিয়াল হক (৫০) বলেন, ‘তাঁর সাত সদস্যের পরিবার। কয়েক দিন থেকে কোনো কাজকাম নেই তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন।’
যাদুরচর ইউনিয়নের পুরোনো যাদুরচর গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে আমার পরিবার নিয়ে কী যে কষ্টে আছি তা আপনাদের বোঝাতে পারব না। কেউ একবার খোঁজও নিল না।’
সদর ইউনিয়নের পাটাধোয়া পাড়া গ্রামের ছামচুল হক বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমির পাট তলিয়ে গেছে। ধারদেনা করে আবাদ করেছি। এখন আমার উপায় কী হবে তা আল্লাহই জানেন। সরকারের কাছে আমার দাবি আমাদের দিকে যেন একটু নজর দেন।’
যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবেশ আলী বলেন, ‘সরকারিভাবে এখনো কোনো বরাদ্দ পাইনি। আমার এলাকার বন্যা পরিস্থিতি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি। আমার ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘বন্যার্তদের জন্য তিন লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট করা হচ্ছে। দুর্গতদের মধ্যে দ্রুত বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি। বরাদ্দ পেলে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ ক্রয় করে বিতরণ করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪