Ajker Patrika

হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্তরাও

গৌরীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ৩৯
হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্তরাও

দিন দিন বেড়েই চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এখন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও হিমশিম খাচ্ছেন পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে। অনেকে দৈনিক প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে না পারায় পরিবারের নারী ও শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। তবে শীতকালীন সবজি বাজারে আসলে দাম কমবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

দাপুনিয়া মহল্লার নাজিফা আক্তার বলেন, ‘সংসারের আয় বাড়েনি, অথচ জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাহিদামতো এখন আর বাজার করা যায় না। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের এখন না খেয়ে মরতে হবে।’

গতকাল বুধবার গৌরীপুর পৌরসভার বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। কাটারিভোগ ও নাজিরশাইল প্রতিকেজি ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিআর ২৮ চাল ৫০-৫৫ টাকা, মোটা ৪৫-৫০, আঁটা খোলা ৩৫-৪০, প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

সবজির মধ্যে ফুলকপি প্রতিকেজি ৯০-১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০-৭৫, বরবটি ৮০, শিম ১৬০, গাজর ১৬০-১৮০, টমেটো ১৪০-১৫০, বেগুন ৪০-৫০, শসা ৩০-৩৫, কাঁচামরিচ ১২০, পেঁপে ২০, আদা ১২০-১৪০, আলু ২৫-৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, করলা ৮০-১০০, পেঁয়াজ ৫০-৬০, রসুন ১২০-১৪০, কাচাকলা ২৫-৩৫, ঝিঙে ৫০, চাল কুমড়া ৩০-৪০, লাউ ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।

ব্রয়লার মুরগিও বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি ও কক ৩০০-৩২০, গরুর মাংস ৫৮০ ও খাসি ৮৮০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। তেল প্রতি লিটার সয়াবিন খোলা ১৫০, বোতল ১৬০, সরিষা খোলা ২২০-২৫০ টাকা। ডিম প্রতি ডজন ৯৬-১০০ টাকা।

দাম বেড়েছে মাছেরও। প্রতিকেজি রুই ২২০-২৫০, কালবাউশ ২০০-২২০, গুলশা ৪০০-৫০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, শিং ৩০০-৩২০, বড় শোল ৫৫০-৬০০, তেলাপিয়া ১৪০, কই ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মশল্লার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০-৪০ শতাংশ।

নওয়াগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়া বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এখন বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে গৌরীপুর কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লিপি বলেন, ‘এ অঞ্চলে সবজির চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত উৎপাদন রয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত পণ্য উপজেলার বাইরের বাজারে চলে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায়। শীতকালীন সবজি বাজারে আসলে দাম কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

গৌরীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, ‘নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। মনিটরিং আরও বৃদ্ধি করা হবে।’

গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য ডিম, মাছ, মাংস ও সবুজ শাকসবজি খাওয়া অপরিহার্য। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে এসব খেতে না পারলে মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি ও শিশু অপুষ্টিতে ভোগাসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত