Ajker Patrika

কাজ শেষ না হতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং

কুড়িগ্রাম ও উলিপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৯
কাজ শেষ না হতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সড়কের সংস্কারকাজ শেষ না হতেই বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে এ সংস্কার করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ও পরিমাণে কম বিটুমিন দেওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দাবি, ঠিকাদারের সঙ্গে শত্রুতাবশত স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি রাতের আঁধারে শাবল দিয়ে কার্পেটিং তুলে দিয়েছে, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

উলিপুর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের তেজারমোড় থেকে ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৫ মিটার পাকা রাস্তার সংস্কারকাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রায় ৪২ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে সংস্কার কাজটি পান রংপুরের এনএন এন্টারপ্রাইজ। তবে কাগজে কলমে এনএন এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হলেও কাজটি সাব কন্ট্রাক্ট নেন উলিপুরের ব্যবসায়ী মাসুদ রানা। গত বৃহস্পতিবার রাস্তাটির কার্পেটিং কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোক নিজেদের বাড়ির প্রবেশ পথে পকেট সড়ক করতে চাইলে ঠিকাদার তাতে রাজি না হওয়ায় রাতের আঁধারে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি শাবল দিয়ে সড়কের কার্পেটিং তুলে দেয় বলে অভিযোগ।

তবে স্থানীয়দের দাবি, এলজিইডি ও ঠিকাদারের লোকজনের যোগসাজশে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করায় তিন দিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী, আবু সুফিয়ান ও রিকশা চালক শহিদুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, রাতের আঁধারে কার্পেটিং করেন ঠিকাদারের লোকজন। সকালে উঠে স্থানীয়রা দায়সারা কাজ করার বিষয়টি টের পান। রাতের আঁধারে কেউ কার্পেটিং তুলেছে কি না সে ব্যাপারে এলাকার লোকজন অবগত নয় বলে জানান তাঁরা।

এলজিইডি, উলিপুরের উপসহকারী প্রকৌশলী আকরাম হোসেন বলেন, ‘কাজের মান খারাপ হয়নি। শুনেছি স্থানীয় কিছু লোক নিজেদের বাড়ির প্রবেশ পথে পকেট কার্পেটিং করে চাইলে ঠিকাদার তাতে রাজি হননি। এতে এলাকার কিছু লোক ক্ষিপ্ত হয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলার চেষ্টা করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে আকরাম হোসেন বলেন, ‘কাজ খারাপ হলে সড়কের পুরো কার্পেটিং উঠে যাওয়ার কথা। কিন্তু স্থানে স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে, যা কেউ ইচ্ছা করে তুলেছে। বিষয়টি সরেজমিন দেখতে আমাদের সিনিয়র কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে সাব কন্ট্রাক্টর মাসুদ রানার ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

উপজেলা প্রকৌশলী কে কে এম সাদেকুল আলম বলেন, ‘আমি ছুটিতে ঢাকায় আছি। ঘটনাটি শুনেছি। তবে কাজের ত্রুটির কারণে এমনটি হয়নি। এলাকার কিছু লোকজনের সঙ্গে ঠিকাদারের ঝামেলা হওয়ায় শাবল দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।’

কেউ শত্রুতাবশত এমনটা করে থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? এমন প্রশ্নে উপজেলা প্রকৌশলী ঠিকাদারের বরাত দিয়ে বলেন, ‘ঝামেলা এড়াতে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত