Ajker Patrika

ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ শেষে ঘাসের পরিচর্যা

মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১১: ১৮
ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ শেষে ঘাসের পরিচর্যা

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের হাওরে ১৮টি ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে লাগানো ঘাস পরিচর্যার কাজ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধনির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় এলাকার কৃষকেরা দুশ্চিন্তা থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়েছেন। কেননা হঠাৎ আগাম বন্যা হলে মাঠে তাদের বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতো।

নিয়ম অনুযায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে গত নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে জপির, প্রাক্কলন শেষে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে কাজ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করা হয়।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১৮টি ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে ১৮টি পিআইসি গঠন করা হয়। কাজের মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে এ পর্যন্ত এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বাকি টাকা পর্যায়ক্রমে পাওয়া যাবে। নির্ধারিত সময়ে কাজ করার বিষয়ে শঙ্কা থাকলেও অবশেষে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে যথা সময়েই কাজ শেষ করা হয়েছে।

প্রকল্পে সাইনবোর্ড না থাকা ও পাশ থেকে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণসহ নানা অনিয়ম নিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে যেসব প্রকল্পে সাইনবোর্ড ছিলা না সেগুলোয় সাইনবোর্ড স্থাপন, বাঁধের পাশের গর্ত ভরাট করাসহ সব অনিয়ম দূর করে সঠিক নিয়মে কাজ করতে পিআইসি সভাপতিদের তাগাদা দেন পাউবো কর্মকর্তারা। ফলে বদলে যায় দৃশ্যপট।

গত সোমবার দুপুরে উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের করাচাপুরসহ আশপাশের কয়েকটি ফসলরক্ষা বাঁধ ঘুরে দেখা গেছে, নির্মাণকাজ শেষে ড্রেসিয়ের পর বাঁধের ওপর ঘাস বসাচ্ছেন শ্রমিকেরা। কাজ শেষ এখন বন্যা হলেও ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানান তারা।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, শুরুতে আমরা একটু শঙ্কায় ছিলাম, তারা সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারবে কিনা এ নিয়ে।

কারণ এর মধ্যে আগাম বন্যা হলে ফসল তলিয়ে যাবে। তবে এবার আগাম বন্যা এখনো হয়নি। আর এদিকে সময় মতো কাজও শেষ হলো।

করাচাপুর এলাকার একটি পিআইসির সভাপতি আ. হান্নান বলেন, শুরুতে আমাদের কাজে কিছু ভুলত্রুটি ছিল। পরে সে সব সংশোধন করে সঠিকভাবে যথাসময়ে কাজ শেষ করেছি। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

অপর একটি পিআইসির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাজ নিয়ম অনুযায়ী করে শেষ করেছি। তবে কাজের বিল না পেয়ে কষ্টে আছি।

পাউবর উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহাগ ফকির বলেন, নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করতে পেরেছি। শুরুতে কাজে কিছু ত্রুটি থাকলেও পরবর্তীতে তা সমাধান করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, যথানিয়মে কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাগাদা দিয়েছি। কিছু আনুষঙ্গিক কাজ ছাড়া এবার বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত