শাকিলা ববি, সিলেট
চলছে রোজা। এ সময় ইফতার ও সাহ্রিতে খাবারদাবারে যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, বছরের অন্যান্য সময় সেটা খুব একটা চোখে পড়ে না। এ সময় বাড়িতে বাড়িতে ইফতারি তৈরির ধুম তো পড়েই, চলে রেস্টুরেন্টেও সুস্বাদু খাবার বিক্রির প্রতিযোগিতা। ইফতারি হোক বা সাহ্রির খাবার, এ ক্ষেত্রে অনেকটাই ভূমিকা রাখে স্থানীয় খাবারগুলো।
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সিলেটেরও আছে খাবারদাবারের আলাদা ঐতিহ্য। ইফতারে মুড়ি, পেঁয়াজু কিংবা ছোলার মতো খাবারগুলোর প্রচলন তো আছেই, সঙ্গে আছে স্থানীয় খাবারের বিরাট সম্ভার। সিলেট অঞ্চলের ইফতারে অপরিহার্য পদ আখনি। এ ছাড়া জন্মদিন, আকিকা, শিরনিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে সিলেটের বিশেষ খাবার এটি। কালের বিবর্তনে খাবারের তালিকায় নতুন নতুন পদ এলেও সিলেটে আখনির কদর কমেনি এতটুকু। তাই এই রোজায় বাসা কিংবা রেস্টুরেন্ট—ইফতার যেখানেই হোক, আখনি থাকবেই।
প্রথম রোজা থেকে বাহারি স্বাদের উপকরণ নিয়ে জমে উঠেছে সিলেট নগরীর ইফতারির বাজার। বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ইফতারির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। তবে নামী রেস্টুরেন্টগুলো নগরীর জিন্দাবাজারে হওয়ায় সে এলাকা ইফতারের আগমুহূর্তে বেশ সরগরম থাকে। সিলেটের বিখ্যাত পানসি, পালকি, পাঁচ ভাইসহ সব রেস্টুরেন্টে তৈরি ও বিক্রি হয় ঐতিহ্যবাহী আখনি। রেস্টুরেন্টগুলোতে থরে থরে সাজানো থাকে ৪০ থেকে ৬০ পদের বাহারি ইফতারসামগ্রী। তবে এসব খাবারের মধ্যেও আখনির চাহিদা বেশি। সিলেট নগরীর রেস্টুরেন্টগুলোতে কেজি হিসেবে বিক্রি হয় আখনি। বিফ ও মাটন আখনি ৩৪০ টাকা এবং চিকেন আখনি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে রেস্টুরেন্টভেদে দামের কিছুটা তারতম্য থাকে।
নগরীর পানসি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, ‘ইফতারের আইটেম হিসেবে রমজান মাসে নিজেদের খাবার কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠানোর প্রধান পদ হিসেবে গুরুত্ব পায় আখনি। এটি এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার। বিফ, মাটন, চিকেন আখনি পাওয়া যায় সিলেটের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে। আমরা এবার বিফ ও চিকেন আখনি বিক্রি করছি। আখনির পাশাপাশি ইফতারের উপকরণগুলোর মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে পাতলা খিচুড়ি, স্পেশাল জিলাপি, আলুর চপ, পেঁয়াজু।’
আখনি তৈরিতে সাধারণত সুগন্ধি চাল, মুরগি, গরু বা খাসির মাংস ব্যবহৃত হয়। তবে গরুর মাংস দিয়ে আখনি রান্না করলে বেশি সুস্বাদু হয় বলে ধারণা সিলেটের মানুষের। অনেকটা বিরিয়ানির মতো হলেও আখনি মসলাবহুল খাবার। খেতেও কিছুটা ঝাঁজালো বটে। আখনি তৈরিতে সুগন্ধি চালের সঙ্গে মাংসের ছোট ছোট টুকরা করে ব্যবহৃত হয়। কালিজিরা ও চিনিগুঁড়া চাল দিয়ে আখনি তৈরি করা যায়। সঙ্গে থাকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচ, দারুচিনি, এলাচি, গোলমরিচ, মটরশুঁটি, জায়ফল-জয়ত্রী, ঘি, তেলসহ নানান মসলা।
নগরীর জালালাবাদ এলাকার তাবাসসুম মিম বলেন, ‘আমাদের বাসায় যেকোনো অনুষ্ঠান হলেই তৈরি হয় আখনি। এটি সবাই ঠিকভাবে তৈরি করতে পারে না। রান্নার সময় মসলা, মাংস, চাল, পানিসহ যেকোনো উপাদান একটু কম-বেশি হলেই এর স্বাদ ও সৌন্দর্য—দুটোই নষ্ট হয়ে যায়। তাই আখনি তৈরিতে দক্ষতা অনেক বেশি প্রয়োজন। আমার আম্মা খুব মজার আখনি তৈরি করতে পারেন। ইফতারে খাবারের তালিকায় সবার আগে থাকে এটি।’
শুধু আখনিই নয়, পাতলা খিচুড়িও সিলেট অঞ্চলের ইফতারির আইটেমে বেশ জনপ্রিয়। এটিও বাড়িতে নিয়মিতই তৈরি হয়। এ ছাড়া এই পাতলা খিচুড়ি রেস্টুরেন্টে কিনতে পাওয়া যায় কেজিতে।
চলছে রোজা। এ সময় ইফতার ও সাহ্রিতে খাবারদাবারে যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, বছরের অন্যান্য সময় সেটা খুব একটা চোখে পড়ে না। এ সময় বাড়িতে বাড়িতে ইফতারি তৈরির ধুম তো পড়েই, চলে রেস্টুরেন্টেও সুস্বাদু খাবার বিক্রির প্রতিযোগিতা। ইফতারি হোক বা সাহ্রির খাবার, এ ক্ষেত্রে অনেকটাই ভূমিকা রাখে স্থানীয় খাবারগুলো।
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সিলেটেরও আছে খাবারদাবারের আলাদা ঐতিহ্য। ইফতারে মুড়ি, পেঁয়াজু কিংবা ছোলার মতো খাবারগুলোর প্রচলন তো আছেই, সঙ্গে আছে স্থানীয় খাবারের বিরাট সম্ভার। সিলেট অঞ্চলের ইফতারে অপরিহার্য পদ আখনি। এ ছাড়া জন্মদিন, আকিকা, শিরনিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে সিলেটের বিশেষ খাবার এটি। কালের বিবর্তনে খাবারের তালিকায় নতুন নতুন পদ এলেও সিলেটে আখনির কদর কমেনি এতটুকু। তাই এই রোজায় বাসা কিংবা রেস্টুরেন্ট—ইফতার যেখানেই হোক, আখনি থাকবেই।
প্রথম রোজা থেকে বাহারি স্বাদের উপকরণ নিয়ে জমে উঠেছে সিলেট নগরীর ইফতারির বাজার। বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ইফতারির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। তবে নামী রেস্টুরেন্টগুলো নগরীর জিন্দাবাজারে হওয়ায় সে এলাকা ইফতারের আগমুহূর্তে বেশ সরগরম থাকে। সিলেটের বিখ্যাত পানসি, পালকি, পাঁচ ভাইসহ সব রেস্টুরেন্টে তৈরি ও বিক্রি হয় ঐতিহ্যবাহী আখনি। রেস্টুরেন্টগুলোতে থরে থরে সাজানো থাকে ৪০ থেকে ৬০ পদের বাহারি ইফতারসামগ্রী। তবে এসব খাবারের মধ্যেও আখনির চাহিদা বেশি। সিলেট নগরীর রেস্টুরেন্টগুলোতে কেজি হিসেবে বিক্রি হয় আখনি। বিফ ও মাটন আখনি ৩৪০ টাকা এবং চিকেন আখনি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে রেস্টুরেন্টভেদে দামের কিছুটা তারতম্য থাকে।
নগরীর পানসি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, ‘ইফতারের আইটেম হিসেবে রমজান মাসে নিজেদের খাবার কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠানোর প্রধান পদ হিসেবে গুরুত্ব পায় আখনি। এটি এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার। বিফ, মাটন, চিকেন আখনি পাওয়া যায় সিলেটের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে। আমরা এবার বিফ ও চিকেন আখনি বিক্রি করছি। আখনির পাশাপাশি ইফতারের উপকরণগুলোর মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে পাতলা খিচুড়ি, স্পেশাল জিলাপি, আলুর চপ, পেঁয়াজু।’
আখনি তৈরিতে সাধারণত সুগন্ধি চাল, মুরগি, গরু বা খাসির মাংস ব্যবহৃত হয়। তবে গরুর মাংস দিয়ে আখনি রান্না করলে বেশি সুস্বাদু হয় বলে ধারণা সিলেটের মানুষের। অনেকটা বিরিয়ানির মতো হলেও আখনি মসলাবহুল খাবার। খেতেও কিছুটা ঝাঁজালো বটে। আখনি তৈরিতে সুগন্ধি চালের সঙ্গে মাংসের ছোট ছোট টুকরা করে ব্যবহৃত হয়। কালিজিরা ও চিনিগুঁড়া চাল দিয়ে আখনি তৈরি করা যায়। সঙ্গে থাকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচ, দারুচিনি, এলাচি, গোলমরিচ, মটরশুঁটি, জায়ফল-জয়ত্রী, ঘি, তেলসহ নানান মসলা।
নগরীর জালালাবাদ এলাকার তাবাসসুম মিম বলেন, ‘আমাদের বাসায় যেকোনো অনুষ্ঠান হলেই তৈরি হয় আখনি। এটি সবাই ঠিকভাবে তৈরি করতে পারে না। রান্নার সময় মসলা, মাংস, চাল, পানিসহ যেকোনো উপাদান একটু কম-বেশি হলেই এর স্বাদ ও সৌন্দর্য—দুটোই নষ্ট হয়ে যায়। তাই আখনি তৈরিতে দক্ষতা অনেক বেশি প্রয়োজন। আমার আম্মা খুব মজার আখনি তৈরি করতে পারেন। ইফতারে খাবারের তালিকায় সবার আগে থাকে এটি।’
শুধু আখনিই নয়, পাতলা খিচুড়িও সিলেট অঞ্চলের ইফতারির আইটেমে বেশ জনপ্রিয়। এটিও বাড়িতে নিয়মিতই তৈরি হয়। এ ছাড়া এই পাতলা খিচুড়ি রেস্টুরেন্টে কিনতে পাওয়া যায় কেজিতে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫