ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
স্কুলশিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ময়মনসিংহে থাকা স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্পর্কে জানেন না অধিকাংশ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। এ কারণে বিনা মূল্যের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। এই ক্লিনিকের বিষয়ে প্রচার না থাকায় শিক্ষার্থীরা সেবা পাচ্ছে না বলে দাবি অভিভাবকদের।
শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্র বাউন্ডারি রোডে স্বাধীনতার আগে স্থাপন করা হয় স্কুল হেলথ ক্লিনিক। পরে সেটা বাংলাদেশ সরকারের অধীনে আসে। এখানে দুজন চিকিৎসক, দুজন ফার্মাসিস্ট ও একজন অফিস সহকারী রয়েছেন। বিনা মূল্যে ওষুধ ও অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ ক্লিনিকে বছরে সরকারের প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত চিকিৎসক, ফার্মাসিস্টরা অলস বসে রয়েছেন। কোনো সেবাপ্রার্থী নেই। কিছুক্ষণ পর মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা। ক্লিনিকটির সার্বিক সেবা নিয়ে কথা হলে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ছেলেটার জ্বর, তাই নিয়ে আসছি। কেননা ভিড় কম থাকে এখানে।’ তবে এখানে ওষুধও সব পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ তাঁর।
তাসলিমা আক্তার নামের অন্য এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলেটার বয়স সাড়ে তিন বছর। তার শরীরে চুলকানি। তাই নিয়ে আসছি। এখানে এলে টাকা ছাড়া ওষুধ এবং সেবা পাওয়া যায়।’
তবে নগরীর ইউনিক প্রগ্রেসিভ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী দেবেন্দ্রনাথ পাল বলে, ‘শহরে স্কুল হেলথ ক্লিনিক আছে, আমি জানি না। আমরা চিকিৎসা নিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই।’
হায়দার জাহিদ নামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লিনিকটির বিষয়ে সে কিছুই জানে না। অসুস্থ হলে অভিভাবকেরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ধারাপাত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, ‘৬০ বছর ধরে নগরীর প্রাণকেন্দ্রে স্কুল হেলথ ক্লিনিক নামের একটি সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তা আমি নিজেও জানি না। এর কারণ হচ্ছে তাদের প্রচারণা নেই। এখানে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে; কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে আসছে না।’
স্কুল হেলথ ক্লিনিকের মেডিকেল কর্মকর্তা শরীফুল জান্নাত বলেন, ‘প্রতিদিন ক্লিনিকটিতে ২০ থেকে ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী সেবা নিয়ে থাকে। প্রতি মাসে কমপক্ষে আটটি স্কুলে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কোনো সমস্যা হলে তাদের ক্লিনিকে এসে সেবা নিতে বলা হয়; কিন্তু তারা না এলে আমরা কী করতে পারি?’
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাসিক সমন্বয় সভায় স্কুল ক্লিনিক নিয়ে আমি নিজেও কথা বলি। তবে আমাদের প্রচারণার একটু ঘাটতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্মিলিত চেষ্টায় ক্লিনিকটি সেবামুখী হয়ে উঠবে, এটিই আমাদের লক্ষ্য।’
স্কুলশিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ময়মনসিংহে থাকা স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্পর্কে জানেন না অধিকাংশ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। এ কারণে বিনা মূল্যের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। এই ক্লিনিকের বিষয়ে প্রচার না থাকায় শিক্ষার্থীরা সেবা পাচ্ছে না বলে দাবি অভিভাবকদের।
শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্র বাউন্ডারি রোডে স্বাধীনতার আগে স্থাপন করা হয় স্কুল হেলথ ক্লিনিক। পরে সেটা বাংলাদেশ সরকারের অধীনে আসে। এখানে দুজন চিকিৎসক, দুজন ফার্মাসিস্ট ও একজন অফিস সহকারী রয়েছেন। বিনা মূল্যে ওষুধ ও অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ ক্লিনিকে বছরে সরকারের প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত চিকিৎসক, ফার্মাসিস্টরা অলস বসে রয়েছেন। কোনো সেবাপ্রার্থী নেই। কিছুক্ষণ পর মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা। ক্লিনিকটির সার্বিক সেবা নিয়ে কথা হলে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ছেলেটার জ্বর, তাই নিয়ে আসছি। কেননা ভিড় কম থাকে এখানে।’ তবে এখানে ওষুধও সব পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ তাঁর।
তাসলিমা আক্তার নামের অন্য এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলেটার বয়স সাড়ে তিন বছর। তার শরীরে চুলকানি। তাই নিয়ে আসছি। এখানে এলে টাকা ছাড়া ওষুধ এবং সেবা পাওয়া যায়।’
তবে নগরীর ইউনিক প্রগ্রেসিভ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী দেবেন্দ্রনাথ পাল বলে, ‘শহরে স্কুল হেলথ ক্লিনিক আছে, আমি জানি না। আমরা চিকিৎসা নিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই।’
হায়দার জাহিদ নামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লিনিকটির বিষয়ে সে কিছুই জানে না। অসুস্থ হলে অভিভাবকেরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ধারাপাত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, ‘৬০ বছর ধরে নগরীর প্রাণকেন্দ্রে স্কুল হেলথ ক্লিনিক নামের একটি সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তা আমি নিজেও জানি না। এর কারণ হচ্ছে তাদের প্রচারণা নেই। এখানে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে; কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে আসছে না।’
স্কুল হেলথ ক্লিনিকের মেডিকেল কর্মকর্তা শরীফুল জান্নাত বলেন, ‘প্রতিদিন ক্লিনিকটিতে ২০ থেকে ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী সেবা নিয়ে থাকে। প্রতি মাসে কমপক্ষে আটটি স্কুলে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কোনো সমস্যা হলে তাদের ক্লিনিকে এসে সেবা নিতে বলা হয়; কিন্তু তারা না এলে আমরা কী করতে পারি?’
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাসিক সমন্বয় সভায় স্কুল ক্লিনিক নিয়ে আমি নিজেও কথা বলি। তবে আমাদের প্রচারণার একটু ঘাটতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্মিলিত চেষ্টায় ক্লিনিকটি সেবামুখী হয়ে উঠবে, এটিই আমাদের লক্ষ্য।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫