শামীম হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর পাংশা রেলস্টেশন। স্টেশনের অদূরে চোখে পড়বে পুরোনো লালচে পানির ট্যাংক। সেটি বেশ লম্বা। পাশেই রেললাইন। পুরোনো সেই পানির ট্যাংকের মতো রেললাইনও পরিত্যক্ত। সবুজ আগাছায় ছেয়ে আছে জলাধারটি। জলাধারে কি জল মিলবে? না।
পাংশার এই পানির ট্যাংকে পানি নেই। পানি থাকার কথাও নয়। ১৫৩ বছরের পুরোনো এই জলাধার যে আজও টিকে আছে, সেটাই-বা কম কিসে! জলের চাহিদা বাদ রেখে মেটাচ্ছে চোখের তৃষ্ণা।
সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়।
তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর। ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়।
ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে।
জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি।
পাংশাবাসী জানান, কালের সাক্ষী হয়ে থাকা জলঘরটি পাংশার একটি ইতিহাস। জলঘরটি দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এর আশপাশ পরিষ্কার না করায় দক্ষিণ-পূর্ব পাশের দেয়াল ঘেঁষে লতাপাতা এবং ছোট ছোট গাছপালায় ঢেকে যাচ্ছে। সন্ধ্যা হতেই বিভিন্ন বয়সী মাদকাসক্তদের আনাগোনা বেড়ে যায় এখানে। অনেকে আবার মই বেয়ে জলঘরের ওপরে উঠে মাদক সেবন করে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জলঘরটি দেখভাল করা উচিত বলে জানান তাঁরা।
তবে পাংশা রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার জীবন বৈরাগী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মাণ করা জলঘরটি বর্তমানে কোনো কাজে আসছে না, সেহেতু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচিত জলঘরটি সরকারিভাবে বিক্রি করা।
রাজবাড়ীর পাংশা রেলস্টেশন। স্টেশনের অদূরে চোখে পড়বে পুরোনো লালচে পানির ট্যাংক। সেটি বেশ লম্বা। পাশেই রেললাইন। পুরোনো সেই পানির ট্যাংকের মতো রেললাইনও পরিত্যক্ত। সবুজ আগাছায় ছেয়ে আছে জলাধারটি। জলাধারে কি জল মিলবে? না।
পাংশার এই পানির ট্যাংকে পানি নেই। পানি থাকার কথাও নয়। ১৫৩ বছরের পুরোনো এই জলাধার যে আজও টিকে আছে, সেটাই-বা কম কিসে! জলের চাহিদা বাদ রেখে মেটাচ্ছে চোখের তৃষ্ণা।
সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়।
তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর। ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়।
ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে।
জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি।
পাংশাবাসী জানান, কালের সাক্ষী হয়ে থাকা জলঘরটি পাংশার একটি ইতিহাস। জলঘরটি দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এর আশপাশ পরিষ্কার না করায় দক্ষিণ-পূর্ব পাশের দেয়াল ঘেঁষে লতাপাতা এবং ছোট ছোট গাছপালায় ঢেকে যাচ্ছে। সন্ধ্যা হতেই বিভিন্ন বয়সী মাদকাসক্তদের আনাগোনা বেড়ে যায় এখানে। অনেকে আবার মই বেয়ে জলঘরের ওপরে উঠে মাদক সেবন করে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জলঘরটি দেখভাল করা উচিত বলে জানান তাঁরা।
তবে পাংশা রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার জীবন বৈরাগী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মাণ করা জলঘরটি বর্তমানে কোনো কাজে আসছে না, সেহেতু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচিত জলঘরটি সরকারিভাবে বিক্রি করা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪