Ajker Patrika

নবজাতকের আকিকা সুন্নত

আবদুল আযীয কাসেমি
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ১৩: ৫৬
নবজাতকের আকিকা সুন্নত

আকিকা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। নবজাতক শিশুর জন্য আকিকা গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম ঐতিহ্য। এর ফজিলতও অনেক। আকিকার বরকতে নবজাতকের বালা-মুসিবত দূর হয়। নবজাতকের জন্মের শুকরিয়াস্বরূপ মা-বাবাকে আকিকা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সন্তান ছেলে বা মেয়ে যা-ই হোক না কেন, উভয়ের জন্য আকিকা করা সুন্নত।

নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিনে আকিকা করা উত্তম। মহানবী (সা.) জন্মের সপ্তম দিনে তাঁর নাতিদের আকিকা করেছেন। যদি কোনো কারণে সপ্তম দিনে আকিকা করা সম্ভব না হয়, তাহলে ১৪তম দিনে আকিকা করা উচিত। তা-ও সম্ভব না হলে ২১তম দিনেও করা যেতে পারে। তা-ও সম্ভব না হলে অন্য যেকোনো দিনে আদায় করে নিতে হবে। হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আকিকার বিনিময়ে বন্ধকস্বরূপ। কাজেই সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে প্রাণী জবাই করবে এবং তারা মাথা মুণ্ডন করে নাম রাখবে।’ (আবু দাউদ)

আকিকার মাধ্যমে নবজাতকের মা-বাবার বদান্যতা প্রকাশ পায়। গরিব, এতিম ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে গোশত বণ্টনের মাধ্যমে আত্মীয়তার হক আদায় হয়। নবজাতকের জন্য সবাই দোয়া করেন। নতুন একটি প্রাণের আগমনকে কেন্দ্র করে আকিকা দেওয়ার ফলে আল্লাহ তাআলা বালা-মুসিবত উঠিয়ে নেন।

আকিকা ছেলের পক্ষ থেকে দুটি আর মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ভেড়া বা ছাগল জবাই করা সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদেরকে ছেলেসন্তানের জন্য দুটি সমবয়সী ছাগল আর মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল দিয়ে আকিকা করার জন্য নির্দেশ করেছেন।’ (তিরমিজি)

আকিকার গোশত সবাই খেতে পারে। এতে ধনী-গরিব বা আত্মীয়-অনাত্মীয়ের কোনো ভেদাভেদ নেই। নিজেরাও খেতে পারবে, অন্যদেরও খাওয়াতে পারবে।

আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত