রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে ইটভাটায় চলছে ইট উৎপাদন কার্যক্রম। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি উপেক্ষা করে একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি আবাদি জমি নষ্ট করে জনবসতিপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন।
এসব ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, গ্যাস ও ধুলায় বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য, চিরচেনা প্রকৃতি-পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। ইটভাটার দূষিত বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বায়ুমণ্ডল। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। উজাড় করা হচ্ছে বনভূমি।
ইটভাটায় নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। এই ধোঁয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। শ্বাসতন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্র সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া চোখের সমস্যায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। নিয়মকানুন ও পরিবেশ দূষণের তোয়াক্কা না করে ভাটা মালিকেরা টিনের তৈরি চিমনিতে গাছপালা, বাঁশের মুড়া, প্লাস্টিক বর্জ্য ও তুষ ব্যবহার করে ইট পোড়াচ্ছে। দু-একটি ইটভাটার চিমনি ১২০ ফুট থাকলেও আবাদি জমি, লোকালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংলগ্ন এলাকার ইটভাটাগুলোর অধিকাংশেরই চিমনির উচ্চতা ৬০ ফুটের বেশি না।
উপজেলার চর আফজলের বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তায় ভাটার ট্রলির কারণে অনেক ধুলাবালি। যাতায়াত করতে পারি না। অসুখ বিসুখ সারছেই না। ইটভাটার পাশ দিয়ে যাতায়াতের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায় না।’
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ। লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যক্তি ইটভাটা চালু করলে অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সম্প্রতি ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, যেখানে ইট পোড়ানো হচ্ছে, অধিকাংশ ভাটার পাশে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও গাছপালা। কয়েকটির পাশে রয়েছে বিদ্যালয়।
নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব অবৈধ ইটভাটায় মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালিত হলেও নেওয়া হচ্ছে না কঠোর ব্যবস্থা। যে কারণে থামছে না ইটভাটা কর্তৃপক্ষের আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অথবা নদীর তীরে পতিত দেড় একর ভূমিতে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। সরকারি সড়ক দিয়ে নয়, বরং ইটভাটার নিজস্ব রাস্তা দিয়ে চলবে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর। সে সঙ্গে ইটভাটায় খনন করতে হবে পুকুর। অথচ বাস্তবতা সঙ্গে কোনো কিছুই মানছেন না ভাটা মালিকেরা। মাটি বহনের ট্রাক্টরগুলো পাকা সড়কে নিয়মিত চলাচল করছে। এতে জনসাধারণ ধূল-বালিতে ভোগান্তিসহ যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।
রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামনাশিস মজুমদার বলেন, ‘নিয়ম-নীতি ছাড়া যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইটভাটা। ইটের ভাটায় যে কালো ধোঁয়া নির্গত হয় সেটা পরিবেশ দূষণের একটা অন্যতম কারণ। এই ধোয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। শ্বাসতন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্র সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া চোখের সমস্যা চোখের জ্বালাপোড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত রোগী দেখা যাচ্ছে। এই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাসের জন্য অনুমোদন ছাড়া যেসব ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে ১০টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বেশ কয়েকটিতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে ইটভাটায় চলছে ইট উৎপাদন কার্যক্রম। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি উপেক্ষা করে একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি আবাদি জমি নষ্ট করে জনবসতিপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন।
এসব ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, গ্যাস ও ধুলায় বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য, চিরচেনা প্রকৃতি-পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। ইটভাটার দূষিত বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বায়ুমণ্ডল। নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। উজাড় করা হচ্ছে বনভূমি।
ইটভাটায় নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। এই ধোঁয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। শ্বাসতন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্র সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া চোখের সমস্যায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। নিয়মকানুন ও পরিবেশ দূষণের তোয়াক্কা না করে ভাটা মালিকেরা টিনের তৈরি চিমনিতে গাছপালা, বাঁশের মুড়া, প্লাস্টিক বর্জ্য ও তুষ ব্যবহার করে ইট পোড়াচ্ছে। দু-একটি ইটভাটার চিমনি ১২০ ফুট থাকলেও আবাদি জমি, লোকালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংলগ্ন এলাকার ইটভাটাগুলোর অধিকাংশেরই চিমনির উচ্চতা ৬০ ফুটের বেশি না।
উপজেলার চর আফজলের বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তায় ভাটার ট্রলির কারণে অনেক ধুলাবালি। যাতায়াত করতে পারি না। অসুখ বিসুখ সারছেই না। ইটভাটার পাশ দিয়ে যাতায়াতের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায় না।’
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ। লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যক্তি ইটভাটা চালু করলে অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সম্প্রতি ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, যেখানে ইট পোড়ানো হচ্ছে, অধিকাংশ ভাটার পাশে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও গাছপালা। কয়েকটির পাশে রয়েছে বিদ্যালয়।
নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব অবৈধ ইটভাটায় মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালিত হলেও নেওয়া হচ্ছে না কঠোর ব্যবস্থা। যে কারণে থামছে না ইটভাটা কর্তৃপক্ষের আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অথবা নদীর তীরে পতিত দেড় একর ভূমিতে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। সরকারি সড়ক দিয়ে নয়, বরং ইটভাটার নিজস্ব রাস্তা দিয়ে চলবে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর। সে সঙ্গে ইটভাটায় খনন করতে হবে পুকুর। অথচ বাস্তবতা সঙ্গে কোনো কিছুই মানছেন না ভাটা মালিকেরা। মাটি বহনের ট্রাক্টরগুলো পাকা সড়কে নিয়মিত চলাচল করছে। এতে জনসাধারণ ধূল-বালিতে ভোগান্তিসহ যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।
রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামনাশিস মজুমদার বলেন, ‘নিয়ম-নীতি ছাড়া যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইটভাটা। ইটের ভাটায় যে কালো ধোঁয়া নির্গত হয় সেটা পরিবেশ দূষণের একটা অন্যতম কারণ। এই ধোয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। শ্বাসতন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্র সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া চোখের সমস্যা চোখের জ্বালাপোড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত রোগী দেখা যাচ্ছে। এই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাসের জন্য অনুমোদন ছাড়া যেসব ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে ১০টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বেশ কয়েকটিতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪