রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এখন অস্থির মেহেরপুরের কৃষি উপকরণের বাজার। ধাপে ধাপে বাড়ছে প্রতিটি উপকরণের দাম। বিশেষ করে সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশকসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বেড়েছে পরিবহন খরচ। এত টাকা খরচ করে ফসল উৎপাদন করার পর সে খরচ উঠবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় কৃষকেরা।
জানা গেছে, গেল কয়েক দিন ধরে খুচরা বাজারে কীটনাশক নাটিবো (১০ গ্রাম) ৮০ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, ১০০ টাকার প্রোটেন্ট (১০০ গ্রাম) বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০, প্যারাকড (১ লিটার) ২৫০ থেকে বেড়ে এখন ৫০০, টিল্ট (৫০০ গ্রাম) ১ হাজার ৫০ থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। ছত্রাকনাশক সিকিউর (২৫০ গ্রাম) ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং ৩৯০ টাকার এন্টাকল (৫০০ গ্রাম) এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। শুধু এ পণ্যগুলোই নয়, বাজারে সব কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।
আর সারের বাজারও অস্থিতিশীল। জিংক জিলমনো (১ কেজি) ১৬০ টাকা থেকে বেড়েছে ২৫০ টাকায়, গ্রোজিন কেজিপ্রতি ২২০ থেকে বেড়েছে ৩০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতিটি কোম্পানির দস্তা সারের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ১০০ টাকা।
এ ছাড়া ৫০ কেজির বস্তা এমওপি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৩৫০, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ৮০০ থেকে ১ হাজার ৬০০, সালফেট অ্যামোনিয়াম ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৯০০, ইউরিয়া ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
১ কেজি ভালো মানের বোরন ২১০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি দরে। আর ২৫ কেজি বস্তার নরমাল বোরন ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের কৃষক লাবলু মোল্লা বলেন, ‘আগে সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে সেচ দিতাম। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে শ্যালো ইঞ্জিনে ফিরে যেতে হয়েছে। ফলে ডিজেলের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিতে গিয়ে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে উৎপাদন খরচের সঙ্গে বেড়েছে পরিবহন খরচও। এখন ফসল উৎপাদন করে যদি ন্যায্যমূল্যে বাজার বিক্রি করতে না পারি, তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কৃষক রিপন আলী জানান, কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় ধাপে ধাপে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। আগাম কপি আবাদে বিঘাপ্রতি আগে খরচ হতো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। ধান আবাদে বিঘাপ্রতি আগে খরচ হতো ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা। আর ১ বিঘা জমির ইজারা খরচ ছিল ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। এখন ইজারা খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। সঙ্গে বেড়েছে পরিবহন খরচ। আগে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য মেহেরপুর থেকে রাজধানী ঢাকাতে পাঠাতে খরচ হতো ১৭ হাজার টাকা। এখন খরচ হচ্ছে ২১ হাজার টাকা। আর চট্টগ্রামে পণ্য পাঠাতে খরচ হতো ১৯ হাজার টাকা। এখন খরচ হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। এত টাকা খরচ করে কীভাবে উৎপাদন খরচ তুলবেন, তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন প্রতিটি কৃষক।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম জানান, তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে কৃষিপণ্য উৎপাদনে। ফসল উৎপাদনে বাড়ছে কৃষকদের ব্যয়। মাঠে থাকা ফসল কৃষকদের ঘরে উঠলে উৎপাদন ব্যয় কী পরিমাণ বেড়েছে, তার হিসাব-নিকাশ করে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি জানানো হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সামসুল আলম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। সরকারের নির্ধারিত মূল্যের বাইরে গিয়ে কোনো ব্যবসায়ী সার বিক্রি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কীটনাশকের বিষয়টি কোম্পানির ব্যাপার। তবে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিই কীভাবে কৃষকদের উৎপাদন বাড়ানো যায়। পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের কোনো হাত নেই।’
তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এখন অস্থির মেহেরপুরের কৃষি উপকরণের বাজার। ধাপে ধাপে বাড়ছে প্রতিটি উপকরণের দাম। বিশেষ করে সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশকসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বেড়েছে পরিবহন খরচ। এত টাকা খরচ করে ফসল উৎপাদন করার পর সে খরচ উঠবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় কৃষকেরা।
জানা গেছে, গেল কয়েক দিন ধরে খুচরা বাজারে কীটনাশক নাটিবো (১০ গ্রাম) ৮০ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, ১০০ টাকার প্রোটেন্ট (১০০ গ্রাম) বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০, প্যারাকড (১ লিটার) ২৫০ থেকে বেড়ে এখন ৫০০, টিল্ট (৫০০ গ্রাম) ১ হাজার ৫০ থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। ছত্রাকনাশক সিকিউর (২৫০ গ্রাম) ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং ৩৯০ টাকার এন্টাকল (৫০০ গ্রাম) এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। শুধু এ পণ্যগুলোই নয়, বাজারে সব কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।
আর সারের বাজারও অস্থিতিশীল। জিংক জিলমনো (১ কেজি) ১৬০ টাকা থেকে বেড়েছে ২৫০ টাকায়, গ্রোজিন কেজিপ্রতি ২২০ থেকে বেড়েছে ৩০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতিটি কোম্পানির দস্তা সারের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ১০০ টাকা।
এ ছাড়া ৫০ কেজির বস্তা এমওপি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৩৫০, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ৮০০ থেকে ১ হাজার ৬০০, সালফেট অ্যামোনিয়াম ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৯০০, ইউরিয়া ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
১ কেজি ভালো মানের বোরন ২১০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি দরে। আর ২৫ কেজি বস্তার নরমাল বোরন ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের কৃষক লাবলু মোল্লা বলেন, ‘আগে সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে সেচ দিতাম। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে শ্যালো ইঞ্জিনে ফিরে যেতে হয়েছে। ফলে ডিজেলের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিতে গিয়ে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে উৎপাদন খরচের সঙ্গে বেড়েছে পরিবহন খরচও। এখন ফসল উৎপাদন করে যদি ন্যায্যমূল্যে বাজার বিক্রি করতে না পারি, তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কৃষক রিপন আলী জানান, কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় ধাপে ধাপে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। আগাম কপি আবাদে বিঘাপ্রতি আগে খরচ হতো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। ধান আবাদে বিঘাপ্রতি আগে খরচ হতো ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা। আর ১ বিঘা জমির ইজারা খরচ ছিল ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। এখন ইজারা খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। সঙ্গে বেড়েছে পরিবহন খরচ। আগে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য মেহেরপুর থেকে রাজধানী ঢাকাতে পাঠাতে খরচ হতো ১৭ হাজার টাকা। এখন খরচ হচ্ছে ২১ হাজার টাকা। আর চট্টগ্রামে পণ্য পাঠাতে খরচ হতো ১৯ হাজার টাকা। এখন খরচ হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। এত টাকা খরচ করে কীভাবে উৎপাদন খরচ তুলবেন, তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন প্রতিটি কৃষক।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম জানান, তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে কৃষিপণ্য উৎপাদনে। ফসল উৎপাদনে বাড়ছে কৃষকদের ব্যয়। মাঠে থাকা ফসল কৃষকদের ঘরে উঠলে উৎপাদন ব্যয় কী পরিমাণ বেড়েছে, তার হিসাব-নিকাশ করে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি জানানো হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সামসুল আলম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। সরকারের নির্ধারিত মূল্যের বাইরে গিয়ে কোনো ব্যবসায়ী সার বিক্রি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কীটনাশকের বিষয়টি কোম্পানির ব্যাপার। তবে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিই কীভাবে কৃষকদের উৎপাদন বাড়ানো যায়। পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের কোনো হাত নেই।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪