বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদুল ফিতর উদ্যাপন শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ঠেসে ভরা হয় বিলাসবহুল লঞ্চে। গত দুই দিনের এমন ঘটনায় বরিশাল নৌবন্দরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত শুক্রবার কয়েকটি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করা হয়েছে। ধারণক্ষমতার যাত্রী উঠলে আগেই লঞ্চকে ঘাট ছাড়তে বাধ্য করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার বরিশাল বন্দর থেকে ১৫টির মতো বিলাসবহুল নৌযান ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আগের দিন শুক্রবার বরিশাল নৌবন্দর থেকে ১৪টি লঞ্চ রাজধানীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর অধিকাংশই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে। সন্ধ্যার মধ্যে হাজারো যাত্রীর ভিড়ে নৌবন্দরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বারবার লঞ্চ ছেড়ে দিতে বললেও মালিকেরা গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা তো ওভারলোডিং চাই না। কিন্তু লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় না থাকায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।’ তিনি জানান, তাঁর লঞ্চের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৩৫০ জন। শুক্রবার ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ যাত্রী হয়েছিল। তবে এই ধারণক্ষমতার ওপর লঞ্চ চলাচল নির্ভর করে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত লঞ্চ আগে ছাড়তে বাধ্য করায় অনেকেই যেতে পারেননি। কোনো কোনো যাত্রী নদীতে পড়ে গেলে আনসাররা উঠিয়েছেন। আবার কারও লাগেজ অন্যে নিয়ে গেছে। তিনি এই অবস্থার জন্য বিআইডব্লিউটিএর গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। শনিবারও যাত্রীর চাপ থাকায় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
লঞ্চগুলোয় অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধে শুক্রবার বিকেল থেকেই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম ও মুশফিকুর রহমান নৌবন্দরে তদারকি করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম বলেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলা এবং ছাদে যাত্রী ওঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পারাবত-১০ ও ১৮ এবং সুরভী-৯ লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে মোট ১৪টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে বরিশাল নৌবন্দর ছেড়ে গেছে। তবে সন্ধ্যা ৭টার পরও বিপুলসংখ্যক যাত্রী ঘাটে অপেক্ষমাণ থাকায় রাজারহাট-বি নামে আরও একটি লঞ্চ বিশেষ ট্রিপে ওই যাত্রীদের নিয়ে রাত ৮টায় বরিশাল ত্যাগ করে। গতকাল শনিবারও বন্দরে একই রকমের যাত্রীর চাপ বলে জানান মোস্তাফিজ।
তবে লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, লঞ্চ ছাড়ার সময় শুক্রবার খুব বিশৃঙ্খলা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন। তাঁর সুন্দরবন লঞ্চেরই ভিআইপিসহ ৫৫টি কেবিন খালি গেছে। র্যাব-৮ এর সিইওর সুন্দরবন ১০-এ যাওয়ার কথা ছিল। লঞ্চ আগে ছেড়ে দেওয়ায় তিনি শুক্রবার যেতে পারেননি। এমন অনেক ভিআইপি যেতে পারেননি।
রিন্টু আরও বলেন, ওভারলোডিং তেমন কিছুই না। ঢাকা থেকে তো এতটা যাত্রী নিয়েই ছেড়ে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল নৌযাত্রী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আ. রশিদ নিলু বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন। কিন্তু মালিকেরা অতিলোভের কারণে ওভারলোডিং করে ঈদে যাত্রীদের ঝুঁকিতে ফেলছেন।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, শনিবার মানামী, সুরভী-৮, অ্যাডভেঞ্চার-১, কীর্তনখোলা-১০, সুন্দরবন-১০, কুয়াকাটা-২, আওলাদা-১০, সুন্দরবন-১১, সুরভী-৭, পারাবত-১২, গ্রিনলাইন, অ্যাডভেঞ্চার-৬সহ প্রায় ১৫টি নৌযান ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল ছেড়ে যায়। শনিবার যাত্রী বেশি হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদুল ফিতর উদ্যাপন শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ঠেসে ভরা হয় বিলাসবহুল লঞ্চে। গত দুই দিনের এমন ঘটনায় বরিশাল নৌবন্দরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত শুক্রবার কয়েকটি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করা হয়েছে। ধারণক্ষমতার যাত্রী উঠলে আগেই লঞ্চকে ঘাট ছাড়তে বাধ্য করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার বরিশাল বন্দর থেকে ১৫টির মতো বিলাসবহুল নৌযান ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আগের দিন শুক্রবার বরিশাল নৌবন্দর থেকে ১৪টি লঞ্চ রাজধানীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর অধিকাংশই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে। সন্ধ্যার মধ্যে হাজারো যাত্রীর ভিড়ে নৌবন্দরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বারবার লঞ্চ ছেড়ে দিতে বললেও মালিকেরা গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা তো ওভারলোডিং চাই না। কিন্তু লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় না থাকায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।’ তিনি জানান, তাঁর লঞ্চের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৩৫০ জন। শুক্রবার ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ যাত্রী হয়েছিল। তবে এই ধারণক্ষমতার ওপর লঞ্চ চলাচল নির্ভর করে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত লঞ্চ আগে ছাড়তে বাধ্য করায় অনেকেই যেতে পারেননি। কোনো কোনো যাত্রী নদীতে পড়ে গেলে আনসাররা উঠিয়েছেন। আবার কারও লাগেজ অন্যে নিয়ে গেছে। তিনি এই অবস্থার জন্য বিআইডব্লিউটিএর গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। শনিবারও যাত্রীর চাপ থাকায় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
লঞ্চগুলোয় অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধে শুক্রবার বিকেল থেকেই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম ও মুশফিকুর রহমান নৌবন্দরে তদারকি করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম বলেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলা এবং ছাদে যাত্রী ওঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পারাবত-১০ ও ১৮ এবং সুরভী-৯ লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে মোট ১৪টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে বরিশাল নৌবন্দর ছেড়ে গেছে। তবে সন্ধ্যা ৭টার পরও বিপুলসংখ্যক যাত্রী ঘাটে অপেক্ষমাণ থাকায় রাজারহাট-বি নামে আরও একটি লঞ্চ বিশেষ ট্রিপে ওই যাত্রীদের নিয়ে রাত ৮টায় বরিশাল ত্যাগ করে। গতকাল শনিবারও বন্দরে একই রকমের যাত্রীর চাপ বলে জানান মোস্তাফিজ।
তবে লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, লঞ্চ ছাড়ার সময় শুক্রবার খুব বিশৃঙ্খলা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন। তাঁর সুন্দরবন লঞ্চেরই ভিআইপিসহ ৫৫টি কেবিন খালি গেছে। র্যাব-৮ এর সিইওর সুন্দরবন ১০-এ যাওয়ার কথা ছিল। লঞ্চ আগে ছেড়ে দেওয়ায় তিনি শুক্রবার যেতে পারেননি। এমন অনেক ভিআইপি যেতে পারেননি।
রিন্টু আরও বলেন, ওভারলোডিং তেমন কিছুই না। ঢাকা থেকে তো এতটা যাত্রী নিয়েই ছেড়ে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল নৌযাত্রী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আ. রশিদ নিলু বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন। কিন্তু মালিকেরা অতিলোভের কারণে ওভারলোডিং করে ঈদে যাত্রীদের ঝুঁকিতে ফেলছেন।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, শনিবার মানামী, সুরভী-৮, অ্যাডভেঞ্চার-১, কীর্তনখোলা-১০, সুন্দরবন-১০, কুয়াকাটা-২, আওলাদা-১০, সুন্দরবন-১১, সুরভী-৭, পারাবত-১২, গ্রিনলাইন, অ্যাডভেঞ্চার-৬সহ প্রায় ১৫টি নৌযান ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল ছেড়ে যায়। শনিবার যাত্রী বেশি হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪